(২০৪) একচক্রা নগরী আর দিন বদলের গান
খেয়ালী প্রকৃতি
ভরা কোটালের বড় বড় ঢেউ গুলি বহুদূর থেকে গর্জন করতে করতে পাড়ের মাটির সাথে মাখামাখি করে নদীর গভীরে হারিয়ে গিয়ে আবার সেখানে আরো কতগুলি নতুন ঢেউ এসে সেই মাটির আস্বাদ নিতে কোমর বেঁধে আসে আবার পূর্বসূরিদের মতো সেও অনন্ত জলরাশির মধ্যে হারিয়ে যায়। এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা প্রকৃতিরই ঐতিহ্য, যার জন্য তাকে কারোর কাছে জবাবদিহি করতে হয়না। সারা বছরের মধ্যে বৈশাখ মাস থেকে শুরু করে আশ্বিন মাস পর্যন্ত প্রকৃতির এই আসা যাওয়ার বৈচিত্রতায় চাষীরা বিশেষভাবে লাভবান হন। নদী তার একরাশ সমুদ্রের কাছ থেকে পাওয়া নোনা জলকে সঙ্গে করে বন্ধুসম খালগুলি দিয়ে ঘেরিগুলিতে যখন প্রবেশ করে তখন চাষীদের মনেও দোল জাগে কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ পাবার আতিশয্যে। বহু যুগ ধরে এই অভ্যাসে তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল। গ্রামীণ অর্থনীতির হাত ধরে এক ধরনের অভ্যাস সেই সব উপকূলে গড়ে উঠেছিল। যেখানে প্রকৃতি নির্ভর জীবন জীবিকা গড়ে উঠে সেখানে আবার প্রকৃতি তার মর্জিমতো তাদের সুখ আনন্দ কেড়ে নেয়। প্রকৃতির এই দেয়া নেয়ার অভ্যাসে তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠছিল। জীবনে প্রাচুর্য হয়তো ছিল না কিন্তু শান্তির অবাধ বিচরণ ছিল। পরিবর্তন বিশ্ব প্রকৃতির অমোঘ পরিণতি। দীর্ঘ দিনের একই ধরনের রাজপাটে অভ্যস্ত নাগরিকরা আরেকটু উন্নত জীবনবোধের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে একটা নতুন প্রভাতের স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠলো। পটের তো পরিবর্তন হলো কিন্তু নাগরিক জীবনে তার কতটা প্রভাব পরলো বাস্তব জীবনে, সেটাই আজকের আলোচ্য বিষয়।
ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য
আজ থেকে প্রায় ৬৮ বছর আগে প্রথমে কোচিন থেকে শুরু হলো চিংড়ি মাছের রপ্তানি। আর তার পর থেকে কখন যেন স্বাদে গন্ধে এই বাংলার মাছ বিদেশের বাজারে বিশেষ সমাদৃত হতে শুরু করলো। ১৯৭২ সালে MPEDA নামে ভারত সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধীনে একটা স্ট্যাটুটরি বডি মেরিন প্রোডাক্ট দেখভালের দায়িত্ব পেলো। EIA নামে একটি সরকারি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হলো এক্সপোর্ট ফর্মালিটিজ মনিট্রারিং করার জন্য। ভারতবর্ষের প্রথমসারির কোম্পানিগুলির সাথে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিরা উৎসাহিত হলো রপ্তানি করতে। এই শিল্পের কাঁচা মাল হচ্ছে চিংড়ি মাছ আর তার জোগানদার হচ্ছে উপকূলবর্তী সেসব মাছ চাষীরা। কোম্পানিগুলির সাথে সাথে সরবরাহকারী এজেন্টদের শ্রী বৃদ্ধির পাশাপাশি চাষীদের অর্থনৈতিক জীবনে ইতর বিশেষ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। ছোট ছোট আশা, ভরসা আর বেদনা তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী, সুতরাং তার বাইরে কার কত লাভ-লোকসান হল তা নিয়ে তারা বিশেষ চিন্তিত নয়।
জীবনের পাশাপাশি জীবিকার লড়াই
