চঞ্চলতা কি অপূর্ন ইচ্ছার প্রকাশ ?
চঞ্চলতা কি অপূর্ন ইচ্ছার প্রকাশ ?
আমাদের ইন্দ্রিয়ের দ্বারা বাহ্য প্রকৃতি থেকে সব কিছু আহরণ করি । ইন্দ্রিয়ের মূল কাজ হলো বাহ্য প্রকৃতি থেকে গ্রহণ করে অন্তঃপ্রকৃতিতে পাঠিয়ে দেওয়া। অপরীক্ষিত বাহ্যিক সব সংবাদগুলি মনের একটি ক্ষণস্থায়ী স্থানে অবস্থান করে। (কম্পিউটারের বাফার এরিয়ার মতো ) সংবাদ বা ডাটা মনের স্থায়ী জায়গায় পাঠানোর পূর্বে বিচার-বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করার পদ্ধতি আছে , এই পদ্ধতিটা এক জনের থেকে অন্যজনের নির্ধারণের পদ্ধতি আলাদা আলাদা হয়, কেননা তা নির্ভর করে প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ জ্ঞানের গভীরতার উপর। সেই অনুযায়ী তাকে (ডাটাকে)দেখে নিয়ে প্রক্রিয়াকরন বিভাগে পাঠিয়ে দেয়। নির্ধারিত প্রক্রিয়াগুলিই ক্রমানুসারে বাস্তবায়িত করার পথে এগিয়ে যায়।
বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে জন্ম হয় ইচ্ছার। ইচ্ছার রূপকে বাস্তবায়িত করার জন্য মনের মধ্যে যে আন্দোলন হয় তার প্রকাশ হচ্ছে চঞ্চলতা। যেমন একটি নিস্তরঙ্গ দীঘিতে একটা ঢিল ছুড়ে ফেলে দিলে সেই দীঘির জল আন্দোলিত হয়ে উঠে। আবার চঞ্চলতা প্রশমিত হয় ইচ্ছার পূরণে। যতোক্ষন ইচ্ছার পূরণ হয়না, সে সময়ে জন্ম হয় চিন্তার আর চিন্তা যেখানে লক্ষহীন হয় জন্ম নেয় উত্তেজনার, এই সব মিলিয়ে জন্ম নেয় মানসিক এবং তার সর্বশেষ পরিণতি শারীরিক অসুস্থতা। জীবন তখন ধীরে ধীরে শুখিয়ে যায়।
গোটা ঘটনার মধ্যে ভীষণ উল্লেখযোগ্য জায়গা হল বাহ্যিক খবরকে গ্রহণ করার পূর্বে বুদ্ধি বিবেচনার মাধ্যমে মানুষের মূল স্রোতে জায়গা দেওয়ার দরকার আছে কিনা তাকে বিচার করার । অর্থাৎ ইন্দ্রিয়ের উপর নজরদারি। সেখানে জ্ঞানই হচ্ছে একমাত্র জায়গা, সঠিক দিশারী, যে অযাচিতভাবে মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
Rabin
মন্তব্যসমূহ