সংকট কাহারে কয় (১৫৩)
সংকট কাহারে কয় (১৫৩)
" অসুখ" - এর পরে ০০০০০০ দীর্ঘ সময় ধরে অনিন্দ্য সবার কথা শুনে আসছিলো। হঠাৎ মেসোমশাই অর্থাৎ নিরঞ্জনবাবুকে জিজ্ঞাসা করলো, আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে সেদিনের আলোকে আজকের রাজনীতিটাকে আপনি কি ভাবে দেখছেন ?
উত্তরে নিরঞ্জন বাবু তার বহু দিনের লুকিয়ে রাখা স্মৃতিগুলি আজকের প্রজন্মের কাছে উন্মোচিত করতে বেশ ভালো লাগলো, কেননা আজ কেউ শুনতে চায় না বলে, তার একটা আফসোস ছিল। আজকে মানুষ প্রতিকূল পরিস্থিতিকে বার বার মোকাবিলা করতে করতে কোন জিনিসের উপর বেশিক্ষন মনোযোগ দিতে পারেনা। আজ তাকে Adult attention deficit hyperactivity disorder বা সংক্ষেপে ADHD নামে অভিহিত করা হয়।
রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ইতিহাস ,সমাজনীতি ও অর্থনীতিকে বাদ দিয়ে করলে অসম্পূর্ন থেকে যাবে, এই বলে নিরঞ্জন বাবু শুরু করলেন।
জীবনের খুব কম সময়ই রাজনীতিটাকে কাছ থেকে দেখেছি কিন্তু তার থেকে সঠিক বা বেঠিক যাই হোক না কেন নিজের মতো করে তাকে উপলদ্ধি করার চেষ্টা করেছি।
৭০রের দশক, বাংলার আকাশে বাতাসে বারুদের গন্ধ আর সেই গন্ধকে গায়ে মেখে একদল হারতে না জানা ছাত্র ও যুবক পণ করেছিল শোষনের হাত থেকে দেশটাকে মুক্ত করবে বলে।
সেদিনের সেই শ্লোগান " বন্দুকের নলই একমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস" বলে যেই প্রচারটা করা হতো। কি অদ্ভুত ! সেই শ্লোগানটা আজেকের শাসকরা লুফে নিয়েছে এবং তাকে এক অন্য ফর্মে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে সেই সব সাধারণ মানুষের দিকে, যদি তারা কোন প্রতিষ্ঠান বিরোধী মতাদর্শকে মান্যতা দেয়।
উল্টোদিকে, সেদিনের এই শ্লোগানের রচয়িতারা বন্দুক ছেড়ে পেন ধরেছেন। ক্রমাগত সেই নিরীহ পেনকে আজকের বীর পুঙ্গবরা ভয় পাচ্ছে। কোন লুম্পেন নেতা থাকলে হয়তো বলে বসতো "ডর তো হোনা চাইয়ে"।
আজকে ভারতবর্ষ তথা সারা বিশ্বে রাজনীতির ধরন দেখে যা মনে হচ্ছে, সেখানে মোটের উপর কোন মন্তব্য করাটা নিদ্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে সময়ের ক্ষেত্রে অনির্দ্দেশ্য। সেদিন কি কেউ ভেবেছিল এতবড়ো সোভিয়েত ইউনিয়ন টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়বে , চীনও সমাজতন্ত্রের ব্যাকরণকে বাস্তবতার ভিত্তিতে বেশ খানিকটা নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসবে। পূর্ব ইউরোপ নতুন করে সমাজতন্ত্রের মূল্যায়ন করবে , আবার আমেরিকার "এলিয়েন্স ফর প্রোগ্রেস"কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ল্যাটিন আমেরিকায় বহু রাষ্ট্রে বামপন্থীদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
