১৭১ ভাবমূর্তির রকম ফের--

 ১৭১  ভাবমূর্তির রকম ফের--


হ রে ক রে ক  ম বা 

 ভাবমূর্তির রকম ফের--

এ সেই ভারতবর্ষ,  যেখানে আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শকদের সম্পর্কে কোন বিরূপ মন্তব্য করলে কোন হাইকমান্ডকে  নির্দ্দেশ দিতে হয় না। প্রতিবাদের জন্য  সাধারণ মানুষ  আন্তরিকভাবে ঝাঁপিয়ে পরে, কেননা সেই মনীষীদের মানবিক দিকগুলি সম্পর্কে তারা সচেতন। যেমন, সাধারন  মানুষের  প্রতিবাদে কিছুদিন আগে মুখরিত হয়ে উঠেছিল শ্র্রী রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার বিরুদ্ধে। 

ঠিক তার পাশাপাশি  রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্কে মানুষের অভিজ্ঞতার বিরূপ মন্তব্যের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ গড়ে উঠেনা, যদি সেই গুরুদের নির্দ্দেশ না  থাকে। যদিও বা  কিছু বলা হয়, তার মধ্যে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পাওয়া যায়না। অন্যভাবে  বলা যেতে পারে বাস্তবতার ভিত্তিতে তাদের মুখ আর মুখোশ এক নয়, এটা জনগণ বিশ্বাস করে। 

প্রথমটির মধ্যে শুধুই অনাবিল আনন্দ পাওয়া আর অন্যটির মধ্যে চাওয়া আর পাওয়ার সম্পর্ক তাই সেটা মেকী, কোথায়ও বা ভয় মিশ্রিত, পুরোটাই বাণিজ্যিক সম্পর্ক, কনসিউমারইজম।  ভাবমূর্তিকে সেখানে কিনতে হয়। 

পূর্বেকার  থেকে আজকে সরকারী পদে  না থাকা মানুষটি  যেন আরো ভয়ংকর -
রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের অধঃপতন দেখে দেখে ক্লান্ত সর্ব স্তরের মানুষ।  অতীতের গহ্বর উঠে আসা এক প্রাচীনের সততার স্পর্ধায় অবিভূত। যে আজ শূন্য, রিক্ত, মানুষকে আর স্বপ্ন দেখাতেও পারেনা, তবুও সে বেঁচে আছে জনগনের  অনুভূতিতে আরও  উজ্জ্বল দেখাচ্ছে বর্তমান শাসকদের  পাশে। 
মানুষের মধ্যে মানবিক গুনের সমাবেশ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক, সেই বৈশিষ্ট যে  মানুষের চর্চার বিষয়  কি করে হয়ে গেল - সেটাই  শাসককে ভাবাচ্ছে। স্বভাবতই, শাসক চিন্তান্বিত, তবে কি তারা সাধারণ মাপের সীমার থেকে অনেক নিচে নেমে গেছে  যে, স্বাভাবিক মাত্রাটা যেন তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। 
তাড়াতাড়ি ব্যবধান ঘুচাতে গেলে যে নজর দিয়ে জনগণ যাচাই করছে, সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই হবে।  নেতিবাচক প্রচারই  একমাত্র পারে ইতিবাচক প্রভাবকে ছোট  করে দেখাতে পারে।  তবে তাই-ই হোক।  
 সত্যকে অস্বীকার করা শাসকদের পুরোনো অভ্যাস।  অস্বীকারের মধ্যে আনন্দ নেই , স্বীকার করার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। জনমানসে তার  প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু অহংকার যে অন্ধকারেই বাস করে।   তাদের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিদ্বেষ, নিজেদের অজান্তে তাদের প্রচারের মধ্যে ফুটে উঠলো। তারা যে ঈর্ষাপরায়নতা এবং অহংকারকে এতদিন গোপন করে রেখেছিলো তা দিনের আলোর মতো প্রকাশ হয়ে এল।  বুঝতেই পারলোনা যে তাদের পরনের কাপড় কখন যেন সরে গেছে।   



