পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

(২৫৯) ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র -চতুর্থ পর্ব

ছবি
    (২৫৯)   ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র -চতুর্থ   পর্ব  তৃতীয়  সংখ্যার পর   ..................................................  ফিরে দেখা  ১ যাকে   মন   খুঁজে খুঁজে পাগল, সে থাকে লোকচক্ষুর আড়ালে। সেদিনের গল্প শুনতে গেলে, তখনকার কি কি কাহিনী ছিল, তার মধ্যেই খুঁজতে হবে। ইতিহাসে যা চাই, তার সঠিক উত্তর মেলেনা, কিন্তু সূত্র পাওয়া যায়।  সেই সূত্র ধরেই ঋগ্বেদের পাতা উল্টানো। উল্টাতে গিয়ে দেখি, সোনা যেমন, বহু উপাদানের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে, ঠিক তেমনি, প্রার্থনা আর স্তবের মন্ত্রের সাথে মাখামাখি করে সমাজে পুরুষ ও নারীর অবস্থানের সূচনাগুলি  লুকিয়ে আছে।  ঋগ্বেদটি বড্ড সুসজ্জিত, বিক্ষিপ্ত মন্ডলগুলিকে কেউ যেন সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করেছে, রচনার পরবর্তী সময়ে। ব্যসদেব মহাশয় যে তার সুযোগ্য চার শিষ্যদের দিয়ে বেদকে সুসংগঠিত করেছিলেন তার প্রমান  মিলেছে। শুধু এই ঋগ্বেদ সংহিতায় আছে ১০টি মণ্ডল  ২০,৪০০ সুক্ত আর সব মিলিয়ে লাইন আছে প্রায় নব্বই হাজার।   তখনকার দিনে সাধারণ ...

(২৫৮) ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র -৩য় পর্ব

ছবি
    (২৫৮)   ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র -৩য়  পর্ব  অঙ্কনে রবীন   দ্বিতীয়  সংখ্যার পর   ..................................................  বাস্তবতা   কি এমন হলো, সেই  ঘন নীল অম্বর তলে  মাদঙ্গের  উন্মত্ত ধ্বনির তালে তালে হেসে কুদে বেড়ানো সেই লাস্যময়ীর দল কোথায়  যেন হারিয়ে গেল, কিসের ইঙ্গিতে ।  সেই  বাস্তবতাকে  খুঁজতে হবে সেযুগের সাহিত্যের গভীরে। সভ্যতাকে খালি চোখে দেখা যায় কিন্তু সংস্কারকে অন্তরে অন্তরে  উপলদ্ধি করতে হয়।  শুরুর পূর্ণতা শেষেই হয়   ধনধান্যে পুষ্পে ভরা এই উপমহাদেশকে উপভোগ করার বাসনা সীমানার ওপারের  কিছু শক্তির দীর্ঘ দিন ধরে ছিল, তারা অপেক্ষা করছিলো উপযুক্ত সুযোগের। ক্রমশ দুর্বল হয়ে বৈদিক সমাজ ধীরে ধীরে যখন অন্তিম লগ্নে এসে উপস্থিত হলো। সেই সুযোগে একাধিক বিদেশী আক্রমণকারী  আর্য্যবর্তের উপর আক্রমণ  হানতে শুরু করলো।   সমাজের বিবর্তনের প্রতিফলনে নারীদের স্বাধীনতার পরিধানটা ধীরে ধীরে খসে পড়লো। ধারণার অতীত হয়ে গেল যে, না...

