নারদের মর্ত্যে ভ্রমণ - ১৭তম অধ্যায়
নারদের মর্ত্যে ভ্রমণ - ১৭তম অধ্যায়
[ বিশাল কনফারেন্স রুম - উপস্থিত দেবরাজ ইন্দ্র , অগ্নিদেব, ম্যাডাম সরস্বতী ,বেদব্যাস , ঋষি যাজ্ঞবল্ক , ঋষি পৈলাক, ঋষি বৈশম্পায়ন, ঋষি জৈমিনী , ঋষি সুমন্ত , বিশ্বামিত্র মুনি, বৈশিষ্ঠ মুনি , বাল্মীকি মুনি, শ্রী গৌড়পাদাচার্য্য , ঋষি গোবিন্দ ভাগবতপাদ , ঋষি শঙ্করাচার্য্য এবং নারদ - এজেন্ডার সিডিউল অনুযায়ী ষষ্ঠদশ অধ্যায়ের পর স্বর্গে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক অবনতির জন্য মর্তে ব্যবসায়িকভাবে শিক্ষা ব্যাবস্থার প্রচলন এবং সেই উপলক্ষে আলোচনা ]
(নারদের মর্ত্যে ভ্রমণ - ১৬তম অধ্যায়ের পরে। .)
দেবরাজ ইন্দ্র : প্রথমেই জানিয়ে রাখি নারদমশাই "Diploma in Professional Political Services " যে কোর্সটি ইনট্রোডিউস করবেন বলে ঠিক করেছিলেন, তা আমাদের সর্ব্বোচ কমিটি অনুমোদন দেন নি। তাই আমরা ঠিক করেছি, আমাদের প্রাচীনতম শিক্ষাকে, আধুনিকতর উপায়ে মর্তে কোর্স আকারে শুরু করব এবং তার জন্য সর্বপ্রথম একটা কমিটি গঠন করা হবে। তার নিচে অনেক উপ কমিটি থাকবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। তৈরী হয়ে যাওয়া কোর্সগুলি কোয়ালিটি কন্ট্রোলে পাশ করলেই সেটা বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে। স্বর্গে সবাই থাকার দরুন, যাদের যাদের প্রয়োজন তাদের ডেকে নিতে পারবেন।
অগ্নিদেব : সাধু সাধু।
বেদব্যাস : অতীব উত্তম।
ঋষি শঙ্করাচার্য্য : ঠিক ঠিক।
দেবরাজ ইন্দ্র : আমার একটা সাজেশন আছে। হাতে সময় কম তাই চারটি টীম গঠন করুন। একটা টিম ধারাবাহিকভাবে যে যে বিষয়ের উপর ডকুমেন্টেশন হয়ে গেছে, সে গুলিকে দ্বিতীয় টীম অর্থাৎ স্ক্রীনিং কমিটিতে পাশ করিয়ে তৃতীয় টীম যারা ট্রেনিং কন্ডাক্ট করছে তাদের দিয়ে ট্রেনিংয়ের কাজ শুরু করে দিতে পারেন আর চতুর্থ টিমটি ব্যাক এন্ডে পরবর্তী কোর্স গুলি তৈরি করতে থাকবে।
ম্যাডাম সরস্বতী : ইন্দ্রদা আপনার এই ধরনের প্রতিভার কথা জানা ছিল না। ভালো যুদ্ধ করতেন আর একটু ইয়ে করতেন আর কি। মার্কেটিং কি ভাবে করবেন ইন্দ্র দা ?
দেবরাজ ইন্দ্র : আমরা একই সাথে দেশ এবং বিদেশের বাজার ধরব। আমাদের কার্যক্রমের অত্যন্ত শক্তিশালী জায়গা হল, মানুষের মনের উপর কাজ করে। আর দুর্বল জায়গা হল, টার্গেট অডিয়েন্স অত্যন্ত কম। সুতরাং, সমস্যা চিহ্নিত হয়ে গেছে, এবার বাকি তার সমাধান। কি আছে ভারতীয় শিক্ষায় ? কিছু এলিট স্কুল ও কলেজ আর ঠিক তার পাশাপাশি বেশ কিছু সাধারনমানের স্কুল ও কলেজ , এরা অনুকরণপ্রিয়। একটা নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রের সাথে একটি সাধারণ মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া ছাত্রের মৌলিক পার্থক্যের জায়গা হচ্ছে হাইট অফ কন্সেন্ট্রেশন বা একাগ্রতার তারতম্য। এই একাগ্রতার বাস হচ্ছে মানুষের মনে চেতনার জায়গায় আর সেইটা নিয়ে সৃষ্টির শুরু থেকে আমরাই কাজ করছি সারা পৃথিবীতে। বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনই একটু একটু করে শুরু হয়ে গেছে, আগামী দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিল্প প্রতিষ্ঠানে আমাদের শিক্ষার প্রসার লাভ করবে। কেননা, অনুকরণ আর অনুসরণ চলবে। আজ এই পর্যন্ত থাক, আগামী দিনে সবাই মিলে কাজ শুরু করে দিন।
ক্রমশঃ
ব্লগার :- রবীন মজুমদার
১৩-১১.-২১
সকাল ৫:২৩
মন্তব্যসমূহ