পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ৩১তম অধ্যায় || (৯৪)

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ৩১তম  অধ্যায়  ||     (৯৪)  

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ৩০তম অধ্যায় || (৯৩)

ছবি

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৯তম অধ্যায় || (৯২)

ছবি
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৯তম  অধ্যায়  ||     (৯২)   " ঈশ্বর আর জগৎ যে এক এবং অভিন্ন সুরে বাঁধা আর সেই সত্যটাই আপামর মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার সংকল্প তিনি গ্রহণ করলেন। বেদেই একমাত্র  ভারতবর্ষের জাতীয় সুর। যে সুর সমগ্র মানবজাতির অন্তরে ঘুমন্ত অবস্থায় অবস্থান করছে , তাকে জাগিয়ে তুলে সেই সত্যকে প্রকাশ করাই স্বামীজীর জীবনের ব্রত হয়ে দাঁড়াল"-- গত সংখ্যার পর. ...  সামনে মহাভারতের যাজ্ঞসেনীর সাইন বোর্ড আর ভিতরে একান্তই নীরস জ্ঞানসর্বস্ব বেদ, বেদান্ত, উপনিষদ এবং ইতিহাসের ছড়াছড়ি। বন্ধুর পথকে অতিক্রম করলেই তবে সহজ পথের দেখা মেলে। পথের জটিলতা  খুলবার " রুট কজ গুলি" বেদ এবং সমাজ বিবর্তনের ইতিহাসের পাতায়  আছে। তাই উদ্ধারের জন্য অবশ্যই তাদের ঘরে কড়া  নাড়তে হবে।       আজকের দিনের মতো তো নয় যে, একবার লেখকের নামটা ব্র্যান্ড হিসাবে এস্টাব্লিশ হয়ে গেলো, তার পর , "যাহা লিখিলাম তাহাই ছাপাইলাম" - এই গোছের মানসিকতা  তখনকার দিনের ঋষিদের ছিলনা। পেটের ও প্রাণের দায়ে আজকের শিল্পী -সাহি...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৮তম অধ্যায় || (৯১)

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৮তম  অধ্যায়  ||     (৯১)   যদিও ঋগ্বেদের বহু সূক্ততে ইন্দ্রকে প্রশংসা করা হয়েছে কিন্তু  বর্ষ প্রাচীন ঋগ্বেদকে মূল্যায়ন করার ব্যাপারে বেদের ভাষ্যকারদের ব্যাখ্যাকে বেশী প্রাধান্য দেওয়া সমীচীন -পূর্ব অধ্যায়ের পর--- কুয়াশার তরঙ্গ   রাত্রি তার অন্ধকারকে সঙ্গে  নিয়ে  ভোরের আগমনের বার্তা  জানিয়ে বিদায়ের প্রারম্ভে যে  আলো-আধারির সাথে কুশায়ার আচ্ছাদনে ঢেকে রেখেছিল  নদীর প্রান্তর আর তার মধ্যে দিয়ে আপনমনে বয়ে যাওয়া সিন্ধু নদের  কুলু কুলু মৃদু শব্দ  যুক্ত হয়ে যেন এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। অনতিদূরে, স্বামী বিবেকানন্দ সেই কুয়াশার চলমান ঢেউয়ের একের পরে  আরেক ঢেউয়ের  আছড়ে পড়ার বিলম্বিত সময়ে অবলোকন করলেন এক ঋষি সিন্ধু নদের  তীরে বসে  দেবী সরস্বতীর আবাহন মন্ত্রের মূর্ছনায়  সারা প্রকৃতিকে আলোড়িত করছিলেন। স্বামীজী সেই ঋগ্বেদের  মন্ত্র জানতেন , নিজের অজান্তে তিনি গলা মেলালেন, কখন যে তিনি সেই  সুরের সাথে একাত্ম হয়ে ...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৭তম অধ্যায় || (৯০)

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৭তম  অধ্যায়  ||     (৯০)  যারা আর্য নয় তারা লুন্ঠিত হতে পারে, তাদের কে হত্যা করা যেতে পারে, তাদের সম্পত্তি হরণ করা যেতে পারে  --------- পূর্ব প্রকাশিতর পর ------- সংঘর্ষটা খাবারের লড়াই, সীমিত ভোগের উপকরণ আর অসীম চাহিদা, তাই চাহিদার সাথে যোগান মেটানোর লড়াই, সেখানেই শক্তির ব্যবহার, সবরকমের ভোগের উপকরণের স্থায়িত্বের লড়াই।  তাই ফিরে দেখা ইতিহাসের পাতায়, সেখানেই উত্তর লেখা আছে আজকের মানুষের সাথে মানুষের সঙ্গবদ্ধ লড়াইয়ের কাহিনীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।  এই সেই প্রাণী, যারা পারেনা বাঁদরের মতো দ্রুতগতিতে গাছে চড়তে, চিতার মতো খ্রিপ্ততায় এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে যেতে , এক কামড়ে যথেষ্ট বিষ না থাকায় সাপের মতো অন্যান্য প্রাণীর সমীহ আদায় করতেও তারা পারে না , গায়ে যথেষ্ট লোম না থাকায় ঠান্ডায় কাতর, খাদ্য সংগ্রহকদের তালিকায় একদম পিছিয়ে পড়া প্রাণী, থাকার মধ্যে শুধু একটি উৎকৃষ্ট মগজ আর তাকে মূলধন বানিয়ে একদিন সে প্রাণীকুলের রাজা, সে হোল মানুষ। কালক্রমে একটি বিদ্যার অধিকারী হয়ে, অনেকটা আজকের দিনের ...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৬তম অধ্যায় || (৮৯)