৭০ দশকের পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টিদের পুরানো লাইন সেটাকে ত্রিশ বছর পর নতুন করে ভাবনা চিন্তা করতে হয়েছে বাস্তবতার ভিত্তিতে। রাজনৈতিক দলগুলি ভুলে গেছে তাদের দায়বদ্ধতা শুধু জনসাধারণের কাছে। সেখানে দায়সারা কখনই চলতে পারেনা।
জনগণের দল হতে গেলে পার্টির বাহ্যিক বিপদে সেই জনগণই রুখে দাঁড়াবে। তা যদি না হয় পার্টির পাস থেকে জনসাধারণ সরে যাবে।
আজকের সর্বগ্রাসী মিডিয়া সর্বস্য সমাজে প্রতিযোগিতা নামক মেকী লড়াইকে , জীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য হিসাবে প্রতিপন্ন করার জন্য, জীবনের জীবন্ত সমস্যা থেকে চোখ সরিয়ে মোবাইল , টেলিভিশনের প্লাটফর্মটিকে স্বপ্নের স্বর্গ বানিয়ে দৃষ্টিনন্দন পোশাকের বিন্যাসে সজ্জিত কুশীলবদের উপস্থাপনায় সাধারণ মানুষের জীবন সম্পর্কে ভাবনা চিন্তাকে সর্বোপরি চেতনাকে কর্পোরেটের অন্ধকার কারাগারে নিঃশব্দে কয়েদ করে রাখছে।
পুঁজিবাদী দুনিয়ার নিঃসন্দেহে এক গভীর আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একাধারে প্রিন্ট মিডিয়া , টেলিভিশন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাঁড়াশি আক্রমন আর তার সাথে যুক্ত হয়েছে সিলিকন ভ্যালির একদল পেশাদার সুনির্দ্দিষ্ট প্রোগ্রাম ভিত্তিক দৃষ্টিনন্দন, চিত্তহরণকারী উপস্থাপনা। মানুষ ভুলেই গেছে শেষ কবে তারা স্বাধীন চিন্তা করতে পেরেছিলো।
সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে না, যদি ফ্র্রি-তে কোন প্রোডাক্ট পেয়ে যায় , তার অর্থ হচ্ছে সে নিজের অজান্তেই তাদের প্রোডাক্ট হয়ে যায়, অর্থাৎ সে বিক্রিত হয়ে যায়।
গণতন্ত্র যখন ধনতন্ত্রের চেহারা নিয়ে আসরে অবতীর্ন হয় তখন পুঁজিপতিরা পরোক্ষভাবে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে পিছন থেকে ইন্ধন যোগায়। এটা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না, কেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে ধনতান্ত্রিক তকমায় ভূষিত করা হল। প্রধান কারন অর্থনৈতিক অসাম্য।
যেখানে খোলা বাজারে মতামত কিনতে পাওয়া যায়, তাকে আর যাই হোক গণতান্ত্রিক দেশ বলা যায় না। অবশ্য গণতন্ত্রের ক্রিটিকরা বহু আগে একথা বলে গেছেন।
এবার দেখে নেওয়া যাক, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা কিভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যাঁদের পৃষ্টপোষকতা ছাড়া শাসক অচল। যাদের অঙ্গুলি লেহনে জনসাধারণের হাসি কান্নার আওয়াজ নিয়ন্ত্রিত হয়।
যেই পুঁজিবাদ জন্ম লগ্ন থেকে আত্মদ্বন্দ্বে জর্জরিত, তার কি অবসর আছে দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করার বা উন্নত জীবনবোধের দিশা দেখানোর। এই সম্পর্কে একটা ঘটনা বলি -
