(১৭৭) নফরত কি দুনিয়া -
(১৭৭) নফরত কি দুনিয়া -
তেলের শিশি ভাঙলে পরে খুকুর উপর রাগ করো, তোমরা যে সব বুড়ো খোকা- ভারত ভেঙে ভাগ করো ! সেই বেলা ?
বেশিদূর যেতে হবে না ঘরে বাইরে শুরু হয়ে গেছে একই ছাদের তলায় একই পরিবারের অনেক আলাদা আলাদা কামরা, সমাজের মধ্যে আরেকটি সমাজ, অখন্ড দেশ ভেঙে অনেক দেশ। সবার মুলে আছে একের বিরুদ্ধে অন্যের ঘৃণা বিদ্বেষ। এই বিদ্বেষের পিছনে কোথাও সামাজিক, কোথাও রাজনৈতিক আবার সবকিছুকে ছাপিয়ে অর্থনৈতিক কারণটি মুখ্য হয়ে উঠেছে। আর সেটা কিছু মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য। মাত্রাহীন অহংকার যেমন শিশুর চাওয়া পাওয়াকে অস্বীকার করে পিতা ও মাতা আলাদা হয়ে স্বাধীন হবার চেষ্টা করে, আবার ধর্মকে ঢাল বানিয়ে একদল রাজনীতিবিদ অখন্ড দেশকে টুকরো টুকরো করে দেয়, দেশের মানুষের ইচ্ছাকে অস্বীকার করে। শুধুমাত্র একটা তারকাটার বেড়ার এতই ক্ষমতা আছে দীর্ঘদিনের সামাজিক সম্পর্ককে এক লহমায় আলাদা করে দেবে।
সভ্যতার বারোমাস্যা
আজকের সমাজ নিজেকে যতই সভ্য হিসাবে জাহির করুক না কেন, তার বাস্তব চেহারা কিন্তু অন্য কথা বলে। পরিবার থেকে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকে বাহ্যিক রাজনীতি এবং সর্বোপরি একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ রূপে আলাদা সেটা প্রতিযোগিতার নাম করে বিদ্যালয় থেকেই শিশুমনে ভীষণ যত্ন করে অভিবাবকরাই ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। আগামী দিনে এরাই মিউজিক্যাল চেয়ারের প্রতিযোগীয়তায় অবতীর্ন হবে। যাঁরা স্বার্থক হবেন তারা এক সময়ে তথাকথিত সফল মানুষ হয়ে একদিন নিজের কাছেই জানতে চাইবে এর পর কি? তার সঠিক উত্তর না পেয়ে সেই অনুর্ত্তীন প্রতিযোগীদের মতো সে ও হতাশায় নিমজ্জ্মান হবে নাতো ? তাহলে কি আমরা তাদের মানুষ না করে যন্ত্র কিংবা যন্ত্রের সহযোগী হিসাবে তাদের তালিম দিচ্ছি ? যা আগামীদিনে একমাত্র উৎপাদনের সাথে সম্পর্কযুক্ত হবে।
চেনা - অচেনার মাঝখানে -
পৃথিবীর ইতিহাসে বহু নায়কের জন্ম হয়েছিল, কালের নিয়মে তারা হারিয়ে গেছে। একমাত্র তারাই স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন, যাঁরা জীবনে আলংকারিক সফলতাকে প্রাধান্য দেন নি। দেশ বিদেশের রাষ্ট্রনেতার, ধর্মের আড়ালে অধার্মিকরা আর স্বার্থপর পরিবারের কান্ডারীরা যতদিন অহংকারকে সম্বল করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান চালাবেন, ততদিন ইস্রাইল-গাজা, রাশিয়া-উক্রেন, ভারত-পাকিস্তান ইত্যাদি চলতে থাকবে। মজার ব্যাপার হোল একদিন তারা একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। অদ্বৈত বেদান্তই এদের সঠিক পথের দিশা দেখাবে।
