পোস্টগুলি

মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

[ ২৭৪ ]লোডশেডিং

ছবি
[ ২৭৪ ]লোডশেডিং    "আপনারে দীপ করি জ্বালো, আপনার যাত্রাপথে আপনিই দিতে হবে আলো।" বিশ্বকবির এই মহান আহবানের অনুরূপ সুর স্বামী বিবেকানন্দের কন্ঠে বেজে উঠছিলো। পুরোহিত ও বিদেশী রাজারা শত শত শতাব্দী ধরে ভারতের সাধারণ মানুষকে পদদলিত করে রেখেছে। একদিন তারা ভুলেই গেছে যে, তারা কোন এক সময়ে মানুষ ছিল। তাদের ভাব দিতে হবে। তাদের চক্ষু খুলে দিতে হবে, যাতে করে তারা জানতে পারে এই জগতে কোথায় কি হচ্ছে। সেটা সম্পূর্ণ হলেই তারা নিজেদের উদ্ধার নিজেরাই করতে পারবে। তাঁদের এইটুকুই সাহায্য করতে হবে যে, ভাবটা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। অবশিষ্ট যা কিছু, তার ফল আপনা আপনিই আসবে। কবির সাথে স্বামীজীর বক্তব্যের ফারাক হল, দীপ জ্বালাবার প্রধান উপকরণ সেই শিক্ষাকে কি ভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং তাকে বাস্তবায়িত করার পথ বাতলে দেবার কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন। ১৯০০ শতকে দরিদ্র ছাত্রদের ড্রপ আউটের যে কারণ ছিল আজও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। স্বামীজীর ইতিবাচক দিক - স্বামীজী এখানেও থেমে থাকেননি, যদি ছাত্ররা বিদ্যালয়ে না আসতে পারে তবে শিক্ষকরা ছাত্রদের কাছে পৌঁছে যাবার আহবান জানিয়েছেন। তার কারণ যুগসঞ্চিত শোষনের একমাত্র ...

(২৭৩) রবি সৃষ্টির বৈচিত্রতা (ষষ্ঠ নিবেদন)

ছবি
  ( ২৭৩)  রবি সৃষ্টির  বৈচিত্রতা (ষষ্ঠ   নিবেদন)           ঊনিশ শতকে এই পৃথিবীর বুকে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। সমস্তটাই ছিল ভাঙা গড়ার খেলা। যুদ্ধের সাথে সাধারণ মানুষ  পরিচিত  ছিল কিন্তু সেটি কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা জানা ছিলনা। সেই শতকে সারা পৃথিবী  প্রত্যক্ষ করলো তার ভয়াবহতাকে।  সারা পৃথিবীর মনীষীরা মানব সভ্যতার এই নগ্ন চেহারা দেখে  আর্তনাদ করে উঠলেন। মানবতার ধর্ষণের বিরুদ্ধে কবির কলমও যেমন থেমে থাকেনি তার সাথে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মনীষীদের সাথে যুক্ত হয়ে যুদ্ধ বিরোধী প্রচারে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। আসলে, মানবাত্মার অপমৃত্যু কবিমন সহ্য করতে পারেনি। তিনি জানতেন, বাইরের যুদ্ধটা কেবল প্রকাশ মাত্র আসলে তার থেকে অনেক কঠিনতর সেই  অন্তরের  যুদ্ধ জয়ের রাস্তাটাকে মসৃন করাটাই আসল সংগ্রাম, যাঁকে ভারতীয় সংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে।                                       ...

(২৭৩A) রবি সৃষ্টির বৈচিত্রতা (পঞ্চম নিবেদন)

ছবি
    ( ২৭৩A)  রবি সৃষ্টির  বৈচিত্রতা (পঞ্চম  নিবেদন) এই পৃথিবীতে যুদ্ধের পাশবিকতা  ততক্ষন থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত সেই পশুটি  মানবিকতার অস্ত্রে নিহত না হয়। এই সংগ্রাম একটি সামগ্রিক সংগ্ৰাম এবং তার জন্য যেটা প্রয়োজন ছিল, আপামর জনগনের মানসিক প্রস্তুতি।  এই মানসিক প্রস্তুতি গঠনের কাজ ছিল কবি সাহিত্যিকদের। রবি কবি ভীষণ যত্ন সহকারে সেই কাজটি তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত করে গেছেন। এই মানবিকতার যুদ্ধের নিরন্তন সৈনিক ছিলেন কবি। যে সকল উপাদান মানবিকতার উৎকর্ষ বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো, বিশ্বজনীন প্রেমের বীজ মন্ত্র। রবীন্দ্র সাহিত্যে তার গভীর বর্ষণ লক্ষ্য করা যায়।  আজ সেই নিয়ে একটি কোলাজ।                                          *                    *                    * "  আজি  ঝড়ের...

