6. আত্মত্যাগ কখন ও কখন ও আত্মহত্যার সামিল হয়।

 আত্মত্যাগ কখন ও কখন ও  আত্মহত্যার সামিল হয়।




স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা    নকশাল   বাড়ির আন্দোলন।  রোমান্টিকতায় , নিষ্ঠায় , স্বার্থহীনতার আদর্শে ভারতের  ইতিহাসে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে।

আন্দোলনের অভিমুখ সঠিক বা বেঠিক যাই হোক না কেন, তবুও সেটা বর্তমান   রাজনীতির    অনুজ্জ্বল   চেহারার থেকে  শত  যোজন  দূরে ছিল এবং আগামী দিনে তা দৃষ্টান্ত হিসাবে থাকবে।


       এই আন্দোলনের শুরু হয়েছিল উত্তর বাংলার প্রত্যন্ত গ্রাম নকশাল বাড়ি অঞ্চলে, তাই সেই আন্দোলন নকশাল আন্দোলন নাম খ্যাত। এর ব্যাপ্তি পরবর্তী সময় পশ্চিমবাংলার সীমারেখাকে অতিক্রম করে ওড়িশা, ছত্রিশগড় , অন্ধ্রপ্রদেশ- বিস্তার লাভ করে। ২০১৭ সালের মে মাসে তার ৫০ বছর পূর্ণ হল। 

১৯৭০ সাল , গ্রাম বাংলা শহরের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছিল 'চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান ' , 'পার্লামেন্ট শুয়োরের খোয়ার ' , 'বন্দুকের নলই  ক্ষমতার উৎস' , ইত্যাদি ইত্যাদি। ১৯৬৭ সালে সশস্র  আন্দোলনের মাধ্যমে জোতদারের কাছ থেকে জমি কেড়ে নিয়ে ভূমিহীন  কৃষকদের মধ্যে বন্টন করাই ছিল এই আন্দোলনের প্রাথমিক পদক্ষেপ। আর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ছিল শহর অঞ্চলের শিক্ষিত যুব আর ছাত্র সম্প্রদায়।  

অতি সংক্ষিপ্ত পরিসরে সেইদিনের বিপ্লবীরা পরিচিত হল , দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের সাথে, দাস ক্যাপিটালের সাথে, সমাজ বিবর্তনের ইতিহাসের সাথে, লেনিনবাদের সাথে, মাওবাদের সাথে, ভো নগুয়েন গিয়াপের আর চে গুয়েভারার গেরিলা রণনীতির সাথে এবং সর্বোপরি  বিশ্ব ইতিহাসের দেশের ঐতিহ্যের সাথে একাত্ম হবার পালা সারা করে , দলে দলে ছাত্র যুবক সীমিত জ্ঞান অনভিজ্ঞতার পুঁজিকে সম্বল করে সংগঠিত শক্তির বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দেশকে  শোষনের কবল থেকে মুক্ত করবে বলে। 

আন্দোলনের রোমান্টিকতা , সমাজের খেটে  খাওয়া নিচু তলার মানুষদের সমাজের একজন হিসাবে স্বীকৃতি , গ্রামের প্রান্তিক কৃষকের পাশে  দাঁড়িয়ে তাদের ব্যথায় সমব্যথী হবার মধ্যে যে অনাবিল আনন্দ অথবা, দেশের  বন্ধ হয়ে যাওয়া কল-কারখানার শ্রমিকদের সপ্তাহের রেশন হাতে তুলে দেওয়ার পর তাদের  নীরব কৃতজ্ঞতার চাহনির অনুভূতি অথবা অনভ্যস্ত হাতে নিষিদ্ধ গর্হিত বস্তুকে প্রথম স্পর্শ করার অনুভূতি, যেন জীবনে প্রথম প্রেমিকার আলিঙ্গনের স্বাদ, অথবা রাতের অন্ধকারের স্বল্প মোমবাতির আলোয় নিষিদ্ধ বই  পড়ার মতো রেড বুক পড়া, অথবা আগামী দিনে কোথাও কোন ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনার মধ্যে বিদেশি থ্রিলারের গন্ধ, সবে কৈশোর অতিক্রম করা বিপ্লবীদের কাছে সেটা ছিল এক অসাধারণ রোমাঞ্চকর অনুভূতি। 'মৃত্যু' নামক হতাশা কখন পারেনি তাদের গ্রাস করতে। প্রতিটি স্নায়ুতে, গ্রন্থিতে অনুরণিত হচ্ছিল ভাবি গণ মুক্তির সুরের মূর্ছনা আর সেই সুর বলছিল এই টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে পাওয়া স্বাধীনতা আপামর জনতার স্বাধীনতা নয়, স্বাধীনতা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের একছত্র শোষণ করার অধিকার প্রতিষ্ঠা।  

