নারদের মর্ত্যে ভ্রমণ -১৮ তম অধ্যায় (১৫৯)
নারদের মর্ত্যে ভ্রমণ -১৮ তম অধ্যায় (১৫৯)
এই মাত্র হন্তদন্ত হয়ে জন গুডউইন( শর্টহ্যান্ড রাইটার ) মিটিং হলে মোবাইল নিয়ে ঢুকলেন, সরাসরি দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে গিয়ে ভগবান বিষ্ণুর একটা ম্যাসেজ খুলে দেখালেন। সেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে নিত্য দিনের কাজের রিপোর্ট গুডউইন বাবু নোট করে তারপরে মেইল করে ভগবান বিষ্ণুর কাছে পাঠাতে হবে।
দেবরাজ ইন্দ্র : নারদ বাবু এবার আপনাকে একটা কঠিন দায়িত্ব নিতে হবে। দিনকে দিন মর্তের কিছু মানুষ রজঃ ও তমো গুনের প্রভাবে ভীষণ লোভী , অত্যাচারী এবং অহঙ্কারী হয়ে উঠছে। আপনাকে মর্তের সেই মানুষদের মধ্যে সত্বঃ গুনের অর্থাৎ প্রকৃত মানবধর্ম পালনের অভ্যাসে অভ্যস্ত করাতে হবে।
নিচে আমাদের অনেক আউটলেট আছে অর্থাৎ আমাদের সহকর্মীদের ভার্চুয়াল অফিস, যাকে মর্তের মানুষরা মন্দির বলে থাকে। সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে তারা আসবেই, সেটাই আপনার আইডিয়াল স্পট আর সেখান থেকেই আপনার কাজের শুরু। কোথায় কোথায় আমাদের আউটলেট আছে তার ডিটেলস আপনি ভৌগলিক বিভাগ থেকে ম্যাপসহ পেয়ে যাবেন।
যাগযজ্ঞ কমে যাওয়াতে, আগে আগে যেমন আগুনে আহুতি দিলেই তাদের উইশগুলি সরাসরি আমাদের মেইন সার্ভারে চলে আসতো তার পর সেগুলি গড_আইডি অনুযায়ী শর্ট করে ইন্ডিভিজুয়াল গডদের স্টোরেজে পাঠিয়ে দিতাম। অবশ্য ভোটের আগে কিছু অপকর্মে অভ্যস্ত নেতা মন্ত্রীরা সেটা এখনো করে থাকে।
নারদ : যথা আজ্ঞা স্যার। সকালে সারথীকে একটু বলে দেবেন পুষ্পক রথটা নিয়ে যাব। এই বলে সেখান থেকে বিদায় নিলো।
দেবরাজ ইন্দ্র: নিশ্চই আমি সারথীকে বলে রাখবো।
সারা রাস্তা নারদমশাই নিজের মনে গজগজ করতে লাগলো, সামনের সপ্তাহে এক লাইভ শো টিভিতে আছে তার জন্য ব্যাপক রিহার্সালের প্রয়োজন ছিল , তা আর করে উঠতে পারবেনা।
তাছাড়া, স্বর্গের ডেসপ্যাচ সেকশনের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট একদম কাজ করে না। মর্তে মানুষগুলিকে পাঠানোর সময় যদি একবার ল্যাব-এ পাঠিয়ে চেক করে নিতো, তাহলে ভালো আর মন্দের ব্যবধানটা কমে যেত। কিছু খবরতো আউটলেটের মাধ্যমে এখানে পৌঁছায়। সেখানে আবার ব্যবস্থাপনার কোন অভাব নেই। একদলকে বলে নিয়মরীতি তৈরী করো , দ্বিতীয় দলটিকে বলে দেখতো ঠিক মতো নিয়ম মানছে কিনা আর তৃতীয় দলটিকে বলে কি ভুল করেছে তার বিচার করো আর শাস্তি দাও। তবে ব্যবস্থাপনাটা বেশ ভালোই, একজীবনেই যে মন্দ ব্যক্তি ভুল করছে, আবার তার ভুল আরেকজন দেখিয়ে দিচ্ছে আবার তার জন্য সংশোধন করার সময় দিচ্ছে। শেষ জীবনে সেই ব্যক্তি ভালো-মন্দের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করে স্বর্গে এসে আমাদের সাথে মিশতে তাঁর কোন অসুবিধা হচ্ছেনা।
রাতের বেলায় নারদ বাবু পরিধেয়, ল্যাপটপ, ডঙ্গল, হিডেন টেপ, মাইক্রো ক্যামেরা, এক কার্টুন সোমরস ইত্যাদি গুছিয়ে রাখলেন। সকালবেলায় রথে করে মর্তের উদ্দেশে নারদবাবু যাত্রা শুরু করলেন।
ক্রমশঃ
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ৬৭ তম অধ্যায় (১৩৫)
Searching for hidden Truth (৩৯)
১৯/০৩/২০২৩ পর্যন্ত ১৫৯টি ব্লগ পোস্ট করা হয়েছে
আত্মদর্শনমূলক ব্লগ -
- ওপারের সংগীত
- ঐকতান
- সভ্যতার নামে প্রহসন
- নাড়ী ছেড়ার গান
- আত্মত্যাগ কখনো কখনো আত্মহত্যার সামিল হয়
- দলিতের সভ্যাভিমান
- একটি প্রান্তিক মানুষের মৃত্যু সভা
- ২১শে ফেব্রুয়ারীর মূল্যবোধ (১৫২)
- বনবিতান
- চে গুয়েভারা দ্য রেভলিউশনারী আইকন অল দ্য টাইম ( ৪টি পর্বে )
- আমি মহাভারতের পৃথা (১৭টি পর্বে )
- ব্যাসদেবের জীবনের অপ্রকাশিত ঘটনা
- মহাভারতের রাজনীতি ও নারীদের নীরব বলিদান (৬ টি পর্বে )
- ধর্ম ও শাসক
- সমাজের রাজন্যবর্গ
- হালচাল
- সহাবস্থান
- নারদের মর্তে ভ্রমণ ( ১৮+৬=২৪ টি পর্বে )
- মনীষীরা কি আজকের রাজনীতির কাঁচামাল
- ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই এই সুন্দর ভুবনে
- রজ্জুতে সর্প দর্শন
- কুরুক্ষেত্রে একটি বিনিদ্র রাত (১-৩ পর্ব )
- বনবিতান
- অহংকারের রসায়ন (৮টি পর্ব - এখনো চলছে )
- আসা আর যাওয়া
- সংঘর্ষ
- উত্তর মীমাংসা
- আগামী
- আমরা বাস করি আনন্দে
- সৃষ্টির মুলে দন্দ্ব
- অখন্ড যখন খণ্ডিত হয়
- কোথায় পাব তারে
- গোলক ধাঁধা
- চির যৌবনা
- রূপ ও স্বরূপের লুকোচুরি
- একটি অক্ষরের গল্প
- মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৫ টি পর্বে -এখনো চলবে )
- সরণি
- পরম্পরা
- মেলবন্ধন
- সন্ধিক্ষণ
- অনুভূতির বহুগামিতা
- অসুখ
- সংকট কারে কয়
- অন্ধজনে দেহ আলো
- প্রেমহীনতা কি সামাজিক ব্যাধি
মন্তব্যসমূহ