পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

(১৭৯) হিউস্টনের একটি রাত rabinujaan.blogspot.com

ছবি
 (১৭৯)    হিউস্টনের  একটি রাত  rabinujaan.blogspot.com   সৃঞ্জনীর হিউস্টনের  ডাইরির নির্বাচিত অংশ পূর্বে প্রকাশিত  ১৪৬- সরনী (১ম পর্ব )  ১৪৭ পরম্পরা (২য় পর্ব )  ১৪৮ মেলবন্ধন (৩য়  পর্ব )  ১৪৯ সন্ধিক্ষণ  (৪ র্থ )  ১৫০ অনুভূতির বহুগামিতা (৫ম পর্ব )  ১৫১ অসুখ  (৬ ষ্ঠ পর্ব )  ১৫৩ সংকট কাহারে কয় (৭ম পর্ব ) ১৫৪ অন্ধজনে দেহ আলো (৮ম পর্ব) ১৫৫ প্রেমহীনতা কি সামাজিক ব্যাধি (৯ম পর্ব)                     কখন যে আলোচনার মোড়টা ঘুরে গিয়ে বেদের যুগে প্রবেশ করলো, বেশ কিছুক্ষন চলার পর সেটা অনিন্দ্যের খেয়াল হলো। কিন্তু সৃঞ্জনী একটানা নন স্টপ  বলেই যাচ্ছে। প্রসঙ্গত,     হিউস্টনের বাড়িতে  মাঝেমাঝেই আন্তর্জাতিক     সম্মেলন বসে,   প্রায় প্রত্যেক শনিবার।            অভারতীয়দের ধারণা, ভারতের প্রাচীন ইতিহাস শুধুমাত্র দড়ির উপর খেলা দেখানো, রাজা-মহারাজা , সাপুড়ে, ওঝা, জাদুবিদ্যা  ...

(১৭৮) মিথ্যার বেসাতি আর একরাশ অলীক ধারণা (প্রথম পর্ব ) -

  (১৭৮)  মিথ্যার বেসাতি আর একরাশ অলীক ধারণা  (প্রথম পর্ব )   -  এক যে ছিল কারিগর     লেখা বা বলার আস্বাদ কোনটা পাঠক বা শ্রোতার মনে কখন  সাময়িক আবার কখন  বা দীর্ঘস্থায়ী। লেখা বা ভাষণের মধ্যে স্বাদের তারতম্য অবশ্যিই  আছে।  যেমন,  কোনটা রসমধুর, আবার কোনটা ভীষণ ঝাল, কোনটা ভীষণ হালকা, কোনটা ভীষণ তিতকুটে, কোনটা আবার জ্ঞানধর্মী ইত্যাদি ইত্যাদি। স্থায়িত্ব নির্ভর করে গ্রহীতা কোন স্বাদে আকৃষ্ট তার উপর বা বক্তার বক্তব্যের স্বাদ গন্ধ মিশ্রনের ক্ষমতার উপর।   আমি কান পেতে রই       বক্তার বলার তারতম্যের সাথে শ্রোতার মনের অন্তর্নির্মিত(ইনবিল্ট) গভীরতার সাথে একাত্ব হোতে যদি বেগ না পায়, তাহলে সেটা পাঠক কিংবা শ্রোতার হৃদয়ে সেই সময়ের জন্য একটা জায়গা করে নিতে পারে। কোন বিষয়টি  ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী হবে সেটা নির্ভর করে তার কার্য কারণের উপর। খানিকটা হৃদয়স্পর্শী গানের  সুরের মতো।    সে আছে প্রাণের ওপারে -      বিষয়বস্তু  আর উদ্দেশ্যের মেলবন্ধন, কিংবা দাতা আর গ্রহী...