(২৭২) রবি সৃষ্টির বৈচিত্রতা (চতুর্থ নিবেদন)

ছবি
  ( ২৭২)  রবি সৃষ্টির  বৈচিত্রতা (চতুর্থ   নিবেদন) এক সীমাহীন বিরাটত্ব নিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যজগতে রবীন্দ্রনাথের আভির্ভাব।  সাহিত্য যে  সমাজের সত্যিকারের দর্পন হতে পারে তার নিদর্শন রবীন্দ্ররচনা। তাঁর সাহিত্যের সাথে দর্শনের এক অদ্ভুত মিশেল পাঠকের জীবনের বিভিন্ন পর্বের  ঘটনা ও দুর্ঘটনার সাথে পরিচয় করেই ক্ষান্ত হয়নি, সেই পথ থেকে উত্তরণের দিশাও তিনি দেখিয়েছিলেন।  কবির কথায় আজ বলতে হয় " বিপুলা এ  পৃথিবীর কতটুকু জানি", আপাতত  জানতে চলি তার রহস্য ভান্ডারকে।  তারই  ভান্ডার থেকে কিছু রত্ন তুলে নিয়ে  আজকের কোলাজ।                           *                                         *                                     ...

(২৭১) রবি সৃষ্টির বৈচিত্রতা (তৃতীয় নিবেদন)

ছবি
  ( ২৭১)  রবি সৃষ্টির  বৈচিত্রতা (তৃতীয়  নিবেদন) আধুনিকতার যদি কোন সংজ্ঞা খুঁজে হয়, তবে রবীন্দ্র সাহিত্যেকেই আশ্রয় করতে হবে। যে পার্থিব জগতের শত পরিবর্তনের মধ্যেও থেকেও সে অমলিন। তার সৃষ্টিতে আমরা গভীর দর্শনের স্বাদ সব সময়ে পেয়ে থাকি, তাই আজও তাকে নিয়ে চর্চার অন্ত  নেই।   রবীন্দ্রসৃষ্টি নিয়ে আরো একটি কোলাজ  "বিপদে মোরে রক্ষা করো - এ নহে মোর প্রার্থনা " স্বামী বিবেকানন্দ পরবর্তী যুগে , নাস্তিকতা আর আস্তিকতার অর্থ নতুন করে সংজ্ঞায়িত হয়েছে। যাঁর নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থা আছে তিনিই আস্তিক আর যার নেই সে নাস্তিক।  কবি মনে প্রাণে উপলদ্ধি করেছিলেন  এই দুঃখময় পৃথিবীতে বেদনার সাথে  সংগ্রামের একটি মাত্র হাতিয়ার নিজেকে প্রস্তুত রাখা, অর্থাৎ আত্মবিশ্বাস এবং আত্মনির্ভরতার উপর নির্ভর করে দুঃখকে জয় করতে হবে। তাই তাঁর প্রার্থনার অভিমুখ সান্ত্বনা নয় বরং ঈশ্বর বা আত্মা কিংবা চৈতন্যের আলোকে অবিনস্ত মনকে একত্রিত করা এই যুদ্ধকালীন অবস্থায়। এ এক অন্তঃশক্তির জাগরণের আহবান। এটি এক চরম আস্তিকতার নিদর্শন।            ...

