পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী-পঞ্চদশ অধ্যায় ||(78)

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী-পঞ্চদশ অধ্যায়  ||    (78) মানবজাতির উন্নতির এক মাত্র সোপান হচ্ছে  বেদ আর   বেদ যদি না বাঁচে তাহলে  সমগ্র  পৃথিবীর মানুষ বঞ্চিত হবে এই সর্বোচ্চ উপলদ্ধি  থেকে ।  "আমিই ব্রহ্ম "  এই কথা অন্য কোন ধর্মে উচ্চারণ করা যাবেনা। তাহলে সে সঙ্গে সঙ্গে বিধর্মী হয়ে যাবে".... চতুর্দশ    অধ্যায়ের পর ।    " ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত" - কোন পটভূমি থেকে এই শ্লোকটি উঠে এসেছে, এর পশ্চাতে ভারতীয় মুনি ঋষিদের সুনির্দ্দিষ্ট কি চিন্তা ভাবনা কি ছিল ? অন্যায়ের প্রতীকী রাবনের মৃত্যু ন্যায়ের প্রতীকী রামের হাতে হয়েছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে অধর্মের বিনাশ হয়ে ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল ? অধর্মের ইতি আর ধর্মের প্রতিষ্ঠা , এই গোটা ব্যাপারটা ভাবতেই বেশ হেয়ালি লাগে। সৃষ্টি কর্তার বা ভগবানের  হাতে ধর্ম আর অধর্মের প্রতীকী দুই জনের সৃষ্টি হয়েছে এবং তিনি সে ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন। আবার তিনিই পৃথিবীতে এসে রামের রূপ ধরে তারই অপর সৃষ্টি রাবনকে হত্যা করলেন ? যিনি ন্যায়-অন্যায়, ধর্ম-অধর্মের উর্ধে, তিনি ...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী-চৌদ্দতম অধ্যায় (77)

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী-চৌদ্দতম অধ্যায় ||(77) " কোন এক অজ্ঞাত শিল্পীর তৈরী ধনতান্ত্রিক দেবীর প্রতিমূর্তি,    যাঁকে একদল স্বার্থপর মানুষ পূজা করতো আর সাধারণ মানুষেরা মনে মনে ভীষণ ভয় পেত। কোন এক লেখকের বর্ণনায় লেখা হবে, কোন এক কালে দুষ্ট শিশুকে ঘুম পারাতো তাদের মায়েরা    ধনতন্ত্র  নামক  এক জুজুর গল্প শুনিয়ে" -  ত্রয়োদশ অধ্যায়ের পর .... ঋতম্ কি ।। অগ্নিরদেবতার বন্দনায় এক জায়গায় আছে  ,ঋতস্য দীদিবিম্-  যেই মহাজাগতিক শক্তির  বিচারের  উপর সারা বিশ্ব ব্রম্মান্ড  সৃষ্টির শুরু থেকে আজকেও ঠিক একই ভাবে চলে আসছে , যে নিয়মে বীজ থেকে গাছ হয়, অংকুর থেকে ফুল হয়, আপেল গাছ থেকে পড়লে উপরে উঠে যায় না, মাধ্যাকর্ষণের নিয়মে নিচেই পড়ে  , সেটাই বিশ্ব প্রকৃতির অবিসংবাদিত নিয়ম আর সেটাই ঋতম্ এবং    তাকে ধরে রাখার দায়িত্ব শুভ শক্তির । যে শক্তির পিছনে মানুষদের হাত নেই তা দৈব শক্তি  হিসাবে মানুষ জেনে থাকে। মানুষ ধরে নেয় জন্ম মৃত্যু, ভালো থাকা , খারাপ থাকা- এসবের পিছনে ঈশ্বরের বা মহাশক্তির...

