পোস্টগুলি

জুন, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

(২২৮ ) শাশ্বত (সাংখ্য দুই )

ছবি
  (২২৮ ) শাশ্বত                (সাংখ্য দুই )    আপনারে দীপ করি জ্বালো /  আপনার যাত্রা পথে আপনিই দিতে হবে আলো।  বর্তমান ভারতবর্ষে ধর্ম নিরপেক্ষতা যখন সংকটে, তাই আরো বেশি করে ভারতীয় দর্শনের কাছাকাছি  পৌঁছানোর জন্য  উজানের একটি ধারাবাহিক  প্রয়াস ।   বহু ধারা, উপধারাকে সঙ্গে করে নদী মহাসাগরে এসে তার যাত্রা পথ সমাপ্ত করে। ঠিক তেমনি সৃষ্টি তত্ত্বের ব্যাখ্যার প্রসঙ্গে মূল তত্ত্বের গোড়াতে পৌঁছাতে গিয়ে ছোট ছোট অসংখ্য তত্ত্বের অবতারণা সাংখ্য দর্শনকে করতে হয়েছে। "সৎ কার্যবাদ" -সে রকমেরই একটি সমর্থনকারী তত্ত্ব।  সাংখ্য  দর্শন সৃষ্টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলছেন, আদি পুরুষ হলেন ব্রহ্মা এবং তার ইচ্ছা হলো সৃষ্টি করতে তাই তিনি নিজেকে খণ্ডিত করে তার নামকরণ করলেন  প্রকৃতি। এই পুরুষ বা চৈতন্য  ও প্রকৃতির সম্মিলিত  প্রকাশিত সত্তা হলো বস্তু। উপযুক্ত প্রমান  ছাড়া মানব সমাজ কোন তত্ত্বকে গ্রহণ করবে না।  এটাও  প্রমাণিত যে কারণ ছাড়া কোনো কার্য্য হয় না। তাহলে, বিচার বিশ্লেষণের মূল সূ...

(২২৭) মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৭)

ছবি
(২২৭) মহাভারতের যাজ্ঞসেনী (৪৭) জীবনের দীর্ঘ পথ যাত্রায় ক্লান্ত পথিক, ক্ষনিকের পার্থিব সুখ-দুঃখের সাথে যাপন করে অবশেষে আমরা যাত্রা শুরু করলাম মহাপ্রস্থানের পথে।   পঞ্চপাণ্ডবের সাথে  সেই যাত্রার সাথী , আমি পাঞ্চালী । যাত্রার প্রাক্কালে, ভীষণ ইচ্ছা করলো জীবনটাকে একটু ফিরে দেখতে।  আজ জীবনের অন্তিমলগ্নে, বলতে কোনো অসুবিধা নেই আমার জীবনের সাংসারিক পর্বটা   আরম্ভ হয়েছিল এক  ভীষণ ঝড়ের সমারোহে। যাঁর আঘাতে  বিবাহিত জীবনের চির পরিচিত স্বপ্ন  ভেঙ্গে  গেছে  কিন্তু দিয়ে গেছে একরাশ বৈচিত্রময় ঘটনার সমারোহ। কখনো দিনের শেষে দেহটা আলিঙ্গন করেছে সুদৃশ্য পালঙ্কের বিছানায় ঐশী আরামে, আবার নিয়তির হাতছানিতে দিনরাত কেটে গেছে অনন্ত আকাশের কোলে।  সেখানে রাতে পাহারা দেয় কত নাম না জানা  তারারা,  আর পালা করে চাঁদ আসে যায়। না জানি কতনা মেঘের সারি আকাশ পথে আমাদের দেখতে দেখতে উড়ে যায়। হয়তো তাঁরা  আমাদের মতো ভাগ্যহীনাদের সংবাদ বয়ে নিয়ে যায় সেই স্বর্গের অলিন্দে,  শুনেছি সেখানে একদল দেবতা ভাগ্য আর দুর্ভাগ্যকে বন্টন করে পাঠায়। দিনের সূর্য্যের প্...