(১৭৭) নফরত কি দুনিয়া -

  ( ১৭৭)     নফরত কি দুনিয়া - তেলের শিশি ভাঙলে পরে খুকুর উপর রাগ করো, তোমরা যে সব বুড়ো খোকা- ভারত ভেঙে ভাগ করো ! সেই বেলা ?      বেশিদূর যেতে  হবে না ঘরে বাইরে শুরু  হয়ে গেছে একই ছাদের তলায় একই পরিবারের অনেক আলাদা আলাদা কামরা, সমাজের মধ্যে আরেকটি সমাজ, অখন্ড দেশ ভেঙে অনেক দেশ।  সবার মুলে আছে একের বিরুদ্ধে অন্যের ঘৃণা  বিদ্বেষ। এই বিদ্বেষের পিছনে  কোথাও সামাজিক, কোথাও  রাজনৈতিক আবার সবকিছুকে ছাপিয়ে অর্থনৈতিক কারণটি মুখ্য হয়ে উঠেছে। আর সেটা কিছু মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য। মাত্রাহীন অহংকার যেমন শিশুর চাওয়া পাওয়াকে অস্বীকার করে পিতা ও মাতা আলাদা হয়ে স্বাধীন হবার চেষ্টা করে, আবার ধর্মকে ঢাল বানিয়ে একদল রাজনীতিবিদ অখন্ড দেশকে টুকরো টুকরো করে দেয়, দেশের মানুষের ইচ্ছাকে অস্বীকার করে।  শুধুমাত্র একটা তারকাটার বেড়ার এতই ক্ষমতা আছে দীর্ঘদিনের সামাজিক সম্পর্ককে এক লহমায় আলাদা করে দেবে। সভ্যতার বারোমাস্যা           আজকের সমাজ নিজেকে যতই সভ্য হিসাবে জাহির করুক না কেন, তার বাস্তব চেহারা কিন্তু...

(১৭৬)কেন এই হিংসাদ্বেষ-

  (১৭৬) কেন এই হিংসাদ্বেষ-          সমাজ কি সংকুচিত হচ্ছে ?  এই প্রশ্নের কে দেবে তার জবাব, আর এর উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আগামী দিনের আদর্শ সমাজ।  সংকোচন এবং শিথিলকরণ  উভয়ই বস্তুর  তদানীন্তন অবস্থার উপর নির্ভরশীল।  মানুষই একমাত্র সমাজ গঠন করে। সংকুচিত হয় মানুষের মন।  মন জড় বস্তুর অন্তর্গত। চৈতন্য ব্যতিরেকে মন, বুদ্ধি সবাই অচল।   চৈতন্য আর  মন ও বুদ্ধির মাঝখানে পাহাড়ের মতো আড়াল করে আছে অহংকার। অতন্দ্র প্রহরীর মতো অহংকারের সৈনিক মায়া দাঁড়িয়ে আছে। এতশত বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে যৎসামান্য চৈতন্যের আলো এসে পৌঁছায়, তাকে সঙ্গে করে মন তার কাজ শরীরকে দিয়ে করিয়ে নেয়।          আলো বা অক্সিজেন যে মাত্রায় পৌঁছালে একটি মন বা বুদ্ধি পূর্ণ মাত্রায় কাজ করতে পারে , তার থেকে যদি মাত্র ১০ শতাংশ পায়, তাহলে  সে তো  ১০০ শতাংশ  ফসল ফলাতে কখনই পারবে না। তাই আজকের সমাজ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে  চলছে।       সৃষ্টির প্রারম্ভ থেকে মুষ্টিমেয় কিছু কান্ডারী...

( ১৭৫) কেন এ ছদ্মবেশ -

( ১৭৫)   কেন এ ছদ্মবেশ -      জ্ঞানের ভাণ্ডারটি যদি চতুস্কোন বিশিষ্ট হয় তাহলে সেই চারটি দিক থেকে ইন্দ্রিয় জ্ঞানকে সংগ্রহ করতে না পারে তবে তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।       বিচার বিশ্লেষণের বহু আঙ্গিক বা দৃষ্টিকোণ আছে বর্ণনাকৃত বিষয়ের যথার্থতা নির্ভর করে বিশ্লেষনকারী কতদূর পর্যন্ত দেখেছেন বা বুঝতে পেরেছেন বা তার কোন মত প্রকাশের বাধ্যবাধকতা আছে কিনা তার উপর।  অংশকে উপলদ্ধি করে সমগ্রকে ব্যাখ্যা করতে যায়, তাহলে গোটা প্রস্তাবনাটা নির্ভুল হবেনা। কিন্তু এটাই পরম্পরা।       প্রাতিষ্ঠানিক অসমাপ্ত জ্ঞান সাধারণকে দিনের পর দিন অন্ধকূপকে জগৎ বলে ভাবতে শিখায়। সারা জীবন ধরে সেই কূপের বেড়াজাল থেকে জনতা  মুক্তি পায় না। যদিও বা কেউ তাকে অতিক্রম করে যায়, তাহলে তাকে বা তাদের সামাজিক বা রাজনৈতিক অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।       অক্ষর জ্ঞান না থাকলে যেমন শব্দ রচনা করা যায় না , ঠিক তেমনি সাধারনের জীবনযাত্রা, দেশ বিদেশের সমাজ রাষ্ট্র পরিচালন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকলে অসম্পূর্ণ শাসক বনতে হয়। তাতে আর যাই হোক দেশ ও দশ...