পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আত্ম নির্মাণ (২৩৭ )

ছবি
আত্ম নির্মাণ    (২৩৭ ) "ভক্তির অন্বেষণে"র  প্রথম পর্বের পর - নামটা 'ভক্তির অন্বেষণে ' না দিয়ে 'মুক্তির খোঁজে' নাম দিলে ভালো হতো।  যাঁরা আজকে এসেছেন কিংবা কালকে আসবেন বা বিগত দিনগুলিতে এসেছেন, সেখানে প্রত্যেকের মধ্যে বোধ হয় একটা ভাবনাই ভীষণ সক্রিয়, তা হচ্ছে সাময়িক মুক্তি  দৈনিন্দন একঘেয়ে জীবন থেকে। এক রকম পালিয়ে আসা আর যতটা মানসিক  আনন্দ আঁচলে করে বেঁধে নিয়ে যাওয়া যায়। একটা পরিবেশ থেকে অন্য একটি পরিবেশে পা পড়তেই ভাবনাগুলি তাদের সাথে কেমন যেন একাত্ম হয়ে যায়। আবার পরিবেশের পরিবর্তনে সেই পূর্বের চিন্তাগুলি মনের মধ্যে জেগে ওঠে। আবার একরাশ দুঃখের সাগরে ডুবে গিয়ে সঞ্চিত আনন্দের হাড়ি থেকে রস নিষ্কাশন শুরু হয়ে যায়। প্রকৃতির আচরণের সাথে তাল মিলিয়ে আনন্দ আর দুঃখের জোয়ার-ভাটার আমেজে আমরা অসুস্থ বোধ করি। এটাই আমাদের মধ্যে  জাগ্রত করছে মুক্তির আকাঙ্খাকে।   কল্পনা থেকে বাস্তবে  ফিরে এলাম। দূর দূরান্ত থেকে  দলে দলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, যুবক-যুবতী, পিতামাতার হাতধরে শিশুরাও এসেছেন, কয়েকজনকে দেখলাম সুদূর ফরাসি দেশ থেকে এসেছে ভারতবর্ষের এই আশ্চর্য্য সাধক ও সন...

(২৩৬ ) আত্মবন্দী

  (২৩৬ )  আত্মবন্দী  মানুষ কিংবা  সংগঠন যাঁরা নিজেরাই তাদের মতাদর্শের বন্ধনে আবদ্ধ তারা সাধারণ মানুষকে আদৌ কোন মুক্তির পথ নির্দ্দেশ করতে পারবে ? বোধহয় না। সে তো সব সময় তার বেশভূষা সামলাতেই  ব্যস্ত, অর্থাৎ সে অহংকেই আঁকড়ে ধরে আছেন, পরিত্যাগ করতে পারেনি।   অভিমুখ যদি হয় আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলনের মাধ্যমে দুঃখ-কষ্ট থেকে মানুষের মুক্তি, তাহলে আমিষ-নিরামিষ, জাতপাত, ধর্মীয় বিভাজনে নিজেদের  আগাপাছতলা  আবদ্ধ করে মুক্তির খোঁজ করা একান্তই ভাবের  ঘরে চুরি।  পুরাতন মূল্যবোধের সাথে নতুনের যদি সঠিক সংমিশ্রণ না হয় তাহলে চৈতন্যের উদয় কখনই হবে না। পুরোনো দইয়ের সাথে নতুন দুধের অপ্রতিরোধ্য মিশ্রণ যেমন জন্ম দেয় নতুন মাত্রার দইয়ের, ঠিক তেমনটি।   গ্রহণ না ত্যাগ কোনটির প্রাধান্য আজকে বেশী - এই প্রশ্নে ভারতবর্ষের সমাজজীবনে গুটি কতক মানুষ ছাড়া বাদবাকি সবাই গ্রহণের সপক্ষে। যে কারণে স্বামী বিবেকানন্দ যখন মার্কিন মুলুক থেকে ফিরে এসে ভারতবর্ষে অদ্বৈত বেদান্তের ভাবধারা কেন প্রচার করতে রাজী হন নি, সেই প্রশ্নের  কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, য...