(২২৬ ) উপলদ্ধি (সাংখ্য এক )

ছবি
  (২২৬ ) উপলদ্ধি                                                                                  (সাংখ্য এক )    একদিন প্রকৃতি নিদ্রাছন্ন ছিল পরমব্রহ্ম বা চৈতন্যের গভীর আলিঙ্গনে। দিনের ব্যস্ততার পর রাতের নিস্তব্ধ অন্ধকার শেষে আবার সেই দিন।  আর এই একাকিত্ব সহ্য করাটাই অসহ্য হয়ে উঠছে সর্ব শক্তিমান ব্রহ্মার কাছে। এই একাকিত্বের অভাব থেকে জন্ম নিলো সৃষ্টির ইচ্ছা।  বাসনার তীব্র দহন কামনা করলো প্রাণের স্পন্দনকে।  যেখানে নিঃসঙ্গ পুরুষ বা পরমব্রহ্ম শুনতে পারবেন নিস্তব্ধতা ভাঙার গান। যেমনটি ইচ্ছা, ঠিক তেমনটি কাজ।   শুরু হলো তার  পথ  চলা। ব্রহ্ম তাঁর নিজ অংশ থেকে প্রথমেই সৃষ্টি করলেন প্রকৃতিকে। সে বড়োই স্পর্শকাতর। পুরুষের স্পর্শে ধীরে ধীরে আন্দোলিত হলো প্রকৃতির চৈতন্য আর তার প্রভাব গিয়ে পড়লো তাঁর দেহ ও মনে।...
    (১৮২)   গু ন গু না নী অভীষ্ট পূরণ যদি একমাত্র লক্ষ্য হয় আর সেটা যদি বাঁকা পথে উদ্ধার করতে হয়, তাহলে তার সেনাপতি অবশ্যিই হতে  হবে ছলনাকে । এটাই পৃথিবীর ইতিহাস। মানুষ তো কোন ছাড়, দেবতারা পর্যন্ত সেই পথ অবলম্বন করেছিল।  প্রসঙ্গটা হচ্ছিলো তারকাসুর বধ কে কেন্দ্র করে। স্কন্দপুরাণ          যুগে যুগে অভীষ্ট পূরণের জন্য দেবতা থেকে মানুষ ও অন্যান্য জীবদেরও নিজেদের মতো করে কৌশল রচনা করতে হয়েছে। সেখানে নৈতিকতা খুঁজতে গিয়ে ভুলভুলাইয়াতে হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা বেশী।  তার থেকে বরং গল্পের নদীতে গা ভাসিয়ে দেওয়াটাই শ্রেয়।       অবশ্য সেই যুগে সাহিত্য রচনা করতে গেলে শীলতা বা অশ্লীলতা নিয়ে লেখককে কোন লেখাকে কেন্দ্র করে জবাবদিহি করতে হয়েছিল বলে জানা নেই। বরং সংস্কৃত শ্লোকের দাপটে অশ্লীলতাকে রূপক ও শিল্পকীর্তির সম-ব্যবহারে কখন যেন অশ্লীলতাকে পিছনে ফেলে সে যেন  নৈসর্গিক প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে  সাহিত্যের  নবকলেবরে আবির্ভূত হয়।  প্রসঙ্গটা ছিল যুগে যুগে ছলচাতুরির আশ্রয়ে নিতে দেবতা থেকে সামান্য প্রাণীও সুযো...

(২২৫) জগাখিচুড়ি -পঞ্চম সংখ্যা

ছবি
  ( ২ ২৫) জগাখিচুড়ি  -পঞ্চম    সংখ্যা অতীতের পাতা থেকে, যেখানে কল্পনার প্রবেশ নিষেধ (১)   ৭০ দশকের কলকাতা  তারিখটা সঠিক মনে নেই।  কে সেরা ? এই শ্রেষ্ঠতার প্রশ্নকে সম্বল করে,  সমগ্র কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ উত্তাল রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রভাবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনগুলি ছিল রাজনীতির আঁতুরঘর। সেই সময়ে প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং যাদবপুর ছিল অতিবাম ঘেঁষা আর অন্যান্য কলেজে ছিল বাম এবং কংগ্রেসের দখলে ছিল ছাত্র সংসদগুলি। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সিপিআই পরিচালিত ছাত্র সংসদ বিজয়ী হয়ে ছিল। ছাত্র নেতা জ্যোতিষ সাহা( পরবর্তী সময়ে তিনি দেবগৌড়া মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত মহাশয়ের আপ্ত সহায়ক ছিলেন এবং কমিনিউস্ট পার্টির মহাফেজখানা নির্মাণ করার কাজটি অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়েও, অসমাপ্ত  রেখে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন )  সেসময়ে  ছাত্র সংসদের সেক্রেটারি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পরিমাপ করার মতো নির্দ্দিষ্ট কোনো প্যারামিটার ছিল না। যখন তখন রাজনীতির আকাশে মেঘের সঞ্চার হতো আর ...