আজকে উদাহরণ হিসাবে ফার্মা মার্কেট নিয়ে কথা বলবো। বড় বড় কোম্পানিগুলি শিখরে উঠে কি ভাবে নিম্নগামী হয়, সেই ঘটনা। প্রসঙ্গক্রমে বলি, ভারতবর্ষের ফার্মা মার্কেটের সাইজ প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার আর তার মধ্যে অলমোস্ট ৫২ % ব্যবসা বিদেশে ঔষধ রপ্তানি থেকে আসে। বাস্তব ছবিটা কি, সেটাতো জানতে হবে। ছোট-বড় মিলিয়ে ভারতবর্ষে অনেক কোম্পানি আছে। তারা পরস্পর পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতায় মত্ত।
সময়ের হাত ধরে এলো উন্নত প্রযুক্তি, নতুন নতুন স্বয়ংক্রিয় মেশিন। ফার্মাসিউটিক্যালসে প্রোডাক্শনের দুটি ভাগ আছে। কাঁচামাল(formulation অনুযায়ী ingredient) দিয়ে ঔষধ বানানো এবং বানানোর পরে তার গুণমান বিচার( কোয়ালিটি কন্ট্রোল) করে তাকে বাজারজাত করা। এই উভয় ক্ষেত্রেই উন্নত প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় মেশিন বাজারে এসেছে। এর কাজ হচ্ছে অতি অল্পসময়ে কম শ্রমিকের দ্বারা কয়েকশগুণ প্রোডাকশন বৃদ্ধি করা। ধরা যাক, একটা ট্যাবলেট প্রসেসিং মেশিনে ৮ ঘন্টার শিফটে ১০,০০০ ট্যাবলেট পাওয়া যেত, আর সেখানে বাজারের চাহিদার প্রয়োজনে তিনটে শিফটে কাজ হতো। গড় ৩০,০০০ ট্যাবলেটের প্রয়োজন ছিল প্রত্যেক দিন। স্বয়ংক্রিয় মেশিন সে জায়গায় ৪ ঘন্টায় ২,০০,০০০ ট্যাবলেটের যোগান দেয়। ক্রমেই শ্রমিক উদ্বৃত্ত হতে শুরু করলো।
সুনামির মতো প্রযুক্তির ঢেউ আসে সেটাও পুঁজিবাদের গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসা মুনাফা সর্বস্য চিন্তাধারা থেকে উদ্ভুদ্ধ। সেই ঢেউয়ে ভেসে যায় দলে দলে শ্রমিকের রুজি-রোজগারের স্বপ্ন, যারা বাজার সর্বস্য সমাজের কনসিউমার বা ক্রেতাও বটে। কোন বিকল্প ব্যবস্থা বা পুনর্বাসন না থাকার দারুন তারা বেকার হয়ে যায় অর্থাৎ ধীরে ধীরে কনসিউমার শব্দটির সাথে ব্যবধান রচিত হয়।
ভুরি ভুরি ট্যাবলেটতো উৎপাদন হলো। শুধুমাত্র একটা কোম্পানিতে এই নতুন মেশিনের আমদানি হয়নি, এর পাশাপাশি আরো বহু কোম্পানি একই ধরনের ঔষধ উৎপাদন করে থাকে আর স্বয়ংক্রিয় মেশিন তারাও বসিয়েছে। এই ছবিটা শুধু ঔষধ শিল্পে নয়, সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এবার শুরু হল বাজার দখলের প্রতিযোগিতা। বাজার সীমিত কিন্তু যোগান অসীম। ক্রেতা বেরোজগার হয়ে ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে। কিন্তু প্রতিযোগিতা থেকে পুঁজিবাদ বেড়িয়ে আসতে পারছেনা।
এই প্রতিযোগিতা যখন দেশের বাজারের সবক্ষেত্রেই, তখন প্রয়োজন হয়ে পড়ল দেশের ভৌগলিক সীমানা অতিক্রম করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্রগুলিতে গিয়ে তার বাজার ধরতে।
