( ১৭৫) কেন এ ছদ্মবেশ -
( ১৭৫) কেন এ ছদ্মবেশ -
জ্ঞানের ভাণ্ডারটি যদি চতুস্কোন বিশিষ্ট হয় তাহলে সেই চারটি দিক থেকে ইন্দ্রিয় জ্ঞানকে সংগ্রহ করতে না পারে তবে তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
বিচার বিশ্লেষণের বহু আঙ্গিক বা দৃষ্টিকোণ আছে বর্ণনাকৃত বিষয়ের যথার্থতা নির্ভর করে বিশ্লেষনকারী কতদূর পর্যন্ত দেখেছেন বা বুঝতে পেরেছেন বা তার কোন মত প্রকাশের বাধ্যবাধকতা আছে কিনা তার উপর।
অংশকে উপলদ্ধি করে সমগ্রকে ব্যাখ্যা করতে যায়, তাহলে গোটা প্রস্তাবনাটা নির্ভুল হবেনা। কিন্তু এটাই পরম্পরা।
প্রাতিষ্ঠানিক অসমাপ্ত জ্ঞান সাধারণকে দিনের পর দিন অন্ধকূপকে জগৎ বলে ভাবতে শিখায়। সারা জীবন ধরে সেই কূপের বেড়াজাল থেকে জনতা মুক্তি পায় না। যদিও বা কেউ তাকে অতিক্রম করে যায়, তাহলে তাকে বা তাদের সামাজিক বা রাজনৈতিক অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
অক্ষর জ্ঞান না থাকলে যেমন শব্দ রচনা করা যায় না , ঠিক তেমনি সাধারনের জীবনযাত্রা, দেশ বিদেশের সমাজ রাষ্ট্র পরিচালন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকলে অসম্পূর্ণ শাসক বনতে হয়। তাতে আর যাই হোক দেশ ও দশের মঙ্গল হতে পারেনা।
পৌরহিত্যের অত্যাচারে ভারতবর্ষ দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্ত, এই পুরোহিতদের নামাবলী কখন ধর্মের মোড়কে আবার কখন বা রাজনীতির অলংকারে উদ্ভাসিত । তবে সবারই গন্তব্য স্থল একই। পান্ডা দিয়ে ধর্মীয় স্থানকে শাসন আর ডান্ডা দিয়ে দেশ শাসনের মধ্যে গুনগত কোন পার্থক্য নেই। গোটা ব্যাপারটার মধ্যে আছে একটা পূর্ব নির্ধারিত খাঁচা, যেখানে খাঁচার কারিগরদের রীতিনীতিই শেষ কথা। সেখানেই সাধারণ মানুষ গোটা জীবনটা অতিবাহিত করে।
সবে সমাজ পত্তন হচ্ছে, একদল মানুষ একটি আদর্শ সমাজ গঠনের অন্তরায়গুলি লক্ষ্য করেছেন ও তার প্রতিকারের কারণ অনুসন্ধানে ব্রতী হয়েছিলেন। তাদের উপলদ্ধি থেকে, একদিন মানুষের মধ্যে ধর্মভাবটা নিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল এবং সেই প্রয়োজন থেকে বলা হতো , বেদ ভগবানের মুখ থেকে নিঃসৃত বাণী, পুরাণও এই বক্তব্যকে স্বীকার করেছে একমাত্র মানুষের মধ্যে ধর্মভাব আনার জন্য কিন্তু বেদের কোথাও একথা স্বীকার করেনি। আধ্যাত্বিক দর্শন যে সকলের বোধগম্য হবেনা সেটা সে যুগের ঋষিরা জানতেন, তাই তাকে সহজবোধ্য করে তোলার জন্য প্রকৃত উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বহু গল্পের অবতারণা করেন , যা পুরাণ নাম খ্যাত।