ক্রমশঃ
ব্লগার - রবীন মজুমদার
১৯/১১/২৩ , কলিকাতা
১৯/১১/২০২৩ পর্যন্ত ১৭৭ টি ব্লগ পোস্ট করা হয়েছে
আত্মদর্শনমূলক ব্লগ -
- ওপারের সংগীত
- ঐকতান
- সভ্যতার নামে প্রহসন
- নাড়ী ছেড়ার গান
- আত্মত্যাগ কখনো কখনো আত্মহত্যার সামিল হয়
- দলিতের সভ্যাভিমান
- একটি প্রান্তিক মানুষের মৃত্যু সভা
- ২১শে ফেব্রুয়ারীর মূল্যবোধ (১৫২)
নিছক প্রেমের গল্প -
- বনবিতান
জীবনের সংগ্রামের পাশাপাশি মানুষের সংগ্রামের কথা -
- চে গুয়েভারা দ্য রেভলিউশনারী আইকন অল দ্য টাইম ( ৪টি পর্বে )
পৌরাণিক - বিশ্লেষণমূলক
- আমি মহাভারতের পৃথা (১৭টি পর্বে )
- ব্যাসদেবের জীবনের অপ্রকাশিত ঘটনা
- মহাভারতের রাজনীতি ও নারীদের নীরব বলিদান (৬ টি পর্বে )
- মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৬টি পর্বে )
নগর দর্পন -
- ধর্ম ও শাসক
- সমাজের রাজন্যবর্গ
- হালচাল
- সহাবস্থান
- নারদের মর্তে ভ্রমণ ( ১৮+৬=২৪ টি পর্বে )
- মনীষীরা কি আজকের রাজনীতির কাঁচামাল
- ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই এই সুন্দর ভুবনে
- রজ্জুতে সর্প দর্শন
- কুরুক্ষেত্রে একটি বিনিদ্র রাত (১-৪ পর্ব )
নিছক প্রেমের গল্প -
- বনবিতান
দর্শন, ইতিহাস ও রাজনীতি আশ্রিত ব্লগ -
- অহংকারের রসায়ন (৮টি পর্ব - এখনো চলছে )
- আসা আর যাওয়া
- সংঘর্ষ
- উত্তর মীমাংসা
- আগামী
- আমরা বাস করি আনন্দে
- সৃষ্টির মুলে দন্দ্ব
- অখন্ড যখন খণ্ডিত হয়
- কোথায় পাব তারে
- গোলক ধাঁধা
- চির যৌবনা
- রূপ ও স্বরূপের লুকোচুরি
- একটি অক্ষরের গল্প
- মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৫ টি পর্বে -এখনো চলবে )
- সরণি
- পরম্পরা
- মেলবন্ধন
- সন্ধিক্ষণ
- অনুভূতির বহুগামিতা
- অসুখ
- সংকট কারে কয়
- অন্ধজনে দেহ আলো
- প্রেমহীনতা কি সামাজিক ব্যাধি
- ১৬২ হিউস্টনের ডাইরি (১০ তম পর্ব )
- ১৬৩ রাম কি এখনও বনবাসে আছেন ?
- ১৬৪ হ রে ক রে ক ম বা (১)
- ১৬৫ এক্সটেন্ডেড মহাভারত
- ১৬৬ স্মাইল রিপ্লেসমেন্ট প্রজেক্ট (১ম )
- ১৬৭ হাসির পুনঃস্থাপন (২)
- ১৬৮ আমাকে দেখুন
- ১৬৯ বিয়ে কি নারীর নিরাপত্তার না শোষনের পাকাপাকি হাতিয়ার ?
- ১৭০ আর কত গুন থাকলে তাকে জাতীয় নায়ক বলা যায়
- ১৭১ ভাবমূর্তির রকম ফের-
- ১৭২ জাতের নামে বজ্জাতি (আই ওপেনার )
- ১৭৩ কুরুক্ষেত্রে একটি বিনিদ্র রাত (৫ম পর্ব )
- ১৭৪ রঙ্গমঞ্চের ওপারে
- ১৭৫ কেন এ ছদ্মবেশ -
- ১৭৬ কেন এই হিংসাদ্বেষ-
- ১৭৭ নফরত কি দুনিয়া -
মন্তব্যসমূহ