(১৮৯) অন্ধকারের দিনগুলি

(১৮৯) অন্ধকারের দিনগুলি অন্ধকারটা ঘন অন্ধকারময় বর্ষার গভীর রাতে যখন নিশাচর প্রাণীছাড়া আর সবাই গভীর নিদ্রায় আছন্ন। পরিপূর্ন পুকুরে জলজ প্রাণীরা বর্ষার বন্দনায় রাতের নীরবতাকে ভেঙ্গে তাদের অতি পরিচিত ঘ্যাঙর ঘ্যান শব্দে আকাশ বাতাস মুখরিত করতো। আর ঠিক সেই সময়ে ব্রাহ্মণরা বৈদিক মন্ত্র আর তাদের অতিপ্রিয় সোমকে যজ্ঞে উৎসর্গ করে মহাবিশ্বের কল্যাণ কামনায় স্বর্গীয় সত্তাকে আত্মিকভাবে সেদিন আহবান জানাতো । কখনও অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো থেকে আনন্দের রসদ আবার তার নিষ্ঠুর স্নেহের মূর্ছনায় কাতর প্রাণ- এই ছিল সেদিনের নিসর্গের কাছ থেকে মানুষের পাওনা। কতনা ভালো-মন্দের মিশ্র অনুভূতি - আকাশ, রাতের তারা, চন্দ্র, সুগভীর রাত্রি, সূর্য, ঊষাকাল, ঝড়-বৃষ্টিকে ইত্যাদিকে নিয়ে কতনা শিশুর মতো বিস্ময়, প্রশ্ন অনেক ছিল কিন্তু সেসবের সব উত্তর সেদিন মিলতো না। একটুকরো জমিন আর তাকে ঘিরে বন জঙ্গল ও জলে ঘেরা গ্রাম, সেখানেই ঋগ্বেদের ...