76 মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - ত্রয়োদশ অধ্যায়

ছবি
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - ত্রয়োদশ অধ্যায়    " বেদের  অগ্নির বন্দনার মন্ত্রগুলিকে অনুধাবন এবং ব্যাসদেবের রূপকের ব্যাখ্যা না পেলে কাল্পনিক বলে মনে হতে পারে"-দ্বাদশ সংখ্যার পর।  বেদের ভাষ্যকার সায়ানাচার্য্য রাজার ব্যাখ্যায় বলছেন, "দীপ্যমানম "। উজ্জ্বলতা যদি রাজাকে চিনবার মাপকাঠি হয় তাহলে, সেই  অর্থে অগ্নিও রাজা, কেননা সে ও সব জায়গায় " দেদীপ্যমান"। যে আগুনকে আমরা খালি চোখে দেখি সেটা আগুনের স্থুল শরীর বা বাইরের আবরণ, তার বাইরেও তার একটা সুক্ষ শরীর আছে, যেটা আমরা দেখতে পাইনা ( যাকে চৈতন্য বলে ) । আগুনের স্থুল রূপের যখন প্রকাশ হয় তখন অন্ধকার দূর হয়ে ,যায়।  ঋগ্বেদে বহু স্তুতি আছে সেখানে অগ্নিকে বলা হচ্ছে, তুমি, এমন একটা বলয় ( এক ধরনের আগুন দ্বারা তৈরী প্রাচীর) তৈরী কর যাতে যারা যজ্ঞ ভাঙতে আসে সেই অশুভ শক্তি যেন না  আসতে পারে। ( তাই আজ ও স্থুল অর্থে আগুনের ব্যবহারে হিংস্ত্র জীব  জন্তু  আগুনের থেকে  দূরে সরে থাকে অজানা এক ভয়ে। আবার সুক্ষ অগ্নির  জ্ঞানের আলোয় মানব জাতি আগুনকে ঢাল বানিয়ে সে নিজেকে প্রতিকূলতা থেকে  রক্ষা করে ) মানুষ এক অ...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী -দ্বাদশ অধ্যায়

ছবি
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী -দ্বাদশ অধ্যায়  "সত্যবস্তুর কোন পরিবর্তন হয় না । "  গত সংখ্যার পর। ...................... জ্ঞানের দুটি দিক আছে, যথাক্রমে তত্ত্ব এবং তথ্য। যে ধারণা বা অনুমান পরীক্ষিত হয়ে জন্ম নেয় তাকে তত্ত্ব বলা হয়। বিজ্ঞান, দর্শন শা স্ত্র  , গণিত এবং যুক্তি বিজ্ঞানে প্রভৃতিতে তত্ত্বের বহু ব্যবহার আছে। সবসময়ের জন্য যেটা সত্য সেটাই তত্ত্ব। যেমন, আগুনে হাত দিলে হাত পুড়ে যায়। সব ধর্ম শাস্ত্রই সর্ব কালে সত্য তাই সেটা তত্ত্ব। জাগতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ধর্ম শাস্ত্রকে ব্যাখ্যা করলে সেই ব্যাখ্যাটি  সম্পূর্ণ হবে না। ভারতীয় দর্শনের একটা পরম্পরা আছে। সৃষ্টি থেকে প্রথমে চৈতন্যের জন্ম , চৈতন্য থেকে ভাবের জন্ম , ভাব বা চিন্তা থেকে জন্ম নিচ্ছে  শব্দ, শব্দ থেকে  জন্ম হচ্ছে শক্তির আর শক্তির থেকে বিষয়।   তথ্য সম্পর্কে বলা যেতে পারে -  বিশেষ কোন কিছু সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্য যখন শব্দগুলিকে (DATA ) শৃঙ্খলিত কাঠামোর  (FORMAT) সাহায্যে ইপ্সিত ফলের জন্য প্রক্রিয়াকরণ (PROESSS ) করা হয় তখনই তাকে তথ্য(ইনফরমেশন) বলা যায়...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - একাদশ অধ্যায়

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - একাদশ অধ্যায়  শিল্পী সাহিত্যিকরা  সমাজ এবং সাধারণ মানুষের সাথে মিশে তাদের আনন্দ ও  দুঃখের সাথে খুব সহজেই একাত্ম হতে পারেন এবং তাদের দূরদৃষ্টতা অনেকাংশে বেশী  রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের তুলনায়। আবার বাণিজ্যিক কারনে তাদের সৃষ্টি কখন আধ্যাতিক জগৎকে সাধারনের কাছে তুলে ধরার প্রতি তাদের দ্বায়বদ্ধতাও নেই। সেই কারনে নারী-পুরুষের রসালো গল্পের প্রাধান্যই  বেশী থাকে, কেননা, পাঠক সেটাই শুনতে চায় বলে ।  ভারতীয় আধ্যাত্মবাদ এবং সাম্যবাদী ভাবধারার মধ্যে একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায় , যেমন, সাম্যবাদীরা ভাবেন সর্বহারার একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা হলেই প্রথমেই সমাজে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা হবে আর অধ্যাত্মবাদীরা বলেন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মানুষের চৈতন্যের  উন্মেষ ঘটলে মানুষের মনে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোন ভেদাভেদ থাকবেনা এবং তারা অর্জন করবে একের   (অদ্বৈত বাদ) জ্ঞান তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনের গভীরতম প্রদেশ থেকে সাম্যবাদ উচ্চারিত হবে  এবং চিরস্থায়ী রূপে তা প্রতিষ্ঠিত  হবে।  তার জন্য...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী -দশম অধ্যায়