(২২৪) বন্দী বিধাতা

ছবি
  ( ২২৪)  বন্দী বিধাতা  ভারতবর্ষ কি এখনো  রামায়ন ও মহাভারতময় (নবম  পর্ব)   অনেক যন্ত্রনা, অনেক বঞ্চনা, ক্রমান্বয়ে আশাহতের বেদনার পুঞ্জীভূত হতাশা থেকে একান্তচিত্তে মুক্তির প্রার্থনার জন্য কাঙ্খিত মৃত্যুকে মানুষ আহ্বান জানায়।  কি এমন হয়েছিল, হস্তিনাপুরের  রাজকুমার দেবব্রত থেকে ভীষ্মতে উত্তীর্ন হবার পর ?  দীর্ঘ সময় তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ইচ্ছা মৃত্যুকে আলিঙ্গন  করতে। আসলে মুকুটহীন ব্যক্তি যত বড় বীর, রাষ্ট্রের অনেক বড় রক্ষকের ভূমিকা পালন করুন না কেন, সম্পর্কের চূড়ায় অধিষ্ঠান করলেও, ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর স্থান একান্তই পিছনের সারিতে, অথচ তিনিই একদিন রাজা - উজির নির্বাচনের কারিগর ছিলেন। সময় কিন্তু কিছুই মনে রাখতে চায় না।                                 ******************************** সেই সময়ের হাত ধরে যদি একটু পিছিয়ে যাই।  পৌঁছানোর অভিমুখ ভীষ্মের মাতা গঙ্গার সাথে পরিচিত হবার। মহাভারতের সাগরে অনেকে উপনদী এসে মিলে গেছে।। এমনিই এক উপনদী...

(২২৩) ষড়যন্ত্রের অঙ্কুরোদগম

ছবি
(২২৩) ষড়যন্ত্রের অঙ্কুরোদগম ভারতবর্ষ কি এখনো  রামায়ন ও মহাভারতময় (অস্টম  পর্ব)   একটা ষড়যন্ত্রের বীজ থেকে অঙ্কুরিত অসংখ্য শাখা প্রশাখার ব্যাপ্তি  ধীরে ধীরে সমগ্র কাহিনীকে গ্রাস করলো। তার বহু ঘটনার মধ্যে একটা ক্ষুদ্র অথচ সদূরপ্রসারী অর্থবহনকারী ঘটনা  বারানাবতর জতুগৃহ।  পাণ্ডবদের অস্তিত্ব বিলোপের উদ্দেশ্যে    বহু সাধনায় নির্মিত দুর্যোধনের জতুগৃহ বানানোর চক্রান্ত পান্ডবদের কাছে  ফাঁস হয়ে যাওয়াতে, পাণ্ডবেরা পাল্টা ষড়যন্ত্র করে পাঁচ ব্যাধ পুত্রসহ, তাদের জননীকে নৈবিদ্যের ডালা সাজিয়ে তাদেরই অজ্ঞাতসারে  লেলিহান  আগুনের কাছে  নিবেদন করলেন। ছলনাই ছিল স্বার্থকতার সোপান।  সমাজের অতি নিম্ন সম্প্রদায়ভুক্ত  মানুষের এই ছয় ছয়টা প্রাণের বিনিময়ে নিজ পুত্রদের  সুরক্ষা নিছিদ্র করলেন মহাভারতের অন্যতম মহীয়সী নারী কুন্তী।  আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগের এই অমানবিক ঘটনার সম্মুখীন হয়ে আজকের কাতর পাঠক বর্তমানের পটভূমিতে কাহিনীর বাস্তবতাকে সহজেই অনুমান করতে পারছেন বলে মনে হয়।   ধর্ষিত মানবতা  থেকে উৎসারিত হচ্ছে ধ...