তাই তারা ভেবেছিল, সাধারণ মানুষের অধিকারকে শোষকদের হাত থেকে উদ্ধার করতে গেলে  প্রয়োজনে  সশস্র আন্দোলনকে সংগঠিত করতে হবে।  তারা এও ভেবেছিলো, সশস্র আন্দোলনে, যদি যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের হাত থেকে পতিত রাইফেলটি  তুলে নেওয়ার জন্য শত শত হাত প্রসারিত যেদিন হবে, ঠিক তখনি সেই বিপ্লবীরা পাবে অমরত্বের মর্যাদা  তাদের বিপ্লবের সাথর্কতা নিয়ে মনে  সন্দেহের কোন অবকাশ ছিলনা। 

স্বপ্নের সাথে বাস্তবের চিরন্তন শত্রূতা আর যৌবন মানে না কোন বাধা, তাই ভাবনার সিঁড়ি বেয়ে হেটে চলা সেই আন্দোলনের পরবর্তী ঘটনা, সেটাত ইতিহাস। 

অবশেষে এলো সেই নিশুতি রাত , অন্ধকারের হাত ধরে শোষকের পেয়াদারা নিঃশব্দে চুরি করে নিয়ে গেল বিপ্লবীদের স্বপ্ন , আর রেখে গেল একগুচ্ছ প্রশ্ন।  প্রমান করার চেষ্টা করলো, 'বন্দুকের নল রাজনৈতিক  ক্ষমতার উৎস' আর সেই ক্ষমতা কেবলমাত্র রাষ্ট্র শক্তিরই আছে এবং তা শুধুমাত্র সামান্য কতগুলি মানুষের স্বার্থ-রক্ষার জন্য। সঙ্কেত দিয়ে গেল, ভুলে যেন বিপ্লবীরা আদর্শের নামে  সেটা ব্যবহার না করে,  তাহলে আগামী দিনে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। 

সেই মৃত্যুর  সরণিতে আজ মানুষ হেটে বেড়ায়, আর প্ৰতিমূহুর্তে মৃত্যু হয় তাদের স্বাধীন ভাবনার,সংস্কৃতির , ইচ্ছার। ক্রমেই ভিতরে ভিতরে জমে থাকা পুঞ্জিভূত ক্ষোভ এই পৃথিবীর আকাশে বাতাসে গুমরে বেড়ায়। 

আর্দশের কি মৃত্যু হয় ? সেই দিনের আদর্শবাদীরা আজ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছেন।  অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝতে পেরেছেন মতবাদটি ঠিক ছিল কিন্তু মতবাদ প্রয়োগের রাস্তাটা সঠিক ছিলনা।  অবচেতন মনে তাই প্রতিনিয়ত রক্তক্ষরণ হয়ে চলছে।  বতর্মানের রাজনৈতিক পরিমন্ডল এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে তাই তাদের নিশ্বাস নেওয়া দায় হয়ে পড়েছে। 

নকশাল রাজনীতির আলোকে বর্তমান রাজনীতি।  বর্তমানে সব রাজনৈতিক দল নিজ নিজ রাজনীতির পসরা সাজিয়ে বসেছেন আর বলছেন আসুন, আমাদের দোকানে সবচেয়ে সেরা জিনিসটা পাওয়া যায়, এতে আপনাদের প্রয়োজন মিটবে।  জনগণ সে আমন্ত্রণে সারা দিচ্ছে আর পাঁচ বছরের জন্য ঠকছে , অপেক্ষা করেছে আবার একটা নিবার্চনের জন্য , যেখানে তারা জবাব দেবে বলে। এরই মধ্যে সেই পুরানো জিনিসগুলিকে নতুন মোড়কে সাজিয়ে জনতাকে পরিবেশন, তা দেখে আবার তারা ভুলে যায়। নিত্যদিন প্রচারমাধ্যম আর বিবৃতি দিয়ে সব দল জাহির করে অন্যের থেকে আমিই সেরা। 