আপনি আচারি ধর্ম -
হিংসা দিয়ে হিংসাকে প্রতিরোধ করা যায়না,  এটি পুরানো আপ্ত বাক্য। তবুও সবাই টেস্ট করে দেখে সত্যিই তার ধার আছে কিনা। তারপর আবার বলিদানের পর্ব চলতেই থাকে ।  কারোর মদতে হলে সেটা রেগুলেট করা যায়  কিন্তু   তা যদি  না হয়, তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, সেই দলের কর্মীদের উপর দলের কন্ট্রোল  নেই।  সেটা আরো ভয়াবহ। সে তো হিংসার স্বতস্ফূর্ততা। বুথ ভিত্তিক  রাজনীতি আর রাজনীতিকে অর্থনীতিকরন উভয়ই প্রাণঘাতী পদক্ষেপ। 
বিরোধী মুখকে স্তব্ধ করার জন্য জার্মানির গেস্টাপো, ইতালির ব্ল্যাকশার্টস পরা রাষ্ট্রীয় গুন্ডা বাহিনী , হাইতির  তুন তুন মাকুতে ইত্যাদি তাদের সেই প্রভাত স্মরণীয়  প্রভুরা কিন্তু ইতিহাসের নিয়মে হারিয়ে গেছে। 
তাই ঘরে বাইরে আওয়াজ উঠুক ভারতবর্ষের সেই অধ্যাত্মবাদকে পুনপ্রতিষ্ঠা করার। যে মানুষকে শিখাবে ঘন্টা নাড়া নয়, তুমি আর তোমার ভাবী শিকার স্বরূপগত  ভাবে এক।   যারা  এই  আধ্যাত্মবাদের বিরোধিতা করবে তারা চিহ্নিত হবে মানবতা বিরোধী বলে। 
চলুক না এই প্রচার  ফেসবুকের পাতায়  , ইন্সট্রাগ্রামের ওয়ালে আর যত আছে ইন্টারনেটের বই খাতায়, সেই সবটাতে। স্লোগান উঠুক অধ্যাত্মজগতে স্বরূপগত ভাবে আমরা সবাই এক আর রক্তক্ষয় নয়। 
 
একেই বলে পাকা নগ্নতা ( ভারতীয় দর্শনের আলোকে) -

নগ্নতা দুই প্রকার,  একটা কাঁচা আরেকটি পাকা।  জোর করে নগ্ন করার নাম কাঁচা নগ্নতা, তাতে শুধুমাত্র দেহের  স্থূল বৈশিষ্ট চোখের তারায় প্রতিবিম্বিত হয়, সেটা আবার নতুন  প্রতিবিম্বের আগমনে হারিয়ে যায়,  তাই সেটা কাঁচা এবং অচিরেই ব্ল্যাক বোর্ডের মতো  মুছে যায় বলে সে মিথ্যা নগ্নতা । 
যারা এই জোর করে নগ্ন করাকে প্রত্যক্ষভাবে  বাস্তবায়িত করে এবং তার সাথে যারা পরোক্ষভাবে ইন্ধন যোগায় বা বিরোধিতা করেন না, তারই পাকা পাকি ভাবে জনসমক্ষে তাদের নগ্নতাকেই  মেলে ধরে। সেটা তারা বুঝতেই পারেনা। 
 এই নগ্নতা দেহকে   অতিক্রম করে সুক্ষ  মনে স্থায়ী জায়গা করে বলে সেটা পাকা নগ্নতা এবং স্থায়ী জায়গা করতে পারে বলে সে  সত্য। 
দেশের প্রান্তে যত কাঁচা নগ্নতা সংগঠিত  হোকনা কেন তার দায়ভার নিজেদের অজান্তে পাকা নগ্নতার ধারক বাহকদের ক্রেডিটেই আসে।  
 তখনিই প্রশ্ন ওঠে,  রাজা তোমার কাপড় কোথায় ?

