পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

(২০২) মায়ার স্বরূপের ব্যাখ্যায় স্বামী বিবেকানন্দ

ছবি
 (২০২)  মায়ার স্বরূপের ব্যাখ্যায় স্বামী বিবেকানন্দ   আধুনিক ' মায়া ' শব্দের অর্থের সাথে প্রাচীন বৈদিক সাহিত্যের অর্থের মধ্যে বেশ খানিকটা অসম্পূর্ণতা ছিল। 'কুহক' এই  প্রতিশব্দ দিয়ে মায়াকে পরিচিত করেছিল তাদের সাহিত্যে। স্বামীজির হাত ধরে  মায়া শব্দটি তার মায়াময় অর্থের বাঁধনকে অতিক্রম করে, আমাদের মননে স্থায়ী জায়গা করে নেয়। এই উত্তরণের যাত্রাটি খুব সহজ ছিল না, তাই তাকে এক ধারাবাহিক পথ অনুসরণ করতে হয়েছিল বিভিন্ন যুক্তিতর্কের বেড়াজাল অতিক্রম করে । এই ছোট্ট শব্দটির বহুগামিতা , প্রকারন্তরে শব্দার্থের ছলনা তাকে প্রকৃত অর্থের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলো।  ইন্দ্র মায়ার সাহায্য নানা রূপ ধারণ করতেন। যেহেতু ইন্দ্র ভিন্ন ভিন্ন রূপে আবির্ভূত হতেন, সে ক্ষেত্রে মায়া শব্দটি ইন্দ্রজাল অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের শাস্ত্রের বর্ণনা অনুযায়ী ইন্দ্র কোন নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তি নন , তিনি রাষ্ট্রের সর্ব্বোচ ক্ষমতার অধিকারী যিনি তারই  উপাধি মাত্র।  অবশ্য ইন্দ্রদের ইন্দ্রজাল বিস্তারের ধারাবাহিকতা আজও প্রাসঙ্গিক। সাধাসিধে জনগণ যুগে যুগে ইন্দ্রদের দ্বারা এই  ধরনের কুহকত...

( ২০১) ইতিহাসের পটভূমিতে শ্রীকৃষ্ণ [ পি ৬ ]

ছবি
 (  ২০১) ইতিহাসের  পটভূমিতে শ্রীকৃষ্ণ [ পি ৬ ]             ইতিহাসের  পটভূমিতে যদি শ্রীকৃষ্ণকে খুঁজতে হয়  তাহলে  মহাভারত নামক এক বিশাল সমুদ্রে অবগাহন না করলে, তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এই অন্বেষণের প্রাথমিক শর্ত হলো মহাভারত কি  মহাকাব্য না ইতিহাস সেটা নির্ধারণ করা।  যদি ইতিহাস হয় তাহলে অবশ্যিই তাকে প্রমান দিতে হবে আর কাব্য হলে কালস্রোতে গা ভাসিয়ে দিলেই চলবে অর্থাৎ এখানেই ইতি টানতে হবে।          যে পথ ধরে  ইতিহাসে বেনোজল ঢুকে গিয়ে তার  কৌলিন্যত্বকে মলিন করে দেয়, সেই ফেলে  আসা পথের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কি কারণে  ইতিহাস তাঁর  ছন্দকে হারিয়ে ফেলেছিল। এই দীর্ঘ প্রায় পাঁচ হাজার বছরের ফিরে যাবার  পথে বহু কন্টকতা সঙ্গে আছে। যেমন ইতিহাসের ব্যাকরণের সাথে মহাভারতের ঘটনাবলীর বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সিন্টেক্স এরররের ডিবাগ এবং সব বাধা অতিক্রম করে তাকে প্রমান সাপেক্ষে ইতিহাস হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা।      মহাভারত কি  ইতিহাস ?      ঘটনার বাস্তবতা...

(২০০) মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের পদার্পণ [পি ৫ ]

ছবি
(২০০)   মহাভারতে  শ্রীকৃষ্ণের পদার্পণ   [পি ৫ ]    বহু কষ্টে বৃন্দাবন থেকে কৃষ্ণকে মহাভারতের প্রেক্ষাপটে নিয়ে আসতে  হলো। বিদ্যাপতি, জয়দেবদের হাতে পড়ে সুদীর্ঘ কৃষ্ণের জীবন দর্শনটা পাঁচিলের একপ্রান্ত দিয়ে উঁকি দিয়ে ক্ষুদ্র বাতায়নে অবলোকন করার মতো। মহাভারতের পথে হাটতে গিয়ে একটা বিস্তীর্ন  ঐতিহাসিক পটভূমির উপর অন্ধ বিশ্বাসের আবর্জনাকে দূরে সরিয়ে বিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি  শক্ত ইমারত না থাকলে অচিরেই সে বিস্মৃতির আড়ালে চলে যাবে। সেদিনের কাহিনীকাররা সেটা জানতেন। এই কথাটি মনে রেখে প্রথমেই কৃষ্ণের ঐতিহাসিক অবস্থানকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রাসঙ্গিকভাবে মহাভারতের ঘটনাবলীর কতটা ঐতিহাসিক আর কতটা অতিরঞ্জন তার অন্বেশন স্বাভাবিকভাবেই এসে পরে।  এই যাত্রার গন্তব্যস্থল সেটাই।    সামাজিক অবস্থান থেকে প্রেরণা            যেই দেশে হরেকৃষ্ণের নাম কীর্তন শুনতে শুনতে ভোর হয়, পাশের বাড়ির  খাঁচার পাখিটা মানুষ দেখলেই বলে উঠে "হরে কৃষ্ণ",   রাসমেলার উৎসব,  প্রহরব্যাপী  কৃষ্ণনামকীর্তন ইত্যাদি নিত্...