(২৫৭) ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র -২য় পর্ব

ছবি
  (২৫৭)   ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র -২য়  পর্ব  রবীন মজুমদার( অঙ্কনে ) প্রথম সংখ্যার পর  .................................................. তথ্যের উপাদান   নারী স্বাধীনতার কথা উঠলে  মন্তব্য উড়ে আসে, বৈদিক যুগে নারীদের স্থান বেশ উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত ছিল, যা একবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে।  যে পাতা ইতিহাসের কান্ড ছাড়া প্রস্ফুটিত হয় না, আর যাকে সমৃদ্ধ করে  বহু উপাদান ,  তবে সে ইতিহাস নামে  ভূষিত হয়। তার সঙ্গে  থাকবে পুরাণ, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান, নৃবিজ্ঞানের প্রামাণ্য দলিল,  শিলালিপি,  বৈদিক সাহিত্য, বৌদ্ধ সাহিত্য আর সঙ্গে রামায়ন ও মহাভারত।  অনুক্রমটা যদি প্রাচীনতর সাহিত্য দিয়ে শুরু করতে হয়, তাহলে সর্বাজ্ঞে আসবে ঋগ্বেদ তারপরে অন্যান্য সাহিত্য।   তৎকালীন সমাজে নারীর অবস্থান কখন মুক্ত বিহঙ্গের মতো খোলা আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে আবার কখন সে  বন্দী হয়ে খাঁচার মধ্যে এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে দাঁড়ের উপর দিয়ে হেটে বেড়াচ্ছে আবার কখন মনমরা হয়ে খাঁচার একপ্রান্তে চুপ করে বসে আছে। পলকে পলকে এক বৈচিত্রময় জ...

(২৫৬) ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র -১ম পর্ব

ছবি
  (২৫৬)   ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র -১ম পর্ব  এঁকেছে -রবীন মজুমদার  ভুলভুলাইয়া  সেই দিনের সামাজিক রীতিগুলির বেশ খানিকটা অংশ  সময়ের হাত ধরে আইনের রূপ নিলো আর যারা জায়গা পেলো না, তারা রয়ে গেল সংস্কার হিসাবে। তাই রীতি সেই অর্থে আইনের পিতৃত্বের দাবিদার। পূর্বে সমাজপত্তনের পর রীতি ছিল বটে কিন্তু রীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে নীতি কিছু ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের আলমারিতে ঠিক এখানকার মতোই আবদ্ধ  ছিল।  অর্থনীতির পট পরিবর্তনের ধারাবাহিকতার সাথে ঐতিহাসিকভাবে নারীদের উথান পতনের মানচিত্রটার বাস্তবতাকে অনুসন্ধানই  এই ব্লগের উদ্দেশ্য।  বৈদিক যুগ   সময়কালটা খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ বছর পূর্ব থেকে শুরু। আর্যরা হিন্দুস্থানে এসেছে, শুরু হয়েছে বৈদিক যুগ।  যুদ্ধ-বিগ্রহের নিষ্পত্তিতে সেদিনের যাযাবর কালক্রমে তারা   স্থিতু হয়েছে। সামাজিক আবরণগুলি  ধীরে ধীরে ঘষে পড়েছে। আগে যে গোষ্ঠী, কৌম নামক আবরণের বিলুপ্তি ঘটিয়ে এলো যৌথ পরিবার এবং পরবর্তী সময়ে এক পুরুষের পরিবার। এইভাবেই সমস্ত গোষ্ঠীগুলি একইভাবে বিবর্তিত হতে লাগলো। ...

(২৫৫ ) জীবন তরঙ্গ

ছবি
  (২৫৫ )  জীবন তরঙ্গ  Rabin creation   ডিসেম্বরের শেষাশেষি , কোভালাম বিচের এখন তাপমাত্রা ১৯-২০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে, যেন মৃদঙ্গের তালে তালে  সাগরের  তরঙ্গ  তীরে এসে তার প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে চাপা অভিমান  নিয়ে আবার সাগরের  গহন গভীরে হারিয়ে যাচ্ছে। বিরামহীন তার ছন্দময় আসা যাওয়া। হয়তো, সাগরের  তরঙ্গের  এই প্রশ্নের  সাথে  তার জীবনের মূল প্রশ্নের কোন একটা আশ্চর্য্য  মিল  রাজর্ষি দাশগুপ্ত খুঁজে পাচ্ছেন। মূলতঃ তিনি জীবনে শান্তির উৎসের সন্ধান করে বেড়াছেন।  সাগরের তরঙ্গ  নিশ্চয় ভাবছে যে তারা সাগরের থেকে আলাদা। আসলে তারা নাম ও রূপের ধারণার উপর নির্ভরশীল।  কখনও বা  তার নাম তরঙ্গ আবার কখনও সে ভূষিত সাগর নামে, একই বস্তুর ভিন্ন নাম,   অথচ রূপের পরিবর্তনে ভিন্ন ভিন্ন  তার পরিচয়।  তরঙ্গ যখন চলে যায়, তখন তার রূপও চলে যায়।  সাগরকে তরঙ্গের থেকে তার রূপ কেবলমাত্র আলাদা করে।   ঐ রূপটাই বা কি...