এই সমাজে শৈশব থেকে শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্য্যন্ত মানুষের নিজের অস্তিত্বকে রক্ষা করার জন্য নূণ্যতম চাহিদা থাকে, এই চাহিদা পূরণের জন্য তাকে মূল্য গুনতে হয়, তা যে কোন আকারেই হোক না কেন। সেক্ষেত্রে, সমাজে বা পরিবারে আর্থিক বা সামাজিক ভাবে বলশালী শক্তির উপর আর্থিক শক্তিহীন সঙ্খ্যাগরিষ্ঠদের  নির্ভরশীল হতে হয়  সাধারন মানুষের এই মানব সৃষ্ট্য আর্থিক দুব্বর্লতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দেশের সকল রাজনৈতিক দল গুলি ( আবার সেটাকে যত্ন করে লালন পালন করা হয় যাতে কোন অবস্থায় , তাদের আর্থিক উন্নতি প্রকৃত শিক্ষার থেকে যেন সবসময় দূরে থাকে ) ভোট প্রারম্ভে , বড় বড় গলায় প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেয়।  সাধারণ মানুষ  তাদের শেষ সম্বল ভোট নামক কয়েনটা রাজনৈতিক ব্যাপারীর কাছে  বিক্রি করে প্রতিশ্রুতি কেনে। 

এখন প্রশ্ন হল, এই অসাম্য কেন? কেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সঙ্খ্যাগরিষ্ঠ অংশ সব রকমের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত কেন ? কোথায় লুকিয়ে আছে সেই রহস্য ? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পন্ডিতগণ সমস্বরে বলেছেন, সমাজে অর্থনৈতিক অসাম্যই হচ্ছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ব্যর্থ্তার অন্যতম দুর্বলতার কারণ, কাঠামোটা সেক্ষেত্রে ধনতান্ত্রিক রূপ ধারণ করে।  একচেটিয়া পুঁজি সে অর্থে অর্থনীতি  সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে।  খুব সাধারণ ভাবে বলা যায় , যে প্রত্যেক পরিবারের মূল আর্থিক পরিকাঠামো নির্ভর করে সংসারের মূল উপাজর্নকারীর উপর , ঠিক তেমনি যে দেশের আর্থিক যোগানদার যে গুটি কয়েক পরিবার, সে তো সরকার নামক সংসারকে  নিয়ন্ত্রণ করবেই, এটাই বাস্তব এবং  তাকে তো যে কোনো সরকার খোশামদ করবেই, নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য  এক ধরনের অলিখিত চুক্তি এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করা সরকারের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য।  এটাকেই বোধহয় সিস্টেম বলে। স্বাভাবিক ভাবেই সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার সাথে উক্ত ব্যবস্থার আদর্শগত বিরোধ থাকবেই  

সমাজে নিত্য দিন কত মূল্যবোধের মৃত্যু হচ্ছে , তার হিসাব কে রাখে।  সামাজিক অবক্ষয়ের কারনে কত অস্মানিত , অনৈতিক ঘটনাবলী সমাজে মান্যতা পাচ্ছে , তার প্রতিক্রিয়া ভীষণ দুর্বল।  পূর্বে রাজনৈতিক নেতাদের ভাবমূর্তি জনমানসকে প্রভাবিত করতো।  আজ কিন্তু উৎকোচ গ্রহণ, নৈতিকতাহীন জীবনযাপন , অপরাধমূলক কাজকর্ম নেতা হবার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে, আশ্চর্য্য এই যে, সেটা আজ সমাজ মেনে নিয়েছে। 

এই স্বার্থপর রাজনীতিতে  সেদিনের নকশাল আন্দোলন নিঃসন্দেহে স্বার্থহীনতার এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত।  আদর্শের মানদন্ডে, বর্তমানের ছাত্র রাজনীতি আর যুব সম্প্রদায়ের অধিকাংশের নৈতিকতার ভিত্তি অবশ্যিই সেদিনের ছাত্র-যুবাদের সাথে কখনই তুলনীয় নয়, সে কথা সহজেই অনুমেয়।  যাদের বয়স আজ ৬০ বছর বা তার উর্ধে তারা সহজেই বুঝতে পারবেন। 

