পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মেলবন্ধন -(১৪৮)

ছবি
  মেলবন্ধন -(১৪৮) ( "পরম্পরা"র  পর....)            অনিন্দ্য লিভ-ইনের বর্ণনা দিতে গিয়ে  মানব সভ্যতার  ভীষণ বাস্তব দিকগুলি বলে গেলো।  আমি, তোমাদের এই বাস্তবতার নেপথ্যে  যে দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক সত্য  আছে, সেটাকে তুলে ধরতে চাই - এই বলে আলোচনার গতিপথটা সৃঞ্জনী নিজের দিকে নিয়ে এলো।         সৃষ্টি ও যৌনতা একে অন্যের পরিপূরক।    সৃষ্টি করতে গেলে দুটি জিনিসের প্রয়োজন। "ইন্টেলিজেন্স কজ " এবং "মেটেরিয়াল কজ" অর্থাৎ একজন বানাবেন আর কি দিয়ে তিনি বানাবেন।  এই দুইটিই  পরম ব্রহ্ম নিজের মধ্য থেকে তৈরি করেন, যখন তিনি সৃষ্টির কাজকে এগিয়ে নিয়ে যান।             ভারতীয় দর্শনে  সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মকে দুইভাবে দেখানো হয়েছে, পরমব্রহ্ম এবং নির্গুণ ব্রহ্ম।   সত্ত্ব , রজঃ ও তম এই তিনটি গুণ   দিয়ে  নির্গুণ ব্রহ্ম সৃষ্টির কাজ শুরু করেন।  এবার ,  সৃষ্টি হল জগতের ,   কিন্তু জগৎ  তো 'জড়', তাই ব্রহ্ম চৈতন্য হয়ে তাতে প...

(১৪৭) পরম্পরা

            (১৪৭) পরম্পরা                 কলকাতা য়ুনিভার্সিটির সনামধন্য দর্শনের অধ্যাপক পি কে সেনের একমাত্র কন্যা সৃঞ্জনী। অধ্যাপকের  হৃদয়ের প্রসারতা বহুল চর্চ্চিত। মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক সেন।  আদিবাসী  সমাজের  প্রতিনিধি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হেমরাজ মান্ডির  মাতৃহারা সন্তানকে দত্তক নিয়ে তিনি নতুন পরিচয়ে সমাজে তাকে প্রতিষ্ঠিত করেন।  অনিন্দ্য নামটা আর সেন পদবীটা তারই দেওয়া।       এইতো কোলকাতা থেকে সেদিন সৃঞ্জনীর মাসিমা আর মেসোমশাই আমেরিকায় এসে প্রথমেই হিউস্টনে ওদের বাড়িতে এসে উঠেছে।  কথায় কথায়, রিটায়ার্ড স্কুল মিস্ট্রেস মাসিমা সৃঞ্জনীকে জিজ্ঞেস করলো , হ্যারে ! কবে তোরা বিয়েটা করবি। তোরা ভীষণ ভাবে প্রতিষ্ঠিত কিন্তু এই বিয়ের পরিবর্তে এই লিভ ইন, ব্যাপারটা কি বলতো ?  আই অনিন্দ্য ! তোদের সমাজ এটাকে কি ভাবে দেখে ?                     অনিন্দ্য জানে মাসিমা ...

(১৪৬) সরণি

ছবি

রজ্জুতে সর্প দর্শন (145)

রজ্জুতে সর্প দর্শন (145) গভীর ঘুমে আছন্ন শেয়াল রাজা।  হঠাৎই  যেন ঘুমের ঘোরে  'ম্যাও  '  'ম্যাও  ' শব্দ রাজার সুখ নিদ্রার বিলক্ষণ ব্যাঘাত ঘটলো।  তিনি যেন স্পস্টতই দেখতে পেলেন একদল বিড়াল এসে রাজপ্রাসাদের  সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে এসে রাজার বিছানার চারপাশে এসে দাঁত নখ বের করে  সামনে এসে ডাক পারছে ।  তাদের সাথে শহরের গৃহবাসী বিড়ালরা ও জোট বেঁধেছে। বিড়ালদের উদ্দত থাবা রাজার গালের উপর পড়ার আগেই রাজা বিছানার উপর ধড়পড় করে জেগে উঠলেন।  উঠে দেখলেন, সারা বিছানা ঘামে ভিজে চপচপ করছে।  এদিকে ঘুমের ঘোরে রাজামশাইয়ের গোঙানির শব্দে রানীমার ও  ঘুম ভেঙ্গে গেছে।  কি হয়েছে ! রানীমার প্রশ্নের উত্তরে, রাজমশাই বললেন, না না তেমন কিছু না, স্বপ্ন দেখছিলাম- এই বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বাইরের লনে এসে একাকী বসলেন।  যেন   বিড়ালের নিরীহ শব্দটি রাজার মনের গভীরের জমে থাকা ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদেরকে  বঞ্চনা, সেটা   অভিশাপে পরিবর্তিত হয়ে  ব্যাঘ্রের গুরু গম্ভীর ডাকের  ন্যায় রাজার কানে বেজে উঠে এক  আতঙ্কের  পরিবেশ সৃষ...