২২২ ) অনেকদিনের পরে যেন বৃষ্টি এলো -

ছবি
 (২২২ )  অনেকদিনের পরে যেন বৃষ্টি এলো  -   ব্যতিক্রমীরা সব সময়ে যে কোন ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। বিরামহীন   উষ্ণতাকে গায়ে মেখে যার জন্য সব মানুষ মুখিয়ে থাকে, তার নাম বৃষ্টি।  খনিকের অতিথি কিন্তু বেশ তাঁর নাম যশ।   প্রকৃতির এই একটা উৎসব, যেখানে বহু রকমের শব্দের ফুলঝুরি একইসাথে  মুখরিত হয়।  কখন আকাশ থেকে বিদ্যুতের ঝলকানি আবার কখনো ব্যাঘ্রের মতো গর্জনের  গুরু ধ্বনি আর বৃষ্টির তো নিজস্ব ছন্দ আছেই,  তার সঙ্গে তবলচিতে যোগ্য সঙ্গত করতে কখন উচ্চগ্রামের ঝড় আর নিম্নগ্রামে বাতাস থাকলে তো কথাই নেই। এই পরিবেশে অকবিকেও কবি হবার প্রেরণা যোগায়।   চিরন্তন বিরহতত্ত্বের অন্যতম রূপকার মহাকবি কালিদাস তার মেঘদূত কাব্যে বিরহী যক্ষ সেই অলোকাপুরীতে তার প্রিয়ার কাছে সংবাদ পাঠানোর জন্য পুঞ্জীভূত বৃষ্টির অখন্ড রূপ মেঘকে এই বর্ষা উজ্জ্বল শ্রাবন মাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল।  উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থকে তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা "হাউ বিউটিফুল ইস টি রেইন" লিখবার জন্য এই বহু প্রতীক্ষিত বর্ষাই হয়ে উঠেছিল ভরসা। বিশ্বকবি তো একরাশ গান আর কবিতাকে তো ...

(২২১) একটি বিশ্বাসের অপমৃত্যু

ছবি
(২২১) একটি বিশ্বাসের  অপমৃত্যু     ভারতবর্ষ কি এখনো  রামায়ন ও মহাভারতময় (সপ্তম  পর্ব)   একটা প্রতিশ্রুতি পালন করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায়। আর সেই রামায়ণ কিনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খালি অঙ্গীকারের বন্যা বইয়ে দিয়েছে।  তার খেসারত দিতে গিয়ে মুষ্টিমেয় কজন আহার নিদ্রা আর পার্থিব সুখকে ত্যাগ করে ছুটে মরেছে। এক প্রতিশ্রুতিতে পুত্রের বনে গমন, আবার সেই পুত্রের  আরেক প্রতিশ্রুতিতে  লঙ্কায় গিয়ে  ওয়ার ট্যুরিজম করে স্ত্রী চুরির দায়ে রাবনের প্রাণ হরণে কাহিনীর নিষ্পত্তি।    কি দরকার ছিল রামের  সোনার হরিণ ধরে আনার প্রতিশ্রুতি দেবার , বিদগ্ধ মহলে প্রশ্ন উঠছে হরিণ আবার সোনার হয় কি করে ?  এখানে রামের সীতার প্রতি অন্ধ বিশ্বাসের কারণে রক্ত মাংসের হরিণ ব্যতিরেকে বিধাতা যে কোন দিন স্বর্ণ নির্মিত হরিণকে  যে বাপের জন্মে তৈরি করেন নি, সেটা কি জানা ছিল না !  আবার সেই রামই লঙ্কা ফেরত সীতার সতীত্বের প্রশ্নে অবিশ্বাস করে অগ্নিকে দিয়ে স্ক্যান করালেন।    অনন্ত কাল ধরে সেই একটাই প্রশ্ন থেকেই যাবে, যে রামায়ণ কে...

