পোস্টগুলি

মে, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

(২১০ ) ঝড়-বৃষ্টির একাল সেকাল

ছবি
 (২১০ )   ঝড়-বৃষ্টির একাল সেকাল  আজ থেকে ৫০-৬০ বছর আগে এখানকার মতো ঝড়ের আগমনের নির্ঘন্ট  জানবার মতো পঞ্জিকা ছিল না।  আজ যেমন ঝড় আসার অষ্টমী, কালকে হবে নবমী ইত্যাদি ইত্যাদি।  এবার ঠাকুর গজে না ঘোড়ায় আসবে পঞ্জিকাতে লেখা থাকে, ঠিক সেরকম আবহবিজ্ঞানীরা সময়ের   আর গতিবেগের ফিতে নিয়ে সুন্দর মেপে মেপে বলে দেয় কুমারটুলির কোন কারিগরের হাতে তৈরি হচ্ছে, তার এক ধারা বিবরণ সাংবাদিকরা পূর্ব থেকে আমাদের জানান দেন।  মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে গদি মিডিয়া আর নিরপেক্ষ মিডিয়া বলে কিছু নেই।  যদি কোনটা ইন্দ্রের দলের আর কোনটা যদি মহাদেবের দলের কর্মকান্ড হতো, তাহলে মিডিয়া আড়াআড়িভাবে ঠিক ভাগ হয়ে যেত।  তখন আমাদের সেই ইউটিউবারদের উপর নির্ভর করতে হতো, কোনটা সত্য তা জানতে।  আজ থেকে পাঁচ-ছয় দশক আগে ঝড়দের কনসিভ করার সময় নামকরণের কোন ঘনঘটা ছিল না। এখন যেমন ঝড়ের শো শো শব্দটা পর্দার আড়ালে থেকে শুনতে হয় কিংবা  টেলিভিশনের দৌলতে চা খেতে খেতে শুনতে  হয়, আবার কোন গাছ কাঁচা বাড়ির উপর পড়ে গেলে কিংবা কারোর বাড়ির  চাল উড়ে গেলে সোফায় বসে হায় হায় করে উঠি, তার ...

(২০৯) বিদ্রোহী কবিতার প্রাসঙ্গিকতা এবং সমকালীন ভারতবর্ষ

ছবি
(২০৯)   বিদ্রোহী কবিতার প্রাসঙ্গিকতা  এবং সমকালীন ভারতবর্ষ    কবি নজরুলের এই কবিতাটি শুধু মাত্র একটা সময়কে প্রতিনিধিত্ব করেনা, সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে তাকে জায়গা করে দিলে দেখা যায় যে সে কালকে অতিক্রম করে একটা প্রামাণ্য ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয়েছে। আজকের এই ১২৫তম জন্মদিবসে সুযোগ খুঁজে পেলাম তাকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করার। কবির এই উত্তরণটি খুব সহজে হয় নি। জীবনের আঁকেবাঁকে তাঁর দীর্ঘ পথ পরিক্রমা আর কঠিন বাস্তবকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব করে জীবনে জীবন যোগকরা , নিঃসন্দেহে একটা কঠিনতম কাজ। সাধারণ মানুষের কথা বলতে গেলে এই যোগটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। নিত্যদিন সমাজের বহমান স্রোতে অবগাহন করে লদ্ধ অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ জীবনকে চিনতে শেখে; একবার যদি সেই অন্তর্নিহিত সুরের ফল্গুধারার সাথে বাহিরের জগতের মেলবন্ধন ঘটে গেলে, সে সময়কে অতিক্রম করে অনন্তের সাথে মিলতে চায়।         একধারে দেশমাতৃকা পরাধীনতার অন্ধকারে নিমজ্জমান এবং তার সাথে যুক্ত হয়েছিল সংকীর্ণ ধর্মান্ধতার বিষ, উভয়ের নাগপাশে গোটা সমাজটা আছন্ন। এমনিই এক সময় দীর্ঘ ৪ বছর ধরে সমগ্র বিশ্ব...

208 আমার ২৫শে বৈশাখ

(208 ) আমার ২৫শে বৈশাখ  হে বিশ্বকবি   বার বার অবনত মস্তকে তোমাকে স্মরণ করি  আজকের এই দিনটিতে।   আজকে তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি যেন  আমাদের অপরাধী করে তোলে।  এখনো দুই বিঘা জমির উপেনরা ঠিক আগের মতোই আছে,   যেমনটি তুমি দেখেছিলে ; জানো কবি ! গ্রামের সেই জমিদাররা আর নেই  সেখানে  অনেক রং বে রঙের  ভূস্বামী এসেগেছে ; তারা আজ রাজশক্তি আর পেশীশক্তিতে বলীয়ান।   তোমার সেই যে আন্তরিক আহবান " দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর"  সেই ডাকে সারা দিয়ে আজ গোটা নগরটাই হয়ে গেছে অরণ্য।   এক গীতিকার  লিখেছিলেন  " বিশ্বকবির সোনার বাংলা "  আজ সোনার বাংলা হয়েছে কিন্তু সেটা  মাত্র কয়েকজনের জন্য।  এই সব দেখে আজকের কবি নবারুণ তার বাল্যকালের দেখা দেশটাকে  যৌবনে এসে অনুভব করল  - " এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়"।  আজ আর হতাশা নয়, প্রতিজ্ঞা প্রস্তুত হোক উপেনদের ঘরে ঘরে  এই শুভ দিনে তোমার কাছে    এটাই     আমাদের অঙ্গীকার।    - রবীন মজুমদার  ০৮/০৫/২৪

( ২০৭) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত উপলদ্ধি ( দ্বিতীয় পর্ব ) সুখের লাগিয়া এঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেলো।

ছবি
( ২০৭)    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত  উপলদ্ধি ( দ্বিতীয় পর্ব ) সুখের লাগিয়া এঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেলো।   সুখের চাহিদা যেখানে  অপরিমিত , সেখানে দুঃখ অসীমকে স্পর্শতো করবেই, এটাই বাস্তবের অভিজ্ঞতা ।  প্রকৃতির এই নির্মম পরিণতির  সাক্ষী আমরা সবাই। তবুও মানুষ কাঁদে, হানাহানি করে, অসামাজিক কাজ করে  সুখকে উপলদ্ধি করার কারণে। সুখ অর্জনের আনন্দ যতখানি তার থেকে থেকে অনেকবেশী কণ্টকের নিরবিচ্ছিন্ন দাপাদাপি। যতখানি সুখের প্রলেপ তার থেকে অনেক বেশী দুঃখের জ্বালা। ঐ যে গোলাপ ফুল, কাঁটায়  জর্জরিত হয়েও মানুষ তাও শত কাঁটা উপেক্ষা করে  তাঁর  গন্ধের আস্বাদ পেতে চায়। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সি (  এ.আই.)  স্বাদ গন্ধ ঠিক সে রকম, যাঁরা এই কার্যের প্রত্যক্ষ সহযোগী কিছু বেতনভুক কাজপাগল বিজ্ঞানী আর তার পরোক্ষ সহযোগীরা হলেন  রুপোর চাঁদির পর্দার আড়ালে থাকা এই রঙ্গমঞ্চের  কলকাঠি নাড়ার কারিগররা,  তাদের  বয়ে গেছে সমাজের লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষতে। যে রাসায়নাগারে পারমানবিক বোমা তৈরী হয়েছিল তার উপস্থাপনের উন্মাদনায় আজও পৃথিবী আতঙ্কিত। আর ...