(২৫৪) ফ্যাসিজমের রুট কজ

ছবি
  (২৫৪) ফ্যাসিজমের  রুট  কজ   ডাক্তার যেমন তার জানার নির্দ্দিষ্ট পরিধির মধ্যে রোগীর রোগের কারণ নির্ণয় করার পরে চিকিৎসা শুরু করেন, ঠিক তেমনি আমাদের বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা নির্ধারণ হবে অবশ্যিই আমাদের সীমিত জানার মাপকাঠিতে।  সাধারণজ্ঞান বলে জন্মলগ্ন থেকে মানুষের মধ্যে ফ্যাসিজমের রক্ত কখনই  প্রভাবিত হয় না। তা  যদি না হয় তবে এর প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তা আছে। কারণ ছাড়া কোন কার্য্য যেমন হয় না কিন্তু এটাও বলা নেই এই কারণকে খুঁজতে কতদূর পর্যন্ত যেতে হবে তার কি কোন নিদ্দিষ্ট সীমারেখা বোধহয় আছে। কাজটা ভীষণ কঠিন কিন্তু কঠিন পণ করলে উত্তরকে সামনে নিয়ে আসা যায়।    আমাদের লক্ষ্য পূর্ব নির্ধারিত অর্থাৎ কিভাবে একটি মানুষ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠে তার পশ্চাদপদকে চিহ্নিত করা।  বাস্তবে সেই মানুষটি   ভীষণ কষ্টে আছে, কেননা সে  ভীষণ তৃষিত কিন্তু হালে পানি পাচ্ছেনা আর সেই  কারণে সে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মজার ব্যাপার হলো, এদের তৃষ্ণা উত্তরোত্তর এতই বৃদ্ধি পায় আর সেই তৃষ্ণা কোনদিনই পূর্ণতা লাভ করেনা, এটা প্রমাণিত।  নিজ নিজ ...

(২৫৩ ) ফ্যাসিজমের একাল সেকাল

ছবি
  (২৫৩ )   ফ্যাসিজমের একাল সেকাল  শক্তির সাথে শৃঙ্খলার এক আশ্চর্য মিশেল এই 'ফ্যাসিকো' যার থেকে ফ্যাসিজম কথাটির উৎপত্তি। যে আদর্শের উপর লক্ষ্য রেখে  এই শক্তি  জাতীয়তাবাদের ধোঁয়া তুলে শাসকের একনায়কতন্ত্রকে  প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।                 ************************************** ইতিহাসে কেউ কেউ জায়গা করে নেয় তাদের কৃতকর্মের মাপকাঠিতে।  সেটা অবশ্যিই দৃষ্টান্তমূলক। সেই চরিত্রের দৃষ্টান্তটি   মানবিক কিংবা তার অমানবিক কারণও হতে পারে। সেখানে এমনিই একটা নাম   হিটলার, যাঁর সাথে ফ্যাসিস্ট শব্দটি সমার্থক হয়ে গেছে। যদিও বেনিতো মুসোলিনি এর উদ্গাতা কিন্তু হিটলার তার  রূপকার। এই ধরনের বিরল প্রজাতির মানুষ কোন কোন শতাব্দীতে দুই-একটা জন্মায়। অবশ্য তারা ভীষণ ক্ষণজন্মা। উত্তরসূরি তারা তৈরি করতে পারেনা , কেননা তারা  যখন এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয় ,  তখন তাদের উপর এতোখানি ঘৃণা বর্ষিত হয় যে, সাহস করে কেউ সে পথে হাঁটেনা। তাদের জীবনে যবনিকা পরার ইতিহাসটা ভীষণ মর্মান্তিক।  কিন্ত...