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৬তম  অধ্যায়  ||     (৮৯)    সম্পর্ক যেখানে চাওয়া পাওয়ার, সেখানে প্রাপক যে সর্বান্তঃকরণে দাতাকে তৈলমর্দন করবেন, সেটা তো বলা বাহুল্য। তাই সেই স্বপ্নের রাজকুমারকে অকৃপণ ভাবে রূপরসে, গন্ধে, শৌর্য্যে বীর্য্যে, আগাম আপ্যায়নের প্রতিশ্রুতিতে, প্রার্থনায় সমগ্র ঋগ্বেদের তিন-চতুথাংশ জায়গাকে আলিঙ্গন করে রেখেছে 00000000 ২৫তম  সংখ্যার পর। ...................   দেবতাদের প্রশংসিত হবার কারনগুলি সেই যুগের সামাজিক মূল্যবোধের পরিপেক্ষিতে বিকশিত হয়ে ছিল তাকে সুক্ত আকারে ঋগ্বেদের অধিকাংশ শ্রুতিতে তার বর্ণনা করা আছে।  যে কোন সমাজের মূল্যবোধ নির্ভর করে কি ধরনের রীতিনীতির দ্বারা  সমাজ পরিচালিত হতো, সেটাই ছিল সমাজের উৎকর্ষতার অন্যতম মাপকাঠি।  তার স্ফূরণ প্রতিবিম্বিত হয় সমাজে ব্যক্তির আচরণের মধ্যে দিয়ে।  পার্থিব জগতের ঐশী সুখ, আরাম, স্বাছন্দ , নিরাপত্তা, ধন সম্পত্তি ইত্যাদি দিয়ে যখন সাধারণ মানুষের কামনা বাসনার তৃপ্তি যে দেবে, তাকে তো মানুষ মাথায় করে রাখবে। হোকনা, সেই রাজা কোন অন্য রাজ্যের সাধারণ মানুষের...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৫তম অধ্যায় || (৮৮)

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৫তম  অধ্যায়  ||     (৮৮)    প্রয়োজনকে লক্ষ্য ভেবে মানবসংসারে একাধারে বহু সৃষ্টি এবং যুগপৎ পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যেক আচার-আচরণের সামাজিক অনুমোদন পেয়েছিলো এবং সমাজটা   কি কি কারণে  প্রাচীন অভ্যাসকে ঝেড়ে ফেলে দিতে বাধ্য হয়ে ছিলো,  তাকে সময়ানুক্রমিক ভাবে তুলে ধরতে না পারলে  একটা সময়ের  সাথে অপর আরেকটি  সময়ের  তুলনামূলক আলোচনা চলতে পারে না, সুতরাং  উপসংহার সেতো সুদূর পরাহত  -------- ২৪ তম অধ্যায়ের পর। . ....  আমাদের একটা চিন্তা বা ভাবনার বীজটা অঙ্কুরিত হওয়া থেকে শুরু করে  বৃহৎ কলেবরে এক বৃক্ষ হয়ে, ফুল ফলে নিজেকে বিকশিত করে  সময়ের নিয়মে একটা ছোট্টো বীজের মধ্যে আগামী দিনের সম্ভাবনাকে জিইয়ে রেখে বিশ্বসংসার থেকে  সে  প্রস্থান করে  , তারপর প্রকৃতি বীজ থেকে অংকুরিত সেই নবজাতককে এই বিশ্ব চরাচরে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মধ্যে তার নিরবিচ্ছিন্ন ধারাকে বজায় রেখে আসছে ।  ঠিক সেই  ...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৪তম অধ্যায় || (৮৭)

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী- ২৪তম  অধ্যায়  ||     (৮৭)    মহাভারত যে দাবী করেছে যে সেটা ধর্মশাস্ত্র এবং মোক্ষশাস্ত্র তার যৌক্তিকতাকে আমরা খুঁজতে চেষ্টা করব , কখনো ইতিহাসে , কখনো সাহিত্যে , আবার কখনো প্রত্নতাত্ত্বিক এবং নৃতাত্ত্বিক গবেষণার পাতায় নিজেদের সীমিত বুদ্ধির আলোকে ……… পূর্ব প্রকাশনার পর মহাভারতের বিশাল ক্যানভাসে বর্ণিত সমাজকে এবং তার চরিত্রগুলি কালের নিয়মে কতখানি মানানসই ছিল আর কতখানি সময়কে অতিক্রম করে আজ ও প্রাসঙ্গিক বা আধুনিক   তার বাস্তবতা  খুঁজতে গেলে অবশ্যই কালের সাথে পা মিলিয়ে চলতে না পারলে তাকে ধরা যাবেনা। সমাজ বিবর্তনের  চেহারাটা সেখানেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে আর সঙ্গে থাকবে একগুচ্ছ প্রশ্নের যুক্তিপূর্ন ব্যাখ্যা। চলার পথে  প্রাচীন ভারতের  ইতিহাসের পাতায়      আর্য্যদের আগমন ও বৈদিক যুগে র সূচনার পর্বটা এড়িয়ে গেলে চলবেনা।  সূচনা হলে অবশ্যিই তার শেষ হবে। বৈদিক যুগের অবসান ও তৎকালীন সমাজের স্তম্ভগুলি ( সমাজ ও তার অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আচার-আচরণ)  কতখানি আধুনিক না চিরাচরিত পদ্ধতিত...