আজকেও সাধারণ মানুষকে যাজক বা পুরোহিত এবং রাজা বা শাসক একই পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছে গল্প বলার ক্ষেত্রে কিন্তু সেখানে একধরনের গল্প সবার জন্য আর উদ্দেশ্য সাধন কতিপয় মানুষের জন্য।
ক্রমশ -
রবীন মজুমদার
১৪/১১/২৩,
কলিকাতা
১৪/১১/২০২৩ পর্যন্ত ১৭৫ টি ব্লগ পোস্ট করা হয়েছে
আত্মদর্শনমূলক ব্লগ -
- ওপারের সংগীত
- ঐকতান
- সভ্যতার নামে প্রহসন
- নাড়ী ছেড়ার গান
- আত্মত্যাগ কখনো কখনো আত্মহত্যার সামিল হয়
- দলিতের সভ্যাভিমান
- একটি প্রান্তিক মানুষের মৃত্যু সভা
- ২১শে ফেব্রুয়ারীর মূল্যবোধ (১৫২)
নিছক প্রেমের গল্প -
- বনবিতান
জীবনের সংগ্রামের পাশাপাশি মানুষের সংগ্রামের কথা -
- চে গুয়েভারা দ্য রেভলিউশনারী আইকন অল দ্য টাইম ( ৪টি পর্বে )
পৌরাণিক - বিশ্লেষণমূলক
- আমি মহাভারতের পৃথা (১৭টি পর্বে )
- ব্যাসদেবের জীবনের অপ্রকাশিত ঘটনা
- মহাভারতের রাজনীতি ও নারীদের নীরব বলিদান (৬ টি পর্বে )
- মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৬টি পর্বে )
নগর দর্পন -
- ধর্ম ও শাসক
- সমাজের রাজন্যবর্গ
- হালচাল
- সহাবস্থান
- নারদের মর্তে ভ্রমণ ( ১৮+৬=২৪ টি পর্বে )
- মনীষীরা কি আজকের রাজনীতির কাঁচামাল
- ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই এই সুন্দর ভুবনে
- রজ্জুতে সর্প দর্শন
- কুরুক্ষেত্রে একটি বিনিদ্র রাত (১-৪ পর্ব )
নিছক প্রেমের গল্প -
- বনবিতান
দর্শন, ইতিহাস ও রাজনীতি আশ্রিত ব্লগ -
- অহংকারের রসায়ন (৮টি পর্ব - এখনো চলছে )
- আসা আর যাওয়া
- সংঘর্ষ
- উত্তর মীমাংসা
- আগামী
- আমরা বাস করি আনন্দে
- সৃষ্টির মুলে দন্দ্ব
- অখন্ড যখন খণ্ডিত হয়
- কোথায় পাব তারে
- গোলক ধাঁধা
- চির যৌবনা
- রূপ ও স্বরূপের লুকোচুরি
- একটি অক্ষরের গল্প
- মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৫ টি পর্বে -এখনো চলবে )
- সরণি
- পরম্পরা
- মেলবন্ধন
- সন্ধিক্ষণ
- অনুভূতির বহুগামিতা
- অসুখ
- সংকট কারে কয়
- অন্ধজনে দেহ আলো
- প্রেমহীনতা কি সামাজিক ব্যাধি
- ১৬২ হিউস্টনের ডাইরি (১০ তম পর্ব )
- ১৬৩ রাম কি এখনও বনবাসে আছেন ?
- ১৬৪ হ রে ক রে ক ম বা (১)
- ১৬৫ এক্সটেন্ডেড মহাভারত
- ১৬৬ স্মাইল রিপ্লেসমেন্ট প্রজেক্ট (১ম )
- ১৬৭ হাসির পুনঃস্থাপন (২)
- ১৬৮ আমাকে দেখুন
- ১৬৯ বিয়ে কি নারীর নিরাপত্তার না শোষনের পাকাপাকি হাতিয়ার ?
- ১৭০ আর কত গুন থাকলে তাকে জাতীয় নায়ক বলা যায়
- ১৭১ ভাবমূর্তির রকম ফের-
- ১৭২ জাতের নামে বজ্জাতি (আই ওপেনার )
- ১৭৩ কুরুক্ষেত্রে একটি বিনিদ্র রাত (৫ম পর্ব )
- ১৭৪ রঙ্গমঞ্চের ওপারে
- ১৭৫ কেন এ ছদ্মবেশ -
মন্তব্যসমূহ