পুঁজিবাদের বিকাশের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম রীতি নেই কিংবা কোন নিয়মকে প্রাধান্য দেওয়া হয়না। একটি মাত্র উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মালিক গোষ্ঠীগুলি নিজেদের একচেটিয়া আধিপত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে যুদ্ধ। উৎপাদনের অন্যতম উপাদান হচ্ছে কাঁচামাল আর শ্ৰমিক সেটা তারা সস্তায় জোগাড় করে যুদ্ধ অধিকৃত উপনিবেশ থেকে। তার সাথে থাকে সে দেশের বাজার দখল। এখানে পুঁজিবাদ উন্নীত হয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি রূপে।
যেমন , এক সময় "এলিয়েন্স ফর প্রোগ্রেস" এই নামের আড়ালে আমেরিকা আর্থিক অনুদানের বিনিময়ে পুঁজিবাদের ভিত্তি স্থাপন করেছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশে দেশে। নগ্ন শোষনের পেষনে এক হয়ে গেছে বলিভিয়ার টিন খনির শ্রমিকের সাথে চিলির তামা খনির শ্রমিকের কান্নার ভাষার। সেদিন কিউবার আখক্ষেতের চাষীর আর্তনাদের প্রতিধ্বনি শোনা যেত ব্রাজিলের কফি ক্ষেতের চাষীর বুকে। সারা পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে তাকালে সব সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিসর্বস্ব দেশ গুলির মধ্যে বিভেদ খুঁজে পাওয়া ভার।
মানুষের উপর আক্রমণ যেখানে সেখানেই গড়ে উঠে প্রতিরোধ, স্বাধীনতার সংগ্রাম। জঙ্গলের হিংস্র প্রাণীর মতো অপর আরেকটা হিংস্র প্রাণী উদ্যত থাবা বসায় অনাবৃত মাংসের ভাণ্ডারে , পুঁজিবাদী শক্তি মেতে উঠে পরস্পরের সাথে যুদ্ধে। এটাও পুঁজিবাদী শক্তির ক্রমবর্ধমান ক্ষয়িষ্ণুতার ইতিহাস, এটাই তাদের স্ববিরোধ।
এতো সব করে দিনের শেষে পুঁজিপতিরা তাদেরই অবৈজ্ঞনিক ভ্রান্ত নীতির শিকার হয়। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পুঁজিকে ব্যবসায় লাগিয়ে লাভ করে স্বল্প মুনাফা। তীব্র প্রতিযোগিতায় বাজার থেকে হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তে ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতাকে হরণ করে। উৎপাদিত সামগ্রী সংখ্যা গরিষ্ঠ ক্রেতাকে হারিয়ে অবিক্রিত হয়ে তাদের পণ্য গোডাউনে পরে থাকে। র্এই স্ববিরোধিতা থেকে পুঁজিপতিরা কোন অবস্থায় নিস্তার পায়না।
অভ্যন্তরীন সংকটের ফলে -
১) পুঁজির সঞ্চয় বাড়ার ফলে অতিরিক্ত বিনিয়োগের অনুপাতে মুনাফা কমে যাওয়া।
২) বাড়তি উৎপাদনের কারনে নতুন করে আর কেউ উৎপাদন করতে সাহস পায়না। তার ফলে বেশ কিছু রানিং কারখানা বন্ধ হয়ে যায়, শ্রমিক ছাটাই ও বেকারত্বে দেশ ভরে যায়, কারখানা বন্ধ হবার কারন হিসাবে শ্রমিকের ন্যায্য পাওনার আন্দোলনকে দোষারোপ করে। সর্বোপরি সংখাগরিষ্ঠ শ্রেণীর মানুষের হাতে অর্থ না থাকায় ক্রয় ক্ষমতা সংকুচিত হয়ে যায় । শ্রমিকরা কম মজুরিতে তাদের শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
৩) উপাদনের শক্তি ও উৎপাদনের সম্পর্কের মধ্যে বিরোধ।