সংক্ষেপে নকশাল বাড়ির আন্দোলনের  রাজনৈতিক মূল্যায়ন। পার্টি  বিপ্লবীদের বোঝালো দেশে সশস্র বিপ্লবের ক্ষেত্র প্রস্তুত অতএব সশস্র বিপ্লবের কর্মপন্থা অনুযায়ী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার কাজে লেগে যাও।  প্রশ্ন রয়ে গেল , দেশের সংগ্রামী শক্তিকে অসংগঠিত রেখে,সাধারণ মানুষকে দর্শকের ভূমিকায় রেখে কোন মন্ত্রবলে ক্ষমতা দখল করবে। এই দেশে আর যাই হোক একটি সংবিধান আছে  এবং তাকে রক্ষা করার জন্য একটা উপযুক্ত ব্যৱস্থা আছে এটি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত   এটিকে নাকচ করার অর্থ হল কেন্দ্রীয় শক্তিকে অস্বীকার করা।  সেইসময়ের জাতীয় পরিবেশ ছিল বিপ্লবের জন্য অনুপযুক্ত। বেশিরভাগ জনসাধারণ প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল এবং সেই দলগুলি নির্বাচনের মোহ কাটিয়ে উঠেনি। এই মোহকে চেষ্টা করা হয়নি বাস্তবতার  ভিত্তিতে অস্বীকার করানোর এবং সেই সঙ্গে জনমত গঠিত হয়নি যে, যদি দলগুলি ভিন্নপন্থায় এগোতে চায় , তাহলে সেটা হবে বিপ্লবের বিরুদ্ধে কাজ করা এবং তা জনমত বিরোধী। 



মার্ক্সীয় মতবাদের সঠিক মূল্যায়নের অভাবে , প্রয়োগের ক্ষেত্রে পদে পদে অপরিণামদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিল। শ্রেণী শত্রূ নির্ধারণে শিশুসুলভ ব্যাখ্যা এবং তাকে বাস্তবায়িত করতে গিয়ে ভিন্ন রাজনৈতিক মতালম্বীর সাধারণ মানুষ আর পুলিশকে হত্যা।বুর্জোয়া শিক্ষার স্লোগান তুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর আঘাত এবং একের পর এক মনীষীদের মূর্তি ভাঙা ইত্যাদি ইত্যাদি। এই আন্দোলনকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। 

বিপ্লবী দল আর জনগণ হচ্ছে একে অন্যের পরিপূরক।  গাছ যেমন মাটি ছাড়া বাঁচতে পারেনা, ঠিক তেমনি বিপ্লবী দল জনগনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাঁচতে পারেনা।  নকশাল আন্দোলনের ক্ষেত্রে কথাটি প্রযোজ্য।  তাই দেশের জন্য আত্মত্যাগ যখন মূল লক্ষ্য দেশকে শোষণ থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে অসফল হল তখন তা অবশ্যই আত্মহত্যার সামিল , যদিও নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। 



শোষক দলের প্রতিক্রিয়াশোষক দল এই সময়ে শুরু করে দেয় জনতার পার্টি দিয়ে জনতার বিরোধিতা করা , বিপ্লবের বুলি দিয়ে বিপ্লবের বিরোধিতা করা। জাত পাতের পুরোনো খেলা তার সাথে আছেআজ তাই গড়ে উঠেছে স্কুল, কলেজে, খেতে খামারে, শিল্পে কারখানায় , রাজ্যে রাজ্যে গন্ডায় গন্ডায় মতবাদ আর দল। 

এই বিভ্রান্তিকর অবস্থার মধ্যে থেকে দেশ মুক্তি পাবে কিনা তা নির্ভর করেছে , এই দলগুলির হাত থেকে মানুষ  মুক্তি পাবে কি না তার উপর।  সমস্ত আবার নির্ভর করেছে জনগনের জ্ঞান সঞ্চয়ের বাস্তব পরিস্থিতির উপর।  বাস্তব পরিস্থিতি হল নিজ জ্ঞানেন্দ্রিয়র উপর  নির্ভর করা। এই তথাকথিত পত্র পত্রিকা বা বক্তার  বক্তিতা বা বিজ্ঞাপনের উপর নয়। এই পত্র পত্রিকাগুলি, সমগ্র ইতিহাস জুড়ে জনতাকে শুধু ভুল বুঝিয়েছে , স্বাধীনভাবে ভাবতে শিখায় নি। 

কেউ কেউ এই প্রশ্নটি করে যে, নকশাল আন্দোলনকে ভুল পথে চালিত করার পিছনে কি কোন অজানা শক্তির নিপুন হাত ছিল ? হয়ত ইতিহাস একদিন তার উত্তর দেবে। 

Blogger -
Rabin Majumder


















  

মন্তব্যসমূহ

নামহীন বলেছেন…
Good

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

(২৩১) মানুষ থেকে নক্ষত্রে উত্তরণ

(২৩৩) একটি ফোঁড়ার জন্মবৃত্তান্ত -

(২৩২)বোধোদয়