মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - নবম অধ্যায়
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - নবম অধ্যায়
মানব সভ্যতার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পশুর চাহিদা অল্পেতেই মিটে যায়, সেখানে মানুষের চাহিদা সীমাকে ছাড়িয়ে যায়। এই প্রবণতা তাকে জীব জগতে শ্রেষ্ঠত্বের আসন অধিকার করতে সাহায্য করেছে। অতীতের সংষ্কৃতিকে বহন করে ভৱিষ্যতের হাতে তুলে দিয়ে সংস্কৃতির আবহমান গতিকে নিরন্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে একমাত্র সাহিত্যই ,তাই সে সংস্কৃতির পিতৃত্বের দাবিদার। শুধু মাত্র " যজ্ঞের বেদীর আগুন থেকে তার জন্ম তাই তার নাম যাজ্ঞসেনী " - এই বাক্যটা বাধ্য করছে সাহিত্যের অলিতে গলিতে এই রূপকের অর্থ খুঁজতে। কখন ঋগ্বেদে, কখন বৃহদারণ্যক উপনিষদে, কখন বাৎসায়নের কামশাস্রে, আবার কখন বা মোনিয়ার উইলিয়ামসের ডিকশনারিতে।
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী অষ্টম অধ্যায়ের পর। ...........
তবেত্তং সত্য মঙ্গিরঃ ।।
অগ্নিরস বা অঙ্গিরাকে একটি কাহিনীতে অগ্নির সন্তান হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে। অগ্নিরসের জন্ম জলন্ত কাঠের আগুন থেকে। অঙ্গিরস বা অঙ্গির শব্দ থেকে এসেছে অঙ্গার।
তৎ ইত সত্যম অঙ্গির - যজ্ঞ করে যজমান যা পেলেন তা অগ্নির করুনায়, তাই বলছে, এগুলো সত্যিই তোমার। মানুষ তার সীমাব্ধতাকে অস্বীকার করতে পারেনা, তাই বলে ঈশ্বরের দয়ায় সে সব কিছু পেয়েছে।
নমো ভরন্ত এমসি।
উপত্বাগ্নে - হে অগ্নি, দোষাবস্তুঃ- যিনি দোষের অবসান ঘটান। প্রত্যহ সকালে এবং বিকালে আমরা আপনাকে বন্দনা করি, যেহেতু আমরা বন্দনা করি, সেহেতু আমাদের দাবী জন্মায়, আপনার কাছ থেকে আমাদের কাঙ্খিত বস্তুর পাবার। "নমো ভরন্ত এমসি" - আপনি আমাদের পূজা গ্রহণ করুন, সকল দেবতাকে আহ্বান করুন, যাদের আমরা আপনার মাধ্যমে আহবান জানাচ্ছি।
বর্ধমানং স্বে দমে।।
যার মধ্যে ঐশ্বরিক শক্তি বর্তমান তার পাশে সব তেজই নিষ্প্রভ, যেমন রাত্রিতে পূর্ণ চাঁদের আলোয় বহু জোতিষ্ক তার রূপকে প্রকাশ করতে পারেনা। আবার সেই চাঁদের সব আলোর অবশিষ্ট কিছুই থাকে না যখন আকাশে সূর্য্যের আবির্ভাব ঘটে।
ক্রমশঃ
ব্লগার : রবীন মজুমদার
১৬-১১-২১, সকাল ৬:৫৩
কলকাতা
মন্তব্যসমূহ