একটি অক্ষরের গল্প (১১০)
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ৪৬ তম অধ্যায় || (১১০)
Searching for hidden Truth (14)
গত সংখ্যার পর........
ওঁ-কার -
পরিবর্তনের নিয়মানুসারে পূর্ব অবস্থার বিলুপ্তি না হলে নতুন ব্যবস্থার জন্ম হয় না। যেমন, রাত্রির বিলুপ্তিতে দিনের সূচনা হয়। ঠিক তেমনি জাগ্রত, স্বপ্ন এবং সুষুপ্তি, আত্মার এই তিন অবস্থার বিলুপ্তি না হলে আত্মা বা চৈতন্য প্রকাশিত হতে পারে না।
ওঁ-কার এই শব্দটি উচ্চারণ করার জন্য প্রথমে অ-কার বেরিয়ে আসে, এই অ-কার প্রতিনিধিত্ব করে জাগ্রতাবস্থা বা বিশ্বপুরুষের। ওঁ-কারের আদি অবস্থা তাহলে "অ"-কার, এবার এই "অ"-কারের বিলুপ্তির মধ্যে দিয়ে "উ"-কার অর্থাৎ যে প্রতিনিধিত্ব করে স্বপ্নাবস্থাকে বা তৈজস পুরুষের। তাহলে ওঁ-কারের বর্তমান আদি অবস্থা হলো "উ"-কার আর এই অবস্থা অর্থাৎ স্বপ্নাবস্থার বিলুপ্তিতে ওঁ-কার গিয়ে পৌছালো "ম"-কারে, "ম"-কার প্রতিনিধিত্ব করছে সুষুপ্তি কালের বা প্রাজ্ঞ পুরুষ , সেই সময়ে বিলুপ্তি ঘটেছে "অ"-কার এবং "উ"-কারের। এই, সেই সুষুপ্তি কাল যেখানে এসে বিশ্বপুরুষ ("অ"-কার বা জাগ্রত ) আর তৈজস পুরুষ( "উ"-কার বা স্বপ্ন ) প্রাজ্ঞ পুরুষে ("ম"-কার বা সুষুপ্তি ) এসে এক হয়ে যায়।
জাগ্রতকে স্বপ্নাবস্থায় লয় করা আর স্বপ্নাবস্থাকে সুষুপ্তিতে লয় করতে পারলে মানুষের ভোগের ইচ্ছা যেমন থাকেনা, স্বপ্ন ও থাকেনা।
আত্ম দর্শনের বা আত্মজ্ঞানের জন্য ওঁ-কারকে অবলম্বন -ব্লগার -রবীন মজুমদার
মন্তব্যসমূহ