একদা পল্টু বাবু (১২৭)
একদা পল্টু বাবু (১২৭)
মানুষ কিংবা সংগঠন প্রত্যেকেই উত্তরসূরির মধ্যে নিজেকে বা নিজেদেরকে দেখিতে চান ; ইহা তাহাদিগের সহজাত প্রবৃত্তি। আগামী প্রজন্ম কি হইবে তাহা পরিবারের বা সংগঠেনের নেতৃত্ব স্থানীয় সদস্য বা সদস্যরা মনে মনে ঠিক করিয়া থাকেন। যেমন, যে পরিবারের কর্তা ব্যক্তি যদি ডাক্তার হইয়া থাকেন, তবে তিনি চাইবেন তার সন্তানরা তাঁহারই মতো ডাক্তার হউক। সেইরকমই ভাবিয়া অন্যান্য পেশার কর্তাব্যক্তিরা সেইরূপ চাইয়া থাকেন। ঠিক তেমনি পলটু বাবু প্রসিদ্ধ মনোহারী দোকানের কর্নধার, তিনি প্রসিদ্ধ ক্রেতাদের উপযুক্ত মূল্যের বিনিময়ের ওজনে কম মাল সরবরাহ করার কারনে। তাই তার এই অভ্যাসটা যাতে তার পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বর্তায় তাহার জন্য তিনি সেই রূপ গুরুমশাইকে অনেক খুঁজিয়া কৃতকার্য হইলেন না।
এটাই স্বীকার্য যে,পারিবারিক শিক্ষার অন্তে পাঠশালার শিক্ষাগুরুই ছাত্রদের আগামী দিনের নাগরিক তৈয়ারী করিয়া থাকেন। পল্টু বাবু তাহা বিলক্ষণ জানিতেন। তিনি এও জানিতেন,যে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যাহাই হোক না কেন এখানে,বিদ্যালয়ের পরিচালক মন্ডলীই পারেন শিক্ষার অভিমুখ নির্ধারণ করিতে।
অচিরেই পল্টু বাবু তার অর্থ ও প্রতিপত্তির জোরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ামক হইয়া উঠিলেন। তিনি এও জানেন যে কোন পুষ্টিকর পানীয় যদি একজনকে পান কড়াইতে হয় তাহাহইলে তাহাকে গ্লাসেই খাওয়াইতে হইবে আর যদি সবাইকে পরিবেশন করাইতে হয় তাহাহইলে ট্যাংকের জলে মিশানোটাই উত্তম, তাহাতেই সমাজের স্বাস্থ্য রক্ষিত হইবে।এইভাবেই ভিন্ন ধারার পরম্পরা তৈরি হয়, তাহার মধ্যে কোনটি কাম্য হইবে তাহা সমাজ কতৃক নির্ধারিত হওয়াই বাঞ্চনীয়।
ক্ৰমশঃ
ব্লগার -রবীন মজুমদার
মন্তব্যসমূহ