পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

(২৩৯)বহতি হাওয়া

ছবি
(২৩৯)বহতি হাওয়া   "আধুনিক " এই শব্দটিকে নিয়ে বেশ বাগবিতণ্ডা হয় মাঝে মাঝে, কোন বাক্যের প্রিফিক্স হিসাবে তাকে  বসানো যায়। আধুনিকতাকে কোন বিশেষ সময় দিয়ে বেঁধে রাখা  যায় না। আধুনিকতা থেকে যায় সারা জীবন ধরে। আধুনিকতা আর সমকালীনতাকে এক পংক্তিতে বসানো যায় না। যাঁকে কাল তাকে স্পর্শ করতে  পারেনা, সেটাই আধুনিকতা। সেখানে না আছে কোন প্রাচীনের তকমা অথবা একান্ত বর্তমানের ঘনঘটা কিংবা আগামীর বিড়ম্বনা আর  সব কিছুকে ছাপিয়ে সে যে  সর্বকালীন।  আধুনিক সেই-ই হতে পারে, যাঁকে  চিরন্তন পরিবর্তনের জোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারেনা, সমাজের কোন মলিনতা তার উজ্বলতাকে ম্লান করতে, কোন  ভিন্ন মতবাদের উদ্দত ফণা যাঁর পদপ্রান্তে এসে নীরবে আশ্রয় নেয়, সেটাই স্বামী বিবেকানন্দের অদ্বৈত বেদান্ত।   একদিন অরণ্যের গভীরতম পরিবেশে লালিত বেদান্ত যদি না স্বামীজীর সংস্পর্শে না আসত তবে বোধ হয় পায়ে পায়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমাতে পারতোনা।  সেই যে রূপকথার ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমী দুটি পাখি কিভাবে দৈত্যের হাতে বন্দী রাজকুমারীকে মুক্ত করার জন্য রাজকুমারকে পথের দিশা দেখিয়ে ছিল, সেটাই...

(২৩৮) জগাখিচুড়ি ( ষষ্ঠ সংখ্যা)

(২৩৮)   জগাখিচুড়ি ( ষষ্ঠ সংখ্যা)  মৃত্যুর রকমফের  মৃত্যু কোনটা হালকা আবার কোনটা ভীষণ ভারী। এক বোকা বুড়ো একদিন  বলেছিল মৃত্যু পাখির পালকের থেকে হালকাও হতে পারে, আবার সে পাহাড়ের চেয়ে ভারীও হতে পারে। আসলে বুড়োটা হয়তো বোঝাতে চেয়েছিলো ব্যক্তি জীবনটা যখন সমষ্টির স্বার্থে ব্যবহৃত হয়, তখন তাঁর মৃত্যুটা অবশ্যিই সমাজের পক্ষে  ভারী হয়ে যায়।   ব্যষ্টির থেকে সমষ্টি সব সময়ই বড়।  আজকাল ভারী মৃত্যুর বড্ডই আকাল পড়েছে, কালে ভদ্রে দুই একটা পাওয়া যায়।        ************************************************* জীবিকার মিছিল  লক্ষ্য যখন জীবিকা হয়, তাকে সামনে রেখে প্রত্যেক দিন দলে দলে মানুষের মিছিল  অলিতে গলিতে,  রাজপথে,  জীবন যন্ত্রণাকে পরিশ্রমের বিনিময়ে অর্থ দিয়ে  বোঝ কমাতে শুধু হেঁটেই চলেছেন। এই হেটে চলার মধ্যে যাবার উদ্দেশ্যটা কখন যেন গৌণ হয়ে গেছে, শুধু মাত্র রয়ে গেছে অজান্তেই একটা চলার অভ্যাস। তারই মধ্যে খুব অল্প সংখ্যাক মানুষ আছেন যাদের দেখে খুব প্রাণবন্ত মনে হয়। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভ্রান্তিতে ভুল রাস্তায় লক্ষ্...