পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

5. মনীষীরা কি আজকে রাজনীতির ...... ?

মনীষীরা কি আজকে রাজনীতির কাঁচামাল ? ভোম্বলদা, এই অঞ্চলের সিন্ডিকেটের একমাত্র লীডার।  পাড়ার মা-বোনদের ডেলিভারি থেকে শুরু করে শ্রাদ্ধ-শান্তি  আর ভোটের ক্যাম্পেইন থেকে শুরু করে ভোট শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত ভোম্বলদার ছুটি নেই। এ হেন নেতারা, বছরের শুরুতে নিউ ইয়ার্সের সেলিব্রেশন থেকে বছরের শেষ দিনের মধ্যে যত মহাপুরুষের আবির্ভাব থেকে তিরোধান আর সরস্বতী পূজা থেকে শুরু করে কালীপূজা এবং সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের যাবতীয় দায়িত্ব ভোম্বলদার উপরই  দিয়েই  থাকে।  মাত্র সাড়ে চার  বছরে বাবা হারানো আট জনের সংসারে সে-ই একমাত্র ছোট।  সাত  বছর বয়স থেকে পাড়ার পাঁচুদার চায়ের দোকানে , চায়ের বাসন মাজা  আর খদ্দেরদের চা দেওয়া ছিল তার কাজ।  মাসের শেষে  যা পেত তাই-ই মায়ের হাতে তুলে দিত।  স্কুলে যাওয়া তার আর হয়ে উঠেনি।  সেই জায়গা থেকে আজ একাধিক গাড়ি-বাড়ি আর বহু ছেলের সংসার চালানোর দায়িত্ব কবে যে সে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে, সেটা মনে করতে পারেনা। এলাকার প্রায় কয়েকশ  ছেলে আর সাধারণ মানুষের কাছে ভোম্বলদাই  আইকন।...

4. ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই এই সুন্দর ভুবনে

ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই এই সুন্দর ভুবনে  ( মশাদের সাংবাদিক সম্মেলন ) সাংবাদিক : বহুবার আপনাদের কাছে সাক্ষাৎকারের সময়  চেয়ে পাইনি।  প্রথম মশা : আমরা শীতকাল ছাড়া অন্য্ সময়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকি। শীতকালে যদিও কিছু কাজ থেকে  যায়।  সাংবাদিক : আজকাল আমাদের সমাজে আপনাদের নুতন একটা বিশেষনে সম্বোধন করা  হয়,  সেটা  কি  আপনারা জানেন ? দ্বিতীয় মশা : একটু খুলে বলবেন।  সাংবাদিক :"মৃত্যুদূত" কখন বা "যমরাজ" প্রথম মশা : (একটু হেসে,) তা আপনারা বলতে পারেন। বিশেষ আপত্তি নেই তাতে।  সাংবাদিক : আপনারা আমাদের শ্রেণীচরিত্র, বর্ণ বিভাজন  সম্পর্কে কিছুই জানেন না দেখছি।  তৃতীয় মশা : (খানিকটা হতচকিত ভাবে) শ্রেণীচরিত্র, বর্ণ বিভাজন! সেটা আবার কি ? মানুষ তো মানুষ-ই  তার আবার বিভাজন কি। সবই প্রকৃতির সৃষ্টি, যেমন, আমরা মশা আপনার মানুষ।  সাংবাদিক :   আমাদের সমাজে এটা কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। কিছুই খবর রাখেন না, এতআমাদের পাশে ঘুরঘুর করেন।  প্রথম মশা : এই প্রসঙ্গটা এখানে ...

3. দলিতদের সভ্যাভিমান

দলিতদের  সভ্যাভিমান  সমব্যাথীগণ, তোমরা জানতে চেয়েছো ,ভীম গোরেগাঁওয়ের স্মরণে প্রতি বছর  কেন আমরা উৎসব পালন করি এবং তার ঐতিহাসিক তাৎপর্য্য কি?  একটা ঔপনিবেশিক শক্তি  ( ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি) আর অন্য্ দিকে  আরেকটা দেশীয় রাজশক্তির বিরুদ্ধে   ভীমা করেগাঁওয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল  আমাদের পূর্বসূরিরা এবং সেই যুদ্ধে  ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে তারা অসীম বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিল। সেই যুদ্ধে ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি বর্ণ গন্ধহীন দলিত বলে  যাদের পরিচয় ,সেই  সম্প্রদায়ের বীরত্বের গাথাকে আমরা প্রতি বছর   স্মরণ করি ।   দেশের  ধৰ্ম ও তাদের বর্ণ  বিভাজন প্রথা অনুযায়ী আমরা সর্বাপেক্ষা মর্যাদাহীন  বর্ণের  অধিকারী । আদর করে নাম দিয়েছে দলিত বা নিপীড়িত সম্প্রদায়।  উচ্চ বর্ণের পদতলে যাদের চিরকালের অবস্থান।   ১৮১৮ সালে, আমাদের  পূর্বপুরুষরা এই ভীমা কোরেগাঁওয়ের যুদ্ধে অর্জন করেছিল বীরের মর্যাদা আর সেই মর্যাদাটা দিয়ে ছিল সাগরপাড়ের ইস্ট ইন্ডিয়া...