(২২০)হস্তিনাপুরের অন্দরমহলে -

ছবি
(২২০)হস্তিনাপুরের অন্দরমহলে   -   ভারতবর্ষ কি এখনো  রামায়ন ও মহাভারতময় (ষষ্ঠ  পর্ব)  আমি অম্বিকা, কাশীরাজ  রাজকন্যা। বেশ ঘটা করে রাজসভায় স্বয়ম্বর সভার আসর বসেছিল। বিবাহ শব্দটি আমার কাছে নারী জীবনের পূর্ণতার অপর নাম।  সন্ধ্যা আগত প্রায়; রাজপ্রাসাদের পশ্চিম পারে শান বাঁধানো পুকুরের পাশে স্তব্ধ বাগানটা হঠাৎ পাখিদের কলকন্ঠে  মুখরিত হয়ে উঠলো।  দিনমনির প্রত্যাগমনের বার্তায় চঞ্চল পক্ষিকুল বাধ্য শিশুর মতো যে যার ঘরে ফেরার আনন্দে বিভোর হয়ে উঠবারই একান্ত  প্রকাশ। প্রত্যেক দিনই তারা এমনিই করে থাকে, কিন্তু আজ যেন আমি তাদের আনন্দের আরেকজন ভাগিদার হয়ে গেলাম। এমন এক ভালোলাগার সময়,  অন্তঃপুর থেকে দাসী এসে খবর দিল, সব রাজপুরুষেরা প্রায় এসে গেছে,  রানীমা ডাকছেন। অলিন্দ দিয়ে রাজমহলের যাত্রা পথে লক্ষ্য করলাম এক অনন্য রাজপুরুষের আগমন। দিব্যকান্তি, প্রশস্ত পাঁজরের খাঁচাটি নয়নাভিরাম বর্ম দিয়ে আবৃত, মনে হলো সবরকমের স্পর্শের প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ, কোমরে স্বর্ণখচিত মোড়কে আবদ্ধ  বিশাল তরবারি এবং  একরাশ তীরের  পশ্চাৎদেশ ঘাড়ের উপর ...

(২১৯)বীর হনুমানের লঙ্কা নিরীক্ষণ

ছবি
  ( ২১৯) বীর হনুমানের লঙ্কা নিরীক্ষণ ভারতবর্ষ কি এখনো  রামায়ন ও মহাভারতময় (পঞ্চম  পর্ব)  অরক্ষণীয়া নারীর সম্ভ্রমের বিড়ম্বনা নিম্নবর্গের নারীদের যতখানি প্রাপ্য ঠিক ততখানি না হলেও অভিজাত রমনীদের ক্ষেত্রে ও ব্যতিক্রম ছিল না। রাজপাট খুইয়ে স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে যে বসবাস করছে, সে আর যাই হোক ক্ষমতার নিরিখে সে তো যথার্থই দুর্বল। যে নিজের অধিকারের প্রশ্নে আবেগপ্রবণ হয়ে সেই দুর্বলতার কাছে নিজেকে বিসর্জন দিয়ে আসে, সে আর যাই হোক, মানসিকভাবে যথেষ্ট দুর্ব্বল। আর ক্ষমতাশালী যদি হতো, তাহলে কেউ কি রাজভোগের আয়াস বিসর্জন দিয়ে সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে শ্বাপদ সংকুল পরিবেশে বাস করে ? সেই অক্ষম পুরুষের সুন্দরী পত্নীকে অপহরণ করাই যেতে পারে। এরকম একটা মনোভাব রাবণ মনে মনে পোষণ করতো বলেই সে এমন একটা ছদ্মবেশ ধারণ করলো। যেই বেশটাকে সে ধারণ করলো, আপামর নরনারী সেই রূপটাকে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা করে। সাধুর বেশকে রাবন কলঙ্কিত করেছিলেন, ঠিক সেই কারণে স্বর্গের বড় বড় দেবতাদের কাছে যথেষ্ট ধমক খেয়েছিলেন, সঙ্গে প্রাণটাও তার খোয়া গিয়েছিল। লুঠ হয়ে যাওয়া পত্নীকে উদ্ধার করা নিয়ে রোমহর্ষক যুদ্ধই তো রা...