বহু প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে উপকূলের মানুষেরা লড়াই করে বহু ক্ষয়ক্ষতি সহ্য করে বেঁচে আছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে একদল মানুষের সৃষ্টি একটা স্থায়ী দুর্যোগ তাদের জীবনজীবিকা ও নারীর সম্ভ্রমকে পদপিষ্ট করছে। ইদানিং দেখা যাচ্ছে নদীর উপকূলে অবস্থিত কিছু অঞ্চলে কিছু মানুষ রাত বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে তাদের জৈবিক ক্ষুধার পারাটা যারপরনাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবশেষে সেই অহংকারী রিপুগুলি থেকে থেকে পূর্ণতার সাধনায় দুর্বার হয়ে উঠছে। সে মানেনা কোন সামাজিক বাধা নিষেধ, কেবলই সে একমাত্র বশ্যতা স্বীকার করেছে তাদের ভোগের দুর্নিবার আকর্ষণের কাছে। শুধু কি তাই! তার পিছনে আছে মধ্যযুগীয় সামন্তপ্রভুদের মতো অযাচিতভাবে জমি হরণ আর প্রাচীন যুগের সেই বিজয়ী অত্যাচারী আক্রমণকারীদের মতো বিজিত অঞ্চলের নারীদের উপর যারপরনাই ভোগের উন্মাদনা, যেন গোটা অঞ্চলের নারীরা কারোর স্ত্রী কিংবা কারোর মা নয়, তাদের একটিমাত্র পরিচয় তাদের কাছে, তারা হারেমের বাদী ছাড়া আর কিছু নয়।
ইতিহাসের গতিশীলতা
সেই সব অন্ধকার দিনগুলিকে কবে মানুষ ফেলে এসে ইতিহাসের পাতায় তাদের যোগ্যতম স্থান করে দিয়েছিল আজ আবার কি করে সেই কালোমেঘ এই দেশের আকাশে বাতাসকে কলুষিত করলো। আজ থেকে হয়তো কয়েকযুগ পরে একদল সমাজসংস্কারকরা তার কারণ খুজবেন, সমাজের ঘটনা প্রবাহকে নিত্যাভ্যাসের মতো ঐতিহাসিকরা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে দেবে। নৃতত্ববিদেরা খুজবেন তাদের ক্রমবিকাশ ও তাদের জিনের ইতিহাস।
নাম তার বক রাক্ষস
কোথায় হারিয়ে গেছে মহাভারতের সেই একচক্র নগরী, যেখানে এক বক রাক্ষস পালাক্রমে প্রত্যেক বাড়ি থেকে খাদ্য হিসাবে বাড়ির একজনকে ভোগ করতো। অবিসংবাদিত ক্ষমতার অধিকারী বক রাক্ষসকে এই কাজ থেকে বিরত করার মতো কেউ ছিল না। অবশেষে কালের নিয়মে ভীমের ন্যায় এক শক্তিশালী পুরুষের আবির্ভাবে আর তার সঙ্গে পৃথার ন্যায় এক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার এক নৈতিক সমর্থনকারী এবং প্রেরণাদাত্রী মা'র আবির্ভাবে। যিনি শুধু মাত্র পান্ডবদের মাতার ভূমিকার মধ্যে নিজেকে সীমিত না রেখে নিজেকে সার্বজনীন মাতা হিসাবে মহাভারতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নিজের কারিশ্মায়। পুত্ররূপী প্রশাসন আর মাতৃরূপী প্রশাসক এই দুইয়ের যৌথ সহযোগিতায় বিনাশ হলো বক রাক্ষসের একছত্র সন্ত্রাস।
কিন্তু ইতিহাস বলছে আত্মঅহংকারে বলীয়ান বকেরা একেবারে শেষ হয়ে যায় না, ইতিহাস থেকে তারা কখনই শিক্ষা নেয় না, উল্কার মতো তাদের আবির্ভাব আবার বর্ষার মেঘের মতো তাদের তিরোধান। অবশ্য এই বকেরা চিরকালই ভীমের হাতে বিনাশ হয়েছে, সেটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য, আমরা চাই বা না চাই তাতে সময়ের নিয়মের কিছু আসে যায় না।
পৃথাদের খোঁজে