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী -দশম অধ্যায়  রামায়ন, মহাভারত ও পুরাণে,  বিভিন্ন যজ্ঞে দেখা যায়, যাদের  প্রভাব দূর করার জন্য অনুষ্ঠান করা হয়, তখন তারা এসে যজ্ঞ ভেঙ্গে দেয়। তার উজ্জ্বল উদাহরণ, রামায়নে মেঘনাদের নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে  লক্ষণ শুধু মাত্র যজ্ঞ ভেঙে দেয়নি, মেঘনাদকে মেরেও ফেলেছে। মানুষের চরিত্র বিশ্লেষণ  করলে দুই ধরনের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যেমন,  প্রাকৃতিক শক্তির অধীনতাকে মেনে জীবন যাপন করে, অনেকটা পশুর মতো। আনন্দে হেসে উঠে আবার দুঃখে কেঁদে ভাষায়,  খায় আর ঘুমায়।  আরেকদল প্রকৃতির বুকে বিজয়কেতন উড়ায়। প্রথম দলটি সংখ্যায় বেশি।  প্রাচীন বেদে মানুষের  সমস্যার সমাধানের বৈদিক ঋষিদের কাছে গেলে কোনদিন তারা খালি হাতে ফেরাতো  না।  কেউ হয়ত শত্রু হত্যার উপায়, ধন সম্পত্তি লাভ করার উদ্যেশ্যে আবার সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে ঋষি,মুনিদের কাছে গেলে, তারা সমাধান বলে দিত এবং যজ্ঞ ছিল তার একমাত্র সমাধান। এই যজ্ঞের মাধ্যমে তাদের লাভ কতখানি হয়েছে তার কোনো স্ট্যাটিস্টিক্স  জানা নেই কিন্তু তাদের উদ্বেগটা অধিকাংশে এই নিয়ম কানুনে...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - নবম অধ্যায়

ছবি
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - নবম অধ্যায়  মানব সভ্যতার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পশুর চাহিদা  অল্পেতেই  মিটে যায়, সেখানে মানুষের চাহিদা  সীমাকে ছাড়িয়ে যায়। এই প্রবণতা তাকে জীব জগতে শ্রেষ্ঠত্বের আসন অধিকার করতে সাহায্য করেছে। অতীতের সংষ্কৃতিকে  বহন করে  ভৱিষ্যতের   হাতে তুলে দিয়ে  সংস্কৃতির  আবহমান গতিকে নিরন্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে একমাত্র সাহিত্যই ,তাই সে সংস্কৃতির পিতৃত্বের দাবিদার। শুধু মাত্র "  যজ্ঞের বেদীর আগুন থেকে  তার  জন্ম  তাই তার নাম যাজ্ঞসেনী " - এই বাক্যটা বাধ্য করছে সাহিত্যের অলিতে গলিতে এই রূপকের অর্থ খুঁজতে। কখন ঋগ্বেদে, কখন বৃহদারণ্যক  উপনিষদে, কখন বাৎসায়নের কামশাস্রে, আবার কখন বা মোনিয়ার উইলিয়ামসের ডিকশনারিতে।  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী অষ্টম অধ্যায়ের পর। ........... যদঙ্গ দাশুষে ত্বমগ্নে ভদ্রং করিষ্যসি।  তবেত্তং সত্য মঙ্গিরঃ ।। অগ্নিরস বা অঙ্গিরাকে একটি কাহিনীতে অগ্নির সন্তান হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে। অগ্নিরসের জন্ম জলন্ত কাঠের আগুন থেকে।  অঙ্গিরস...

