আগামী (১২১)

আগামী (১২১) জীবনের বহু ক্ষেত্রের অপূর্ণতাকে কবি মেনে নিয়ে ছিলেন কিন্তু আশাহত হননি বরং একটা পরম্পরা তৈরী করে গিয়েছিলেন, যেই পথ দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কবিরা তাঁর যাত্রার শেষ থেকে তাদের যাত্রা শুরু করবেন। জীবনের প্রান্তে পৌঁছে তিনি এই আত্মপোলদ্ধি করেছেন এতদিন ধরে যা কিছু বাইরে খুজেছিলেন, সেটা তার মনের অন্তরালে বাস করছে আর সেখানে পৌঁছানোর রাস্তাটা ভীষণ দুর্গম। গত সংখ্যার পর ০ ০ ০ ০ ০ যদি ধরে নেওয়া হয় কবির জীবনের সেই অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আরেক এক নবীন কবি এই দুর্গমতার রহস্য ভেদের মন্ত্র লিখে ফেললেন - "দুর্গম গিরি কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার হে ! লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার। দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ ছিঁড়িয়াছে পাল কে ধরিবে হাল, কার আছে হিম্মত। কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষত এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।" কবিতার লাইনগুলিকে যদি রূপক হিসাবে ধরা হয় , তাহলে তাকে এইভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে - জীবনের যাত্রাপথের রাস্তাটা সর্বস্তরেই ভীষ...