আজ সেই গৌরবময়ী সার্বজনীন মাতা পৃথাও নেই, যা আছে সে আবার ক্ষুদ্র স্বার্থের বেড়াজালে নিজেই আবদ্ধ আর সেই বন্দিনী মাতার আদেশে নিয়ন্ত্রিত ভীমের শক্তির ছটা , তাই বকেরা আজ ভীষণ উজ্জীবিত। তাই তো ইতিহাসের সেই না বলা গল্পের প্রচ্ছদটা উন্মোচিত হল জনসমক্ষে, অতি পরিচিত সেই দিন বদলের পালা হিসাবে। গ্রামের বাড়িগুলি থেকে নারীরা একটু একটু করে শক্তিগুলিকে মহোৎসবের বাড়ি বাড়ি সংগৃহিত চাঁদার মতো সংহত করে ভীমের শক্তির একক হিসাবে একদল বক রাক্ষসদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল। সেখানে বিবেক হলো পৃথা আর ভীম হলো সেই সর্বংসহা নারী শক্তি। সেইসব বক রাক্ষসরা , যারা ক্ষুধার নিবৃত্তির জন্য প্রায় দিনই আশপাশের গ্রাম থেকে একেক দিন একাধিক পরিবার থেকে নৈবিদ্য আকারে তাদের ভোগের জন্য বিভিন্ন পরিবার থেকে নারীদের সংগ্রহ করে এক দৃষ্টান্তমূলক অপসংস্কৃতির চারা সমাজে রোপন করে চলছিল, তারা এই যুগের ভীমের অনুপস্থিতিতে আজকের সেই নারীরা তাদের সম্মিলিত শক্তির দ্বারা সেই পশু শক্তিকে পদানত করলো। সেদিন ভীম যদি শক্তির একক প্রতীক হয়ে থাকে তবে আজকে সেই শক্তির একক হলো সম্মিলিত নারী শক্তি। প্রশ্ন হলো কি ভাবে আমাদের সমাজটা ক্রমেই অধোগতির দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করলো এবং তার সৃষ্টি ও লয়ের যোগটা কেমন। তাকে খুঁজতে গেলে ভারতবর্ষের সংস্কৃতির ক্রমবির্তনের ইতিহাসের মধ্যেই খুঁজতে হবে।
দেশ ও সংস্কৃতি
ভারতের সংস্কৃতি এই পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সংস্কৃতি। এর মুলে আছে বৈদিক সভ্যতা। ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের এই চার বর্গ নিয়ে গঠিত পুরুষার্থ ছিল সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল মন্ত্র । তার পরিবর্তে যখন কাম হয়েছে দেবতা আর অর্থ হয়েছে তার পুরোহিত সেখানে ধর্ম আর মোক্ষ চিরতরে বনবাসে চলে গেছে। সেখানে কারোর সাধ্য নেই সেই সমাজকে ধংসের হাত থেকে রক্ষা করার। একে একমাত্র আধ্যাত্মিক মননই এই অবমনন রক্ষা করতে পারে। বরং এটাকে অভ্যাস বলা ভালো। এই অধ্যাত্মিকতা মানে মন্দিরের ঘন্টা ধ্বনি নয় কিংবা উপোস থেকে পূজা নির্ঘণ্টও নয়, এটা একটা মানসিক পরিমন্ডল যা ভাবতে শেখায় আমি এবং আমার পাশের মানুষটা স্বরূপগতভাবে এক। আবার তর্কের নিয়মে বলতে হয় যারা দেশের সংস্কৃতির বিরোধিতা করে তারা কি করে দেশ সেবক হতে পারে ?
প্রাচীন সাহিত্যে ভারতীয় সমাজে নারীর অবস্থানকে দেখে এসেছি। যেখানে নারীকে সৌন্দর্য্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে ' ব্রাহ্মণ' সাহিত্যে। একাধারে নৈসর্গিক ও অর্থনৈতিক পটভূমিতে নারীকে আমাদের সমাজ প্রতক্ষ্য করেছে।
আবার অন্যদিকে সামন্ততান্ত্রিক সমাজে নারী পুরুষের দ্বারা পদদলিত হতেও দেখা যায়। বিবাহিত নারীকে উর্বর জমি ছাড়া বোধহয় অন্যকিছু বলে ভাবা হতো না। এই প্রসঙ্গে শতপথ ব্রাহ্মণে উল্লেখিত একটা বিধিকে উল্লেখ করা যেতে পারে [৫ : ২ : ৩,১৩ ] যেখানে পুত্রহীনা নারীকে ত্যাগ করার বিধান দেওয়া আছে।
আবার শতপথ ব্রাহ্মণের অন্তর্গত একটি দেবকাহিনীতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে [ ৪ : ৪ : ২ : ১৩ ] ' নারীর কোন অধিকার নেই তার শরীরের উপর এবং উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রেও সে ব্রাত্য। "
নারীর সৃষ্টি কেবলমাত্র পুরুষের বংশরক্ষা আর ঘরের কাজ করার জন্য। যারা সমাজে ক্ষমতাশালী তারা ৪ জন পত্নীর সাথে একজন পরিচারিকা এবং ভোগের জন্য ৪০০ জন দাসী রাখাটা ছিল সে যুগের সামাজিক প্রতিপত্তির নমুনা। [ শতপথ ব্রাহ্মণ ১৩ : ৪ : ২ : ৮ ]