নারদের মর্ত্যে ভ্রমণ - ১৭তম অধ্যায়

ছবি
  নারদের মর্ত্যে ভ্রমণ -  ১৭তম  অধ্যায়  [ বিশাল কনফারেন্স রুম - উপস্থিত দেবরাজ ইন্দ্র , অগ্নিদেব, ম্যাডাম সরস্বতী ,বেদব্যাস , ঋষি যাজ্ঞবল্ক , ঋষি পৈলাক, ঋষি বৈশম্পায়ন, ঋষি জৈমিনী , ঋষি সুমন্ত , বিশ্বামিত্র  মুনি, বৈশিষ্ঠ মুনি ,  বাল্মীকি মুনি, শ্রী গৌড়পাদাচার্য্য , ঋষি গোবিন্দ  ভাগবতপাদ , ঋষি শঙ্করাচার্য্য  এবং  নারদ - এজেন্ডার সিডিউল অনুযায়ী ষষ্ঠদশ অধ্যায়ের  পর স্বর্গে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক অবনতির জন্য মর্তে ব্যবসায়িকভাবে শিক্ষা ব্যাবস্থার প্রচলন এবং সেই উপলক্ষে আলোচনা ] (নারদের মর্ত্যে ভ্রমণ -  ১৬তম  অধ্যায়ের পরে। .) দেবরাজ ইন্দ্র : প্রথমেই জানিয়ে রাখি নারদমশাই  " Diploma in Professional Political Services  "   যে কোর্সটি ইনট্রোডিউস করবেন  বলে ঠিক করেছিলেন, তা আমাদের সর্ব্বোচ কমিটি অনুমোদন দেন নি। তাই আমরা ঠিক করেছি, আমাদের প্রাচীনতম  শিক্ষাকে, আধুনিকতর উপায়ে মর্তে কোর্স আকারে শুরু করব এবং তার জন্য সর্বপ্রথম একটা কমিটি গঠন করা হবে। তার নিচে অনেক উপ কমিটি থাকবে বিভিন্ন বিষ...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী -অষ্টম অধ্যায়

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী -অষ্টম অধ্যায়  অন্তরে ভক্তি  আর দর্শনের মোড়ক আর বাইরে কৌরব-পাণ্ডবদের ঘরেলু বিবাদ। পাঁচ হাজার বছরেও মহাভারতের যৌবন অমলিন । দলে দলে পাঠক তার রূপ সুধা আকন্ঠে পান করতে করতে মহাভারতে প্রবেশ করে ধর্মের পাঠ নিয়ে সেখানে শুধু  আবদ্ধ  হয়ে আছে তাই নয়, যুগে যুগে সেই মহাকাব্যকে   জানার এক পরম্পরার মানব সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছে।   দর্শনের বিষয়বস্তু যদি হয় সত্যানুসন্ধানকে কেন্দ্র করে জনজীবনের সাথে জড়িত ধর্ম, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইতিহাস ও জ্ঞান-বিজ্ঞান, তাহলে মহাভারতও  একটি দর্শন। আবার সাহিত্যের যদি লক্ষ্য হয় মানবজীবনের বিকাশ, তাহলে, সেই অর্থে মহাভারত একটা স্বার্থক কাব্য সাহিত্য।  হিন্দুদের ধর্মশাস্ত্র বেদ , তার দুরূহ ব্যাখ্যা গুলিকে সাহিত্যাকারে প্রকাশ করতে গেলে,সাধারণ পাঠকের কথা মাথায় রেখে কবি সাহিত্যিকরা সময়াচিতভাবে তার ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। পাঠক সর্ব সময়ের জন্য দুটি ভিন্ন শ্রেণীর হয়ে থাকে। যেমন, প্রথম দলের পাঠকরা ধর্মশাস্ত্র ( কেননা মহাভারতকে হিন্দুরা ধর্মশাস্ত্র হিসাবে গ্রহণ করছে ) পড়তে গিয়ে সরল বিশ্বাস...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী -সপ্তম অধ্যায়

ছবি
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী -সপ্তম অধ্যায়  যজ্ঞের বেদীর আগুন থেকে  তার  জন্ম  তাই তার নাম যাজ্ঞসেনী।  এই যাজ্ঞসেনীর আগুন  থেকে  বিচ্ছুরিত তাপে পুড়ে পুড়ে পঞ্চ পাণ্ডবের শুদ্ধতা যেন সোনার উজ্জ্বলতায়  ভাস্বর হয়ে উঠেছিল মহাভারতের ক্যানভাসে।  যেই তুনে ভরা ছিল বেদের নির্যাসের  দ্বারা তৈরী বান , আর সেই বানে শিকাগোর বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামীজী ঘায়েল করেছিলেন তামাম বিশ্বের সঘোষিত পন্ডিতদের মেকী অহংকারকে, প্রতিষ্ঠিত করছিলেন হিন্দুধর্মের আধ্যাতিক গভীরতাকে। সারা বিশ্বের  মানুষষের অনুসন্ধিৎসার পিপাসা প্রাচ্যের প্রতি বাড়িয়ে তুলেছিল এক লহমায়  আর হিন্দু ধর্মের  সারবস্তুকে  প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন  পৃথিবীর মানুষের  হৃদয়ে ।   কি আছে সেই প্রাচীন বেদের মধ্যে  সর্বাপেক্ষা প্রাচীনতর  ঋগ্বেদে ? ঋগ্বেদে  মোট দশটি মন্ডলের মধ্যে আটটি মন্ডল  জুড়ে শুধু ব্যয়িত হয়েছে অগ্নির বন্দনার স্তবে আর মন্ত্রে। মহাভারতের কবির বর্ণনায়  যুগ যুগ  ধরে ...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - ষষ্ঠ পর্ব

ছবি
মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - ষষ্ঠ পর্ব   (  যজ্ঞের বেদীর আগুন থেকে  তার  জন্ম  তাই তার নাম যাজ্ঞসেনী, যাঁর আগুনের  স্পর্শে পঞ্চ পাণ্ডব সোনা হয়ে গিয়েছিল।  সেই অগ্নির  বৈচিত্রতা নিয়ে  বেদের ঋষিদের ব্যাখ্যা ,তাই নিয়ে  পঞ্চম  পর্বের পর  ষষ্ঠ  পর্বের শুরু )   একাধারে রামায়ন ,মহাভারত ও পূরণের মতো হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র রচনা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে বেদের বিশালত্বের সাথে সহজ সাবলীলভাবে  পরিচিত  করার জন্য। কেননা বেদের সর্বজ্ঞান সর্বদাই  তাদের নাগালের বাইরে ছিল আর জ্ঞানকে কুক্ষিগত করে রাখলে সমাজের উন্নতি সাধন কখনই হবেনা। অন্ধকার আর অজ্ঞান দুটিই একই বস্তুর  ভিন্ন রূপ। আজও মানুষ আরো বেশী রকমের লাঞ্চিত হচ্ছেন একদল স্বার্থপর মানুষের হাতে, শুধুমাত্র জ্ঞানের অভাবে।  আবার পাশাপাশি মানুষের মনে আধ্যাত্মিক অনুভূতিকে বিশ্লেষণ করার জন্য বেদের ঋষিরা কিছু পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলেছেন , যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন যে, সেটা তার কল্পনা না অনুভূতি এবং  সেটাকে  কি ভাবে ক্...

মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - পঞ্চম পর্ব

ছবি
  মহাভারতের যাজ্ঞসেনী - পঞ্চম পর্ব  (মহাভারতের অন্তরালে - যজ্ঞের বেদীর আগুন থেকে  তার  জন্ম  তাই তার নাম যাজ্ঞসেনী, যাঁর লেলিহান শিখায়  প্রায় সমগ্র ক্ষত্রিয় কুলের ধ্বংস সাধিত হয়েছিল ।  সেই অগ্নির  বৈচিত্রতা নিয়ে  বেদের ঋষিদের ব্যাখ্যা ,তাই নিয়ে  চতুর্থ পর্বের হাত ধরে পঞ্চম পর্বের শুরু )  বেদের পরম্পরা : বেদ একটি পরম্পরাকে অনুসরণ করে চলে। ঋগ্বেদের প্রধান দেবতা হলেন অগ্নি এবং তার প্রথম মন্ত্র ' অগ্নিমীডে পুরোহিতং ' । এই মন্ত্রের প্রথমে মহর্ষি বিশ্বামিত্রের পুত্র  মধুছন্দার নাম দেওয়া হয়েছে। ঋগ্বেদের মোট ১০টি মন্ডল আছে। দ্বিতীয় মন্ডল থেকে অষ্টম মণ্ডল পর্যন্ত ঋষির নাম নির্দ্দিষ্ট করা আছে। (কতকগুলি শব্দ নিয়ে একটা মন্ত্র, কতগুলি মন্ত্র নিয়ে একটা সুক্ত, কতগুলি সুক্ত নিয়ে একটা মণ্ডল) প্রত্যেক সূক্তগুলি এক একটা সম্পূর্ণ প্রার্থনা মন্ত্র আর প্রত্যেক মন্ডলগুলি এক একটি বিশেষ দেবতাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। ( মনে রাখতে হবে বেদ হচ্ছে শ্রুতি ) বেদের মন্ত্রগুলি   একটি পরিবারের দ্...