[ ২৭৪ ]লোডশেডিং

[ ২৭৪ ]লোডশেডিং  





"আপনারে দীপ করি জ্বালো, আপনার যাত্রাপথে আপনিই দিতে হবে আলো।"
বিশ্বকবির এই মহান আহবানের অনুরূপ সুর স্বামী বিবেকানন্দের কন্ঠে বেজে উঠছিলো। পুরোহিত ও বিদেশী রাজারা শত শত শতাব্দী ধরে ভারতের সাধারণ মানুষকে পদদলিত করে রেখেছে। একদিন তারা ভুলেই গেছে যে, তারা কোন এক সময়ে মানুষ ছিল। তাদের ভাব দিতে হবে। তাদের চক্ষু খুলে দিতে হবে, যাতে করে তারা জানতে পারে এই জগতে কোথায় কি হচ্ছে। সেটা সম্পূর্ণ হলেই তারা নিজেদের উদ্ধার নিজেরাই করতে পারবে। তাঁদের এইটুকুই সাহায্য করতে হবে যে, ভাবটা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। অবশিষ্ট যা কিছু, তার ফল আপনা আপনিই আসবে।

কবির সাথে স্বামীজীর বক্তব্যের ফারাক হল, দীপ জ্বালাবার প্রধান উপকরণ সেই শিক্ষাকে কি ভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং তাকে বাস্তবায়িত করার পথ বাতলে দেবার কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন।

১৯০০ শতকে দরিদ্র ছাত্রদের ড্রপ আউটের যে কারণ ছিল আজও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি।

স্বামীজীর ইতিবাচক দিক -
স্বামীজী এখানেও থেমে থাকেননি, যদি ছাত্ররা বিদ্যালয়ে না আসতে পারে তবে শিক্ষকরা ছাত্রদের কাছে পৌঁছে যাবার আহবান জানিয়েছেন। তার কারণ যুগসঞ্চিত শোষনের একমাত্র প্রধান কারণ শিক্ষার অভাব। এই আলোকে যে ভাবেই হোক জ্বালাতে হবে।

রবীন্দ্রনাথের এই আহ্বানটি আজ কেতাবি কথায় পরিণত হয়ে গেলো একমাত্র আমাদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়।

ক্রমশঃ 

ব্লগার -রবীন মজুমদার 
তারিখ -২৭/০৫/২৫
ভালো লাগলে অন্যকে শেয়ার করুন। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

(২৬৯) রবি সৃষ্টির বৈচিত্রতা (প্রথম নিবেদন )

(২৩১) মানুষ থেকে নক্ষত্রে উত্তরণ

(২৪২) নারীর একাল ও সেকাল