যজুর্বেদের দিকে নজর দিলে দেখা যায় নারী ও শূদ্রকে এক পক্তিতে বসানো হয়েছে। কারণ,এরা দুজনেই ভরণ পোষনের জন্য গৃহকর্তার উপর নির্ভরশীল। তাই স্ত্রী হলো "ভার্যা " আর শূদ্র হলো 'ভৃত্য" এই দুই শ্রেণীর ভরনের দায়িত্ব কর্তার। আবার যেহেতু শূদ্ররা পরনির্ভরশীল, তাই তাদের স্ত্রীকে অন্য বর্গের পুরুষরা যথেচ্ছ ভোগ করতে পারে। এই সব শাস্ত্র কতৃক মান্যতা শূদ্র ও নারী জাতিকে সবরকমের মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিলেন।
সামন্ততান্ত্রিক সমাজে খাজনার রকমফের আছে। সামন্ত প্রভুদের কৃষকরা যেমন জমির জন্য খাজনা দিত আবার পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের বিবাহের সময়ে পণ দেওয়াও এক ধরনের খাজনা। অর্থনীতি যেখানে চালকের আসনে বসে, সেখানে সমাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি তাকেই অনুসরণ করে। সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে অর্থই ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখে। সুতরাং অর্থবান ও তার লেজুরবর্গ হচ্ছে উচ্চ শ্রেণী আর ক্ষমতাহীনরা তথাকথিত জাত-পাত, ধর্ম নির্বিশেষে শূদ্র শ্রেণী। রাষ্ট্র যখন তাদের অর্ধ শিক্ষিত অনুচরদের বোঝায় শূদ্র ও নারী তাঁরা রাষ্টের দেওয়া রুটির উপর নির্ভরশীল। তখন তারা আমাদের প্রাচীন শাস্ত্র যজুর্বেদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী পরনির্ভরশীল শূদ্রের স্ত্রীদের যথেচ্ছভাবে ভোগ করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত হবে, এটাই বাস্তব এবং তার প্ৰতিফলন এই মন্তব্যের যথেষ্ট প্রমান।
মনে রাখার প্রয়োজন যে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে রিপু বাস করে, তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার জন্য সংস্কৃতি অতন্দ্র পাহারাদার হিসাবে বসে থাকে। যখন জগৎ জননী মাতা শুধুমাত্র নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের পুত্রদের অপসংস্কৃতি দিয়ে বাস্তবকে ভুলিয়ে রাখে, তখনিই ঘুমন্ত রিপুরা জাগ্রত হয় এবং হিংসাদ্বেষ ছড়াতে শুরু করে।
স্বামীজীর দৃষ্টিতে নারী
"যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমস্তে তত্র দেবতা। যত্রৈতাস্তু ন পূজ্যন্তে সর্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ। " অর্থাৎ যেখানে নারীরা পূজিতা হন, সেখানে দেবতারা আনন্দ করে থাকেন। স্বামী বিবেকানন্দ সামগ্রিকভাবে তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমেরিকায় এক সম্বর্ধনা সভায় বলেছিলেন "পূর্ণ নারীত্বের আদর্শ পূর্ণ স্বাধীনতা। " স্বামীজী তার নিজের ভাবধারার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে সারা পৃথিবীতে সেই উপলদ্ধিকে তার বাণী ও রচনার মধ্যে তুলে ধরেছেন। "
কেন ভাবতে হচ্ছে
যদি স্বামী বিবেকানন্দের ভাবনাকে মান্যতা দিতে হয়, তাহলে অবশ্যিই এই ভাবনার বিপরীত স্রোতে বয়ে যাওয়া সামাজিক বিচ্যুতির সুদূর প্রসারী ফলের প্রভাব থেকে সমাজকে রক্ষা করাটা অন্যতম কর্তব্য।
ক্রমশঃ
তারিখ -২১/০৩/২৪
rabinujaan.blogspot.com ক্লিক করে যে কোন সার্চ ইঞ্জিন থেকে অন্যান্য ব্লগগুলি পড়া যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন