পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

(১৯৯) প্রেমাঙ্গনে শ্রীকৃষ্ণ [পি ৪]

ছবি
  ( ১৯৯)  প্রেমাঙ্গনে শ্রীকৃষ্ণ  [পি ৪]               সময়  কখন  যে   জীবনের কীর্তিকে  মানদন্ডে ওজন করে মনুষ্য থেকে ঈশ্বরে উন্নীত করে দেয়, সেটা আগেভাগে বলা  যায় না । সেই বর্ণময় পুরুষটি, যিনি মনুষ্য জীবনকে স্বীয় মর্যাদায় অতিক্রম করে, নিজেকে ভগবান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার  রূপ,রস, গন্ধ ও  কর্মময় জীবনের প্রতি  সাধারণ মানুষের যে কৌতূহল থাকবে, সেটাতো ভীষণ স্বাভাবিক। ব্যতিক্রমীরা চিরকালই চর্চিত।  তাঁকে অবলম্বন করে  কত মানুষ যে কবি  হয়ে গেছেন, তার কোন ইয়ত্তা নেই।  আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই সত্ত্বাকে অনুভব  করতে গেলে, সেই সব প্রণম্য রচয়িতাদের রচনার গভীরে যাবার চেষ্টা করে সবকিছুর মধ্যেকার মৌলিকত্বকে  অনুসন্ধান করার প্রয়োজনীয়তা আছে।            যেহেতু চরিত্রটি শ্রীকৃষ্ণ, তাই স্বভাবতই গীতা, মহাভারত, বেদ ও বেদান্ত ইত্যাদির প্রসঙ্গ থাকবেই। বিচার ও বিশ্লেষেণ করে গ্রহণ করা, ভারতীয় দর্শনের ধর্ম।   অনেকে যুক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ক...

(১৯৮) দোলাচলে রাধা কৃষ্ণপ্রেমে -[ পি ৩ ]

ছবি
  (১৯৮)   দোলাচলে রাধা  কৃষ্ণপ্রেমে-[ পি ৩ ] সঙ্গ পাই সবাকার লাভ করি আনন্দের ভোগ - অপ্রতিরোধ্য  গতিতে প্রাণের নিমন্ত্রনে অসীম আকাশ থেকে প্রেম, বর্ষনের ধারার মতো এই  পৃথিবীতে সে একদিন ঝরে পড়েছিল।  সেদিন  ছিল মহাপ্লাবনের মতো  আদি  এক  প্রস্রবন, যে মনের গহনে  গিয়ে চিত্ত, বুদ্ধি ও অহংকারের সাথে আন্দোলিত হয়ে  অকল্পনীয় এক সুরের মূর্ছনার রূপে ঝরে পড়েছিল।   সেই সুরের সাধনায় মগ্ন  কবিরা নানান  দিক থেকে তাদের অব্যক্ততাকে  অকৃপণভাবে  ব্যক্ততায় উন্মুখ করে দিয়েছে  এই   বিশ্ব চরাচরে , শুধুমাত্র নিজ আনন্দের  ভাগিদার  হিসাবে।  যে প্রেম পথ মধ্যে পেতে ছিল নিজ  সিংহাসন -  আঁচল পেতে যাঁরা সেই অঞ্জলি গ্রহণ করেছিল, তার মধ্যে কবি জয়দেব একজন।  অবিনস্ত হয়ে   ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট কুড়ি গুলি একত্রিত হয়ে তার সংবেদনশীল অঙ্গ প্রতঙ্গকে উত্তেজিত করে তুললো। সেটাই প্রতিধ্বনিত হলো তার  লেখনীতে  ছড়িয়ে পড়লো সারা  বিশ্বময় . আর সেই প্রস্ফুটিত  ফুলের সুবাসে মে...

১৯৭) ভাব আর রসের আলিঙ্গনে কৃষ্ণ লীলা (পি ২)

ছবি
(১৯৭)   ভাব আর রসের আলিঙ্গনে কৃষ্ণ লীলা  (পি ২)   প্রেমের রসায়ন - ভক্তির তীব্রতা থেকে প্রেমের উৎপত্তি। প্রেম আনন্দময়, প্রেম চিন্ময়, অজর, অমর ও অব্যয়, সঠিকভাবে চৈতন্যেরই আরেকরূপে। তাই  তার গ্রহনযোগ্যতা  সর্বকালে এবং সর্বস্তরে। কখনো মানুষ নিজে নিজেই  তার স্বাদ গ্রহণ করতে পারে , আবার অন্য কেহ তাকে প্রেমের স্বাদ  আস্বাদন করাতে  পারে। তাই প্রেম চৈতন্যের ন্যায় সর্বলোকে অবাধে তার বিচরণ। প্রেমের পূর্নতা ভাব আর রসের অভূতপূর্ব সংমিশ্রনে গঠিত।  রসহীন ভাব যেমন কল্পনাতীত আবার ভাবহীন রসও  অবাস্তব।  প্রকৃতিদত্ত প্রেমের রসায়নে ভাব ও রসের মেলবন্ধন থাকবেই।  রসের  বিগ্রহ আবার রাসের পৃষ্ঠপোষক শ্রীকৃষ্ণের সাথে ভাবরূপে রাধার আত্মপ্রকাশই একটা পূর্ণাঙ্গ প্রেম কথা।    রাধা কৃষ্ণের লীলার অন্তরালে ভারতীয় দর্শন-  মানবজীবনের অন্যতম কাম্য বস্তু হচ্ছে প্রেম। ভারতীয় দর্শনে  যার স্বরূপ অনন্ত অর্থাৎ কোন লয়  হয় না, কোন পরিবর্তন হয় না, সে-ই  নিত্য শব্দে ভূষিত হয়, অন্যদিকে  পরিবর্তনশীল বস্তুকে অনিত্য  বস্তু বলা হয় ...

(১৯৬ ) গোপীদের সান্নিধ্যে শ্রীকৃষ্ণের কিছুক্ষন -(পি ১)

ছবি
 (১৯৬ ) গোপীদের সান্নিধ্যে  শ্রীকৃষ্ণের   কিছুক্ষন -(পি ১)  শ্রীকৃষ্ণের জাগতিক ও মহাজাগতিক অবস্থান কখনো দেবরূপে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ,আবার কখনো মানবরূপে বৃন্দাবনে প্রেমলীলার সার্থক  রূপকার , কখন তিনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে গীতার স্রষ্টা  হিসাবে ধর্মের গূঢ়ভাবের বিশ্লেষক, কখনো সৃষ্টি, স্থিতি এবং ধংসের প্রতীক হিসাবে আবির্ভাব।     গোবর্ধন পর্বতকে ঢাল করে জলপ্লাবনকে রোধ-  শ্র্রীকৃষ্ণকে যদি অবতার হিসাবে চিহ্নিত করতে হয়, তাহলে কোন গল্পের অবতারণা তো করতেই হবে। দৈনিন্দন জীবনের কোন কোন ঘটনাবলীকে তুলে ধরতে এবং  পুরাণের আদর্শকে বাস্তবায়িত করতে গিয়ে নায়ককে অতিরঞ্জনের আতিশয্যে সাধারণ মানুষের থেকে বেশী  উচ্চতায় তাদের পৌঁছে দেবার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।     কাহিনীর বিন্যাস হয়েছিল আর্য্যদের রাজা প্রকান্তরে পূজনীয় দেবতা ইন্দ্রের বহুদিনের ভক্ত গোপজাতি হঠৎ করে তাদের পূজার আসনে ইন্দ্রের স্থলে গিরীপূজা ও গোপূজার প্রবর্তনের মধ্যে দিয়ে ইন্দ্রের বিরাগভাজন হয়ে উঠেছিল  এবং পরবর্তী সময়ে ইন্দ্র তার প্রতিশোধ নিতে  অকাল বৃষ্টি দিয়ে তাদের...

(১৯৫) মহাভারতের দ্বান্দিকতা (পি-১)

ছবি
(১৯৫)  মহাভারতের দ্বান্দিকতা (পি-১)  বহু সাধকের নৈবিদ্যে মহাভারতের থালি  পরিপূর্ন হয়েছে।  সেখানে নিভৃতে অর্ঘ নিবেদন করে   তারা   মহাকবি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেবের সৃষ্টির আড়ালে  নিজেদেরকে  আত্মগোপন করে রেখে ছিলেন। এই ভাবে বহু ধারা উপধারার সংমিশ্রনে সমৃদ্ধ ঘটনাবলী একে একে মহাভারতের মহাসমুদ্রে নিমজ্জ্মান হয়ে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।  অভিমুখ একটাই তৎকালীন ঋষিদের একমাত্র লক্ষ্য  সমাজে পুরুষার্থের প্রতিষ্ঠা।              মহাভারতের সমুদ্র থেকে যদি একটা চরিত্রকে তুলে এনে ডাঙায় নিয়ে আসা হয়, সেই  ক্ষুদ্র অংশের মধ্যেই সমগ্র মহাভারত দর্শন হবে। এই মহাকাব্যের স্থাপত্য শিল্পটা সেই ভাবেই রচিত হয়েছে। যে কোন দিক থেকে দৃষ্টি মেলে ধরলেই মহাভারতের পূর্ণাঙ্গ শরীরটা ধীরে ধীরে চোখের সামনে পরিস্ফুট হয়ে উঠবে।              মহাভারতের সমুদ্রে দীর্ঘ সময় ধরে অবগাহন করার পর,  সমুদ্রবক্ষে এক উজ্জ্বল বর্ষপ্রাচীন প্রাণীর দেখা মিলল।  যে না থাকলে ব্যাসদেব এই অমূল্য...

(১৯৪) হেঁয়ালির আড়ালে পুরাণের কথকতা

ছবি
(১৯৪)   হেঁয়ালির আড়ালে পুরাণের কথকতা  শূন্যের মহাভোজ কিংবা শব্দার্থের বহুগামিতা  - ব হু  বিবাহ যেখানে স্বীকৃত সেখানে শত শত পুত্রের পিতা হিসাবে  গৌরবে গৌরবান্বিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা কিংবা অবিশ্বাস্য কিছু ছিল না পৌরাণিক যুগে ।            পুরাণের বহু চর্চিত কাহিনী ভাগীরথের গঙ্গাকে আমন্ত্রণ করে মর্তে নিয়ে আসা। এই ঘটনাটি  একটা বিবৃবিতেই  শেষ করে দেওয়া যেত।   তাতে করে পুরাণের লক্ষ্য  পূরণ হতো না। কোন ঘটনাবলীকে অলংকার সহযোগে আকর্ষণীয় করে  তাকে দীর্ঘ জীবনদান। সেইসঙ্গে মানুষের শিক্ষার ধারাকে অব্যাহত রাখা, এটাই পুরাণের মূল আদর্শ।  তাইতো   সাধারণ মানুষ ৫০০০ বছর পরেও ভুলতে পারে নি কপিল  মুনির আশ্রমকে , গঙ্গাসাগর আর ভাগীরথের গঙ্গা আনয়নকে ।               স্থুল কাঠামোর আড়ালে যেমন সুক্ষ ভাবনা আত্মগোপন করে থাকে, ঠিক তেমনি বহু অতিরঞ্জনের বেড়া অতিক্রম করে পুরাণের প্রকৃত চেহারাটা উন্মোচিত হয়।  ঘটনার  পরম্পরা যে কোন রচনার মূল বুনিয়াদ। বহু...

(১৯৩) দেবতাদের ডেরার খোঁজে

ছবি
  (১৯৩)  দেবতাদের ডেরার খোঁজে    চেতনার জন্ম জ্ঞানে, জ্ঞানের জন্ম শিক্ষায় আর শিক্ষার জন্ম কৌতূহলে। কতখানি চৈতন্যের আলো প্রতিবিম্বিত হলো বুদ্ধির উপর, তার উপর   নির্ভর করছে বুদ্ধির  উর্বরতা এবং তার উপর ভিত্তি করে বিচার বিশ্লেষণের তীক্ষ্ণতা গড়ে উঠে। মানুষের  আদি ও অকৃত্তিম সম্পদই হচ্ছে চৈতন্য বা চেতনা।       তাই আজ মননে কৌতূহলকে সঙ্গে নিয়ে  সময়ের যানে  চেপে   চললাম গন্তব্যস্থল ইলাবৃতবর্ষ , যেখানে একদিন  হিন্দুদের  দেবতারা বাস করতো এবং তার বহুল পরিচিত নাম হলো স্বর্গ। আর  এখানে আমরা আজ উপস্থিত হয়েছি অনেক প্রশ্ন নিয়ে এবং অবশ্যিই পুরাণের হাত ধরে।                 ভারতীয়দের হৃদয়ে  ঈশ্বর, দেবতা এবং স্বর্গ নামক শব্দগুলি  এক কৌতূহলদীপ্তক অনুভূতি নিয়ে আত্মগোপন করে থাকে। আধুনিক মেশিনারী দিয়ে ৬০০০ বছরের পুরানো ঘটনাবলীকে  বিশ্লেষণ করা হয়, তবে অনেক কিছুকেই অতিরঞ্জিত কিংবা অবিশ্বাস্য মনে হতেই পারে।  কিন্তু তার পশ্চাদপদটি অনুসন্ধান করলে সেই বি...

(১৯২) সৃষ্টি তুমি আজও কি রহস্যাবৃত -

ছবি
(১৯২) সৃষ্টি তুমি আজও কি  রহস্যাবৃত - ঋগ্বেদের প্রথম দিকে ঋষিগণ মানুষের অন্তরপ্ৰকৃতিতে বিচরণ করার যথেষ্ট সুযোগ হয়তো পাননি, তাই পরের দিকে তাদের এই সুপ্ত ইচ্ছার অন্বেষণ শুরু হয়েছিল। আর সেখান থেকে উঠে আসা রহস্যের গুপ্ত ভাণ্ডারটি কাব্যিক মাধুর্য্যে উপস্থাপন  করেছেন  ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলে  ১২৯ তম সূক্তে -    "হে  সৃষ্টিরূপী পরমেশ্বর!  তুমি হয়তো পূর্বেও  ছিলে কিন্তু  তোমার অস্তিত্ব তখন হয়নি প্রকাশ। তুমি  হয়তো পেয়েছিলে চেতন , কিন্তু এ জগতে সেটাই সত্য, যাকে করা যায় প্রত্যক্ষ।  "  "হে  সৃষ্টিরূপী পরমেশ্বর! তোমার   দিগন্তবিস্তৃত শুধুমাত্র জলেরই খেলা, তার উপর  যেন ভেলা নিয়ে ভেসে আছে বসুন্ধরা। না  ছিল কোন শব্দের প্রকাশমান, সবই যেন ' না ' এই বাচক রুপে সদাই  বিদ্যমান।  আছে শুধু আদি-অন্তহীন  মূক আর বধির  আকাশ  , সে যেন কালের এক অব্যক্ততারই   প্রকাশ । "  "হে   পরমেশ্বর!  তুমি কি অসীম সূক্ষতায়  করেছো   গ্রাস জগৎকে, সে যেন রয়েছে মৃত্যুরূপী এক গভীর ...

(১৯১) মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে -

ছবি
 (১৯১)   মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে - ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলে ১৮ তম সূক্তে সেদিনের কবি আপামর মানুষের জন্য জীবন থেকে মৃত্যুকে দূরে থাকার প্রার্থনা করেছিলেন। যদিও মৃত্যু হলো জীবনের অনিবার্য পরিণতি, তবুও কেউই চায়না এই ধরণী থেকে বিদায় নিতে। তাই এই মৃত্যুকে রোহিত করতে মানব মনের অন্তরতম প্রদেশ থেকে এটাই ছিল চিরন্তন আবেদন মৃত্যুর প্রতি - " হে মৃত্যু! তুমি  ঊর্দ্ধগগনে স্বর্গবিহারী  কিন্তু  সেখান থেকে তুমি তোমার শ্যেন দৃষ্টিকে  অবিচল রাখো মর্তবাসীদের উপর। হে মৃত্যু !  প্রার্থনা করি, তোমার এই কঠিন নিস্পলক দৃষ্টি থেকে বিরত থাকার । " "হে মৃত্যু!  তোমার পক্ষপাতিত্ব আমাদের পীড়িত করে, কেন তুমি বিভেদ রচনা করলে জীবনের স্থায়িত্বের প্রশ্নে   দেবতাদের সাথে মর্তবাসীদের  ?"  "হে মৃত্যু ! তুমি তো অন্তর্দ্রষ্টা , তুমি তো জান যে, অন্ধগলির পথ ধরে জরা-ব্যাধি  সঙ্গে করে  নিয়ে  আসে  মৃত্যুরে  মর্তের দরজায়,  তুমি কি পারোনা সেই পথটা করতে পরিহার ? কেন তবে ব্যতিক্রম দেবতাদের বেলা ?  "হে মৃত্যু ! তোমার কারণে কেন বারবার দংশিত হব...

(১৯০) সময়ের গল্প

ছবি
 (১৯০) সময়ের গল্প  ঋগ্বেদের সাম্য ভাবনা  ভারতের  প্রবহমান সংস্কৃতির প্রবক্তা  বেদের  অবৈরিতার মন্ত্রের  সূত্র ধরে বিশ্বকবি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে তার সৃষ্টির  মূল ভাবনাকে   আন্তর্জাতিকস্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন।  তার  স্বদেশ পর্যায়ের রচনা -   "বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু , বাংলার ফল" -   প্রার্থনাটি  যেন দেশ, কালকে অতিক্রম করে এক চিরন্তন আবেদনে রূপান্তরিত হয়েছে।   এই ভাবনাটির পিতৃত্বের যথার্থ দাবিদার বললে ভুল হবেনা যে , ঋগ্বেদের দশম মন্ডলে উচ্চারিত এই বিশ্ব মিলনের মন্ত্রের সাথে।  আজ থেকে ৫০০০ বছর আগে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলো অনৈক্য নয় ঐক্যই মানুষের একমাত্র বেঁচে থাকবার উপায়। তাই তাদের   উদাত্ত কন্ঠে  উচ্চারিত হয়েছিল সেই মিলনের কথা  - " এই পৃথিবীর সকল মানুষ তোমরা পরস্পর হাতে হাত মিলিয়ে চলো , তোমাদের আসল শক্তি সঞ্চিত আছে সেই অভিন্ন বন্ধনীতে  , তোমাদের হৃদয়তন্ত্রিতে বেজে উঠুক সেই মিলনের গান, একের অন্তরের আনন্দঘন আর বিষাদছায়ার মুহূর্তটি যেন প্রতিধ্বনিত হোক সমগ...