(২৫২) ইচ্ছাপূরণ

ছবি
(২৫২) ইচ্ছাপূরণ যৌবনের কি বয়স হয় ?  একদল মানুষ তথাকথিত বিগত যৌবনের অংশীদারিত্ব স্বীকার না করে, এক চুটকিতে সংখ্যাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আঁচলে মুখ না লুকিয়ে  যদি স্বপ্ন দেখে আর স্বপ্ন দেখাতে পারে তবে  অবশ্যিই  তারা  যৌবনের দূত।  নামের সাথে কামের মেলবন্ধন হলে নামকরণের স্বার্থকতার একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়। মরচে পরে যাওয়া ইচ্ছাগুলি একদিন যখন গভীর ভাবনার সংস্পর্শে এসে উদাত্ত কন্ঠে বলে উঠে - আমরা  আমাদের জন্য কিছু বলতে চাই, বলার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কিছু করতেও চাই আর তার অভিমুখ হবে  মানুষের পদে পদে ইচ্ছার অপমৃত্যুর বিরুদ্ধে একটা সর্বগ্রাসী আন্দোলন।   সেই পুঞ্জীভূত ইচ্ছাগুলিকে ভাষার আগুনে সেঁকে সর্বজনে প্রকাশ করা আর তাকে বাস্তবায়িত করার নামই হচ্ছে  "ইচ্ছাপূরণ "।  এই পৃথিবীতে যত না মানুষ অসুস্থতায় মৃত্যু বরণ করেছে, তার থেকে আত্মপ্রকাশ  করতে না পেরে গুমরে গুমরে কত না মানুষ মরমে মরে যায়, সেটা কোন খাতায় লেখা থাকেনা। ধরাযাক, কারোর  দুধসাদা সুন্দর দাঁত আছে , সে উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে জীবনে কোনদিন তাঁর হাসিকে প্রকাশ করতেই পারলো না, অথচ তার ...

(২৫১) মহাভারতের অন্দরে ও বাহিরে -তৃতীয় পর্ব

ছবি
  (২৫১)  মহাভারতের অন্দরে  ও বাহিরে     -তৃতীয় পর্ব                                          মহাভারতের ঐতিহাসিক উপাদান-২     ব্রাহ্মণ্যবাদ ও ব্রাহ্মণের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে।   এককথায় শাস্ত্র যাদের ঢাল আর বর্ণপ্রথার বিভাজনকে জিইয়ে রাখা যাদের ব্রত তারাই ব্রাহ্মণ্যবাদের ধারক ও বাহক। তাদের ব্রাহ্মণ হতেই  হবে এমন কোন মানে নেই। ভারতবর্ষ এমন একটা দেশ যেখানে একদল ব্রাহ্মণেরা নিঃস্বার্থভাবে  বেশ কিছু রচনা করতেন অভিমুখ ছিল জনগনের হিতসাধন। তাঁরা মহাভারতে নিজেদের ব্যক্তিগত নাম যশ ছাড়াই সংযোজন করেছিলেন, সেটি বিদেশী সাহিত্যে কল্পনা করা যায় না।  তাছাড়া, লেখার প্রচলন শুরু হলেও অনুলিখন ছাড়া গুরুর মাধ্যমে শিষ্য এই  পরম্পরায় ছাড়িয়ে পড়েছিল। এই পথ দিয়ে মহাভারতের অতিরঞ্জিত  গল্পগুলি ছড়িয়ে পড়েছিল।  য়ুরোপের বিদগ্ধমহল যাঁরা সুউচ্চ নিজ ভাবনার বেড়াজালে  আবদ্ধ তারা পদে পদে মহাভারতের ছন্দের ধন্ধেতে পরে গিয়ে হোঁ...