(২৭০ ) গানে গানে রবীন্দ্রনাথ (দ্বিতীয় সংখ্যা )

ছবি
 (২৭০ )  গানে গানে রবীন্দ্রনাথ  (দ্বিতীয় সংখ্যা ) রবীন্দ্রসৃষ্টি নিয়ে একটি কোলাজ (২) হৃদয়বৃত্তির বিকাশের অভাব  আজ এই সময়ে ভীষণভাবে অনুভূত হচ্ছে।  এই উত্তরণের কান্ডারীকে এই তামসিক দিনে স্মরণ করা ছাড়া উপায়ান্তর নেই। তাই  তারই গানে গানে তারই সৃষ্টির অন্বেষেণ।                 *     *     *     *     *     *     *     *     *     *   "যদি    জানতেম আমার কিসের ব্যথা তোমায় জানাতাম"    চাওয়ার সাথে পাওয়ার ব্যবধান চিরকালের। সেই চাওয়ার উৎস হয়তো হারিয়ে যায় কিন্তু সেই   না পাওয়ার হারিয়ে যাওয়া বেদনাটা এক অদৃশ্য আকাঙ্খার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় আর সৃষ্টি করে এক চিরন্তন বিষাদকে। এই বিষাদ থেকেই সৃষ্টি হয় কতনা কাব্য ও গান।                    *     *    *    *    *    *    *...

(২৬৯) রবি সৃষ্টির বৈচিত্রতা (প্রথম নিবেদন )

ছবি
 (২৬৯)  রবি সৃষ্টির  বৈচিত্রতা (প্রথম নিবেদন) যখন মানুষ তার সৃষ্টির ইতিহাসকে অস্বীকার করতে উদ্যত হয় বিভাজনকে আঁকড়ে ধরে ,  তখন   রবীন্দ্রচর্চা   ভীষণ প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে ।   রবীন্দ্রসৃষ্টি নিয়ে একটি কোলাজ  " ভুবনেশ্বর হে,  মোচন কর' বন্ধন সব মোচন কর' হে  " -    ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাকে নৈবিদ্য  সাজিয়ে কবির মিনতি। এই কবিতায় কবি,  মোহ, কামনা বাসনা আর অহংকারের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা  জীবনের এই অন্ধকার থেকে মুক্তির আলোতে উত্তরণের জন্য মানব হৃদয়ের আকুতি চিরন্তন।                     *                            *                            * " আলোয় আলোকময়   করে হে এলে আলোর আলো । " জ্ঞানের আলোকবর্তিকায় যখন অন্তর আলোকিত, তখন কবির কাছে এই জগৎটা প্রেমময়, তাই তি...

(২৬৮) ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র - সপ্তম পর্ব

ছবি
  ( ২৬৮)  ভারতীয় সমাজে নারীর উত্তরণ ও অবমননের মানচিত্র - সপ্তম পর্ব  দৃশ্য ১ :- টেলিভিশনে একটা ফুডের বিজ্ঞাপন দেখলাম, একটি পুরুষ এবং একটি নারী সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাক্সিকে ধরবে বলে দৌড়ে যাচ্ছে। বেশ খানিকটা পিছন থেকে দৌড় শুরু করে পুরুষকে হারিয়ে সেই নারী ট্যাক্সিতে চেপে বসলেন এবং পারদর্শিতার কারণ জানতে চেয়ে সেই পুরুষের প্রশ্নের উত্তরে,    মুচকী হেসে তিনি  সেই স্পেসিফিক ফুডের কথা বললেন ।  কিন্তু এটাই আজকের দিনের বাস্তব চিত্র অবশ্যিই সেই ফুড ব্যতিরেকে। দৃশ্য ২:- একজন স্কুল শিক্ষিকাকে যখন প্রশ্ন করা হলো, পুরুষরা নারীদের উপর ঈর্ষান্বিত কেন ?    সেই প্রশ্নের উত্তরে   বহু উদাহরনের একটি হলো,   আজ যে কোন ইন্টারভিউতে পুরুষ ও মহিলা প্রার্থী থাকলে, দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলা প্রার্থীরা সেই চাকুরীটা নিজের যোগ্যতায় হাসিল করে নিচ্ছেন। তাছাড়া, কর্মক্ষেত্রে এবং পরিবারে কাজ কর্মের ক্ষেত্রে এক অদ্ভুত মেলবন্ধন তারা অনায়াসে ঘটাতে পারেন।   বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষায় বলতে গেলে, পরিবার হলো সব সংগঠনের মধ্যে সব থেকে কঠিনতম  সংগঠন। সুতরা...