(২১০ ) ঝড়-বৃষ্টির একাল সেকাল

(২১০ ) ঝড়-বৃষ্টির একাল সেকাল আজ থেকে ৫০-৬০ বছর আগে এখানকার মতো ঝড়ের আগমনের নির্ঘন্ট জানবার মতো পঞ্জিকা ছিল না। আজ যেমন ঝড় আসার অষ্টমী, কালকে হবে নবমী ইত্যাদি ইত্যাদি। এবার ঠাকুর গজে না ঘোড়ায় আসবে পঞ্জিকাতে লেখা থাকে, ঠিক সেরকম আবহবিজ্ঞানীরা সময়ের আর গতিবেগের ফিতে নিয়ে সুন্দর মেপে মেপে বলে দেয় কুমারটুলির কোন কারিগরের হাতে তৈরি হচ্ছে, তার এক ধারা বিবরণ সাংবাদিকরা পূর্ব থেকে আমাদের জানান দেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে গদি মিডিয়া আর নিরপেক্ষ মিডিয়া বলে কিছু নেই। যদি কোনটা ইন্দ্রের দলের আর কোনটা যদি মহাদেবের দলের কর্মকান্ড হতো, তাহলে মিডিয়া আড়াআড়িভাবে ঠিক ভাগ হয়ে যেত। তখন আমাদের সেই ইউটিউবারদের উপর নির্ভর করতে হতো, কোনটা সত্য তা জানতে। আজ থেকে পাঁচ-ছয় দশক আগে ঝড়দের কনসিভ করার সময় নামকরণের কোন ঘনঘটা ছিল না। এখন যেমন ঝড়ের শো শো শব্দটা পর্দার আড়ালে থেকে শুনতে হয় কিংবা টেলিভিশনের দৌলতে চা খেতে খেতে শুনতে হয়, আবার কোন গাছ কাঁচা বাড়ির উপর পড়ে গেলে কিংবা কারোর বাড়ির চাল উড়ে গেলে সোফায় বসে হায় হায় করে উঠি, তার ...