এই অভ্যন্তরীন কারণ থেকে পুঁজিবাদ পরিত্রান খুঁজতে খুঁজতে দেশের ভৌগলিক সীমাকে অতিক্রম করে যায়। পুঁজিবাদের বাজার দখলকে কেন্দ্র করে সাম্রাজ্যবাদী ও নয়া উপনিবেশ গঠনের মাধ্যমে যে স্ববিরোধী সংকট গড়ে উঠে , তার থেকে পরিত্রান পাবার জন্য রাজনীতিকে হাতিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে এবং সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগায়। একের পর এক ব্যর্থতা, সংকটে সংকটে জর্জরিত হয় পুঁজিবাদ।
এই কারণগুলির মধ্যেই লুকিয়ে আছে পুঁজিবাদের অস্তিত্বের সংকট , যে পুঁজিবাদী শক্তি নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে ক্রমশই অসমর্থ হয়ে পড়ছে , সে কি করে একটি রাষ্ট্র পরিচালনার নেপথ্যে থেকে সরকারকে প্রভাবিত করে সাধারণ মানুষের উপকার করবে আর সে সরকারও কি ভাবে সাধারণের মান্যতা পাবে ? ইতিহাসের নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন অপেক্ষা করছে।
বি: দ্রঃ ভালো লাগলে শেয়ার করুন , কমেন্ট করুন , ফলো করুন আর খারাপ লাগলেও কমেন্ট করুন'
ব্লগার -রবীন মজুমদার
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ৬৭ তম অধ্যায় (১৩৫)
Searching for hidden Truth (৩৯)
২৬/০২/২০২৩ পর্যন্ত ১৫৩ টি ব্লগ পোস্ট করা হয়েছে
আত্মদর্শনমূলক ব্লগ -
- ওপারের সংগীত
- ঐকতান
- সভ্যতার নামে প্রহসন
- নাড়ী ছেড়ার গান
- আত্মত্যাগ কখনো কখনো আত্মহত্যার সামিল হয়
- দলিতের সভ্যাভিমান
- একটি প্রান্তিক মানুষের মৃত্যু সভা
- ২১শে ফেব্রুয়ারীর মূল্যবোধ (১৫২)
নিছক প্রেমের গল্প -
- বনবিতান
জীবনের সংগ্রামের পাশাপাশি মানুষের সংগ্রামের কথা -
- চে গুয়েভারা দ্য রেভলিউশনারী আইকন অল দ্য টাইম ( ৪টি পর্বে )
পৌরাণিক - বিশ্লেষণমূলক
- আমি মহাভারতের পৃথা (১৭টি পর্বে )
- ব্যাসদেবের জীবনের অপ্রকাশিত ঘটনা
- মহাভারতের রাজনীতি ও নারীদের নীরব বলিদান (৬ টি পর্বে )
নগর দর্পন -
- ধর্ম ও শাসক
- সমাজের রাজন্যবর্গ
- হালচাল
- সহাবস্থান
- নারদের মর্তে ভ্রমণ ( ২৩ টি পর্বে )
- মনীষীরা কি আজকের রাজনীতির কাঁচামাল
- ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই এই সুন্দর ভুবনে
- রজ্জুতে সর্প দর্শন
নিছক প্রেমের গল্প -
- বনবিতান
দর্শন আশ্রিত ব্লগ -
- অহংকারের রসায়ন (৮টি পর্ব - এখনো চলছে )
- আসা আর যাওয়া
- সংঘর্ষ
- উত্তর মীমাংসা
- আগামী
- আমরা বাস করি আনন্দে
- সৃষ্টির মুলে দন্দ্ব
- অখন্ড যখন খণ্ডিত হয়
- কোথায় পাব তারে
- গোলক ধাঁধা
- চির যৌবনা
- রূপ ও স্বরূপের লুকোচুরি
- একটি অক্ষরের গল্প
- মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৫ টি পর্বে -এখনো চলবে )
- সরণি
- পরম্পরা
- মেলবন্ধন
- সন্ধিক্ষণ
- অনুভূতির বহুগামিতা
- অসুখ
- মহা সংকট
মন্তব্যসমূহ