পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

((২০৫) আজকের দিনের উপলদ্ধি -

ছবি
 (২০৫)  আজকের দিনের  উপলদ্ধি -  শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের অন্যতম সার্বজনীন বাণী  "চৈতন্য হোক "! সেটা আজ সমাজে বহন বিবর্জিত গুদামজাত  সম্পদ।  অথচ মৃতের সাথে জীবিতের সীমারেখার একমাত্র চিহ্ন সেই  চৈতন্যের উপস্থিতি। তবে কি প্রাণীরা আজ জীবন্মৃত ? জীবনের উপর দিয়ে ঘটে যাওয়া ঝড়ে শুয়ে পড়া বৃক্ষরাজি ? দূর থেকে বিধাতা অবলোকন করে জীবন্ত মানুষ আছে বলে ধারণা করতে  পারে না।  মাঝে মাঝে  সেখান থেকে কোনো আর্তনাদ শুনা না গেলে পতিত ভূমি  বলেই  ভ্রম হতো।    বিধাতা আজ নিজের কাছেই প্রশ্নের সম্মুখীন, কি এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলো যে  চৈতন্যবিহীন মানুষ জীবিত বলে দাবী করছে কিংবা কি ধরনের সংকেত বার্তা আকাশ-বাতাসে ছেয়ে গেছে যে মানুষ আজ নিঃশব্দে অপেক্ষা করছে যুদ্ধারম্ভের প্রস্তুতির দামামার শব্দের। ভাবছে, এই মুহূর্তটি মোটেই উপযুক্ত নয় চৈতন্যের প্রকাশের, কেননা সে ক্ষেত্রে অস্তিত্বের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভবনা প্রকট। পূর্বে যাঁরা সময়ের সংকেতকে অস্বীকার করে  জীবনের সংগীতকে তাদের বীণার  তারে ঝংকার তুলেছিল, তারা আজ কংসের  নিদ্রাভঙ্...

(২০৪) একচক্রা নগরী আর দিন বদলের গান

ছবি
(২০৪)  একচক্রা নগরী  আর দিন বদলের গান  খেয়ালী প্রকৃতি  ভরা কোটালের বড় বড় ঢেউ গুলি বহুদূর থেকে গর্জন করতে করতে পাড়ের মাটির  সাথে মাখামাখি করে  নদীর গভীরে হারিয়ে গিয়ে আবার সেখানে  আরো কতগুলি নতুন ঢেউ এসে সেই মাটির আস্বাদ নিতে কোমর বেঁধে   আসে  আবার পূর্বসূরিদের মতো সেও অনন্ত জলরাশির মধ্যে হারিয়ে যায়। এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা প্রকৃতিরই  ঐতিহ্য, যার জন্য তাকে কারোর কাছে জবাবদিহি করতে হয়না। সারা বছরের মধ্যে  বৈশাখ মাস থেকে শুরু করে আশ্বিন মাস পর্যন্ত প্রকৃতির এই আসা যাওয়ার বৈচিত্রতায় চাষীরা বিশেষভাবে লাভবান হন। নদী তার একরাশ সমুদ্রের কাছ থেকে পাওয়া নোনা জলকে সঙ্গে করে বন্ধুসম খালগুলি দিয়ে ঘেরিগুলিতে যখন প্রবেশ করে তখন চাষীদের মনেও দোল জাগে  কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ পাবার আতিশয্যে। বহু যুগ ধরে এই অভ্যাসে তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল।  গ্রামীণ অর্থনীতির হাত ধরে এক ধরনের অভ্যাস সেই সব উপকূলে গড়ে উঠেছিল।  যেখানে প্রকৃতি নির্ভর জীবন জীবিকা গড়ে উঠে সেখানে আবার  প্রকৃতি তার মর্জিমতো তাদের সুখ আনন্দ কেড়ে নেয়।  প্রকৃতির এই দেয়া নে...

(২০৩) এবং আমরা

ছবি
   ( ২০৩)       এবং আমরা   এই ব্লগটা লিখবার আগে দুটি প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল।  এক, তথ্য সমৃদ্ধ  একটা চিত্র  পৃথিবীর ইতিহাস থেকে  খুজে নেওয়া , যেই ছবিতে থাকবে  কোন কৌশলে মানুষ অহিংস আন্দোলনের পথে  কি ভাবে  স্বৈরাচারী   শাসককে ক্ষমতা থেকে সরাতে সক্ষম হয়েছে।  দুই, মানুষের অত্যাচার সহ্য করবার ক্ষমতার যদি কোন সীমারেখা থাকে  ,   তবে  তার গড় পরিমাপ কত , বাঁধ ভাঙ্গলে  তার প্রতিক্রিয়া কি রকম হতে পারে এবং  কেন হতে পারে।  প্রথম প্রশ্নটির উত্তরটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং  গবেষক এরিকা চেনোওয়েথ ও তার সহযোগী গবেষক মারিয়া স্টেফান ১৯০০ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯  পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে যত গণআন্দোলন ও প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে তার  ডাটা কালেকশন করে, তাকে বিশ্লেষণ করে একটা রিপোর্ট পেশ করেছেন। এই গবেষণার পর দেখা যায়, অহিংস আন্দোলন সহিংস আন্দোলনের থেকে  প্রায় দ্বিগুন সাফল্য অর্জন করেছে।  গবেষক চেনোওয়াথ অহিংস আন্দোলনের সাফল্যের কারণ বিশ...