2. একটি প্রান্তিক মানুষের মৃত্যু সভা।

একটি প্রান্তিক মানুষের মৃত্যু সভা। অনেক প্রলোভন দেখিয়ে প্রকৃতি তাকে এই পৃথিবীতে এনে  ছিল। সে দিন ভেবেছিল বুঝি বা মানুষের মতো বাঁচার সুযোগ সুবিধা পাবে। কিন্তু সে জানেনা যে, গরিবের ঘরে জন্মগ্রহন করবার অর্থ কি। তবু  সে অদম্য উৎসাহ নিয়ে এই মনুষ্য সৃষ্টি দারিদ্রের বিরুদ্ধে সুদীর্ঘকাল বিরামহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু প্রকৃতির অমোঘ পরিণতির নিকট অবশেষে তার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো।  জীবনকে পরাস্ত করে মৃত্যুর  বিজয় রথ এগিয়ে চলল কাল থেকে  কালান্তরে, যুগ থেকে যুগান্তরে। অন্যান্য প্রাণীদের সাথে মানুষের পার্থক্য হলো, মানুষের প্রতি মানুষের কর্তব্য পালনের যোগ্যতা।  ইদানিং কালে ওটার আর কোন প্রয়োজন নেই , এখন প্রধান বৈশিষ্ট্য হল মৃত্যুর পরে মানুষের প্রতি মানুষের কর্তব্য পালন করা।  তাই আমরা আজ এধানে সবাই সমবেত হয়ে তার মৃত আত্মার প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি। আজ মানুষের জীবন থেকে স্নেহ  ভালোবাসা ও কর্তব্যপরায়ণতার পরিবর্তে অপরের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বতা  প্রমান করার জন্য মানুষ আর একটি মানুষকে ছোট করে।  এতে সে অত্য...

1. উন্নয়ন কি কেবলমাত্র আপাতদৃশ্যমান ঘটনার উপর নির্ভরশীল।

উন্নয়ন কি কেবলমাত্র আপাতদৃশ্যমান ঘটনার উপর নির্ভরশীল।  আমরা কেবলই ভেসে চলেছি উন্নয়নের জোয়ারে। সেই জোয়ারের দাবিদার কখন রাষ্ট্র কখন বা রাজ্য। তা সুন্দর ভাবে পরিবেশিত হচ্ছে প্রচার মাধ্যম আর পরিসংখানের সুন্দর সুন্দর মোড়কে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেই উন্নয়নটা  কি গুনগত উন্নয়ন না রূপগত উন্নয়ন।  সমাজের সার্বিক গুনগত উন্নয়ন কতটা হয়েছে সার উত্তর দেবে ভাবিকাল , কিন্তু  রূপগত উন্নয়ন দিয়ে বেশ যত্ন করে গুনগত উন্নয়নকে আড়াল করার কাজটিতে যত্নের কোন অভাব নেই।  এই তথাকথিত উন্নয়নের পিতৃত্ব নিয়ে কখন দাবি করছেন রাজ্যের আবার কখন কেন্দ্রের রাজনৈতিক দলগুলি।  রূপগত উন্নয়নের আস্বাদ গ্রহণ করতে গিয়ে ,মহা সমস্যায় পরে গেছেন সাধারণ মানুষ।   রাজনৈতিক দলগুলির বদ্ধ ধারণা, দেশের সাধারণ মানুষের বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা আর স্মৃতিশক্তি ভীষণ দুর্ব্বল তাই তাদের অনুভূতিকে সহানুভূতিতে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টায় দৃষ্টিনন্দন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যা, উন্নয়ন বাবদ খরচের  এক বিশাল অংশ।  ধুপকাঠির গন্ধে   তার  মাধুর্য্...