০৬/০৮/২০২৩ পর্যন্ত   ১৭১ টি  ব্লগ পোস্ট করা  হয়েছে 

আত্মদর্শনমূলক ব্লগ - 

  • ওপারের সংগীত 
  • ঐকতান 
  • সভ্যতার নামে  প্রহসন 
  • নাড়ী ছেড়ার গান 
  • আত্মত্যাগ কখনো কখনো আত্মহত্যার সামিল হয় 
  • দলিতের সভ্যাভিমান 
  • একটি প্রান্তিক মানুষের মৃত্যু সভা 
  • ২১শে ফেব্রুয়ারীর মূল্যবোধ  (১৫২)
নিছক প্রেমের গল্প -
  • বনবিতান 
জীবনের সংগ্রামের পাশাপাশি  মানুষের সংগ্রামের কথা   -
  • চে গুয়েভারা দ্য রেভলিউশনারী আইকন অল দ্য টাইম ( ৪টি পর্বে )
পৌরাণিক - বিশ্লেষণমূলক  
  • আমি মহাভারতের পৃথা (১৭টি পর্বে )
  • ব্যাসদেবের জীবনের অপ্রকাশিত ঘটনা 
  • মহাভারতের রাজনীতি ও নারীদের নীরব বলিদান (৬ টি পর্বে )
  • মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৬টি পর্বে )
নগর দর্পন -
  • ধর্ম ও শাসক 
  • সমাজের রাজন্যবর্গ 
  • হালচাল 
  • সহাবস্থান 
  • নারদের মর্তে ভ্রমণ ( ১৮+৬=২৪ টি পর্বে )
  • মনীষীরা কি আজকের রাজনীতির কাঁচামাল 
  • ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই এই সুন্দর ভুবনে 
  • রজ্জুতে সর্প দর্শন 
  •  কুরুক্ষেত্রে  একটি  বিনিদ্র রাত (১-৪ পর্ব )
নিছক প্রেমের গল্প -
  • বনবিতান 
দর্শন, ইতিহাস ও রাজনীতি  আশ্রিত   ব্লগ -
  • অহংকারের রসায়ন (৮টি পর্ব - এখনো চলছে )
  • আসা আর যাওয়া 
  • সংঘর্ষ 
  • উত্তর মীমাংসা 
  • আগামী 
  • আমরা বাস করি আনন্দে 
  • সৃষ্টির মুলে দন্দ্ব 
  • অখন্ড যখন খণ্ডিত হয় 
  • কোথায় পাব তারে 
  • গোলক ধাঁধা 
  • চির যৌবনা 
  • রূপ ও স্বরূপের লুকোচুরি 
  • একটি অক্ষরের গল্প 
  • মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৫ টি পর্বে -এখনো চলবে )
  • সরণি 
  • পরম্পরা 
  • মেলবন্ধন 
  • সন্ধিক্ষণ 
  •  অনুভূতির বহুগামিতা
  • অসুখ 
  •  সংকট কারে কয় 
  • অন্ধজনে দেহ আলো   
  • প্রেমহীনতা কি  সামাজিক ব্যাধি  
  • ১৬২ হিউস্টনের  ডাইরি (১০ তম পর্ব )
  • ১৬৩   রাম কি এখনও  বনবাসে আছেন ?
  • ১৬৪ হ রে ক রে ক  ম বা (১)
  • ১৬৫ এক্সটেন্ডেড মহাভারত 
  • ১৬৬  স্মাইল রিপ্লেসমেন্ট প্রজেক্ট (১ম )
  • ১৬৭  হাসির  পুনঃস্থাপন (২) 
  • ১৬৮ আমাকে দেখুন 
  • ১৬৯  বিয়ে কি নারীর  নিরাপত্তার না শোষনের পাকাপাকি হাতিয়ার ?
  • ১৭০ আর কত গুন থাকলে তাকে  জাতীয় নায়ক  বলা যায়  
  • ১৭১  ভাবমূর্তির রকম ফের-


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

(২৩১) মানুষ থেকে নক্ষত্রে উত্তরণ

(২৩৩) একটি ফোঁড়ার জন্মবৃত্তান্ত